্রেফতার আতঙ্কে। এ বিষয়ে বিরোধীদলের কয়েকজন নেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, আমারা এখন আর নিজের বাসায় থাকতে পারি না। যেকোনো সময়ই গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে আমরা আতঙ্কে থাকি। আমাদের পরিবারের লোকজনও সারাক্ষণ ভয়ে থাকে কারন বাসায় এসে তল্লাশির নামে পুলিশ বাসার বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এছাড়া বাসার বাহিরে থাকার কারনে আমাদের খরচও অনেক বেশি হয়। কর্মসূচিতে না যাওয়া কিছু নেতা বলেন, রাজনীতের খাতায় নাম থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে আমরা কোনো কর্মসূচিতে যাই না। কিন্তু এরপরও আমরা পুলিশের ভয়ে বাসায় থাকতে পারি না। মাঝে মাঝেই বাসায় আসে পুলিশ। সব মিলিয়ে কি করবো বুঝতে পারছি না। কয়েকজন নেতা বলেন, আমরা নিরাপদে ব্যবসা-বাণিজ্যও করতে পারছি না। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও পুলিশ এসে আমাদের খোজ করে। কর্মচারী দিয়ে কয়দিন আমরা ব্যবসা টিকিয়ে রাখবো। পুলিশ এবং যৌথবাহিনীর এই অব্যাহত গ্রেফতারের কারনে বর্তমানে উত্তরবঙ্গের অনেক জেলার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোজে অন্যত্র চলে যাচ্ছে যা আমরা দেশের বিভিন্ন গনমাধ্যমে দেখছি। গনগ্রেফতারে গতকাল সারাদেশে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী। এছাড়া গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী। সর্বোচ্চ গেফতার: সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ গ্রেফতার করা হয়েছে যোশরে ৭৮ জন এবং সাতক্ষীরাতে ৪০ জন, এছাড়া চাঁদপুরে জামায়াতের আমীরসহ আটক হয়েছেন ৯ জন, চট্টগ্রামে আটক হয়েছে ১১ জন শিবির কর্মী এবং গাজীপুরে ৩ জন। এদিকে, ঢাকার মহাখালীতে ১৫০ ককটেলসহ ৫ শিবির কর্মীকে আটক করে পুলিশ, অবশ্য শিবির বলছে পুলিশ তাদেরকে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে ককটেল নাকট বানিয়েছে। এছাড়া খিলগাঁওয়ে পুলিশের সাথে ছাত্রদল নেতার বন্দুক যুদ্ধে মারা যাওয়ার ঘটনাকেও নাটক বলে অভিহিত করে গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ দিয়েছে শিবির। এ ছাড়া মানিকগঞ্জে সেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান রিটনসহ মোট ৮ জনকে। এদিকে, নারায়নগঞ্জের জেরা বিএনপির সাধারন সম্পদক এটিএম কামালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া রূপগঞ্জে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় আটক হয়েছে ৫ জনকে এছাড়া অস্ত্রসহ এক যুবককে আটক করা হয় এই জেলায়। চট্টগাম বিভাগ: চাঁদপুরে জামায়াতের আমীরসহ আটক হয়েছেন ৯ জন, চট্টগ্রামে আটক হয়েছে ১১ জন শিবির কর্মী। এদিকে কুমিল্লায় আটক করা হয়েছে মোট ১০ জন। সিলেট অঞ্চল: গতকাল রাত থেকে আজ পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলে গ্রেফতার হয়েছেন মোট ৫৩ জন। এর মধ্যে হবিগঞ্জে ২৪ জন এবং সুনামগঞ্জে ২৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। উত্তরবঙ্গে গ্রেফতার: উত্তরবঙ্গের জেলা রংপুরে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে ৫১ জনকে। খুলনা অঞ্চল: খুলনা বিভাগের জেলা যোশরে আটক করা হয়েছে মোট ৭৮ জন, সাতক্ষীরায় ৪০ জন, মেহেরপুরে আটক করা হয়েছে মোট ৩০ জনকে। এদের মধ্যে সদর থানা পুলিশ সাতজন, গাংনী থানা ১৩ জন ও মুজিবনগর থানা ১০ জনকে আটক করে। এছাড়া কুষ্টিয়ায় আটক করা হয়েছে জামায়াত-বিএনপির ৩৩ জন নেতাকর্মী। ইআর
Wednesday, January 21, 2015
সারাদেশে গণগ্রেফতার বেড়েই চলছে:Time News
সারাদেশে গণগ্রেফতার বেড়েই চলছে ইয়াছিন রানা টাইম নিউজ বিডি, ২১ জানুয়ারি, ২০১৫ ০২:৩৮:০১ ২০ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচির কারনে সারাদেশে চলা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার বেড়েই চলছে।পুলিশের মতে নাশকতা রোধের জন্যই সারাদেশে সন্দেহভাজন নাশকতাকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবে এই গণগ্রেফতারের কারনে বিপাকে পড়েছে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা এমনকি সাধারণ জনগনও। বিরোধীদলের বেশির ভাগ নেতাকর্মীরাই এখন আর নিজ বাসায় থাকেন না গ
্রেফতার আতঙ্কে। এ বিষয়ে বিরোধীদলের কয়েকজন নেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, আমারা এখন আর নিজের বাসায় থাকতে পারি না। যেকোনো সময়ই গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে আমরা আতঙ্কে থাকি। আমাদের পরিবারের লোকজনও সারাক্ষণ ভয়ে থাকে কারন বাসায় এসে তল্লাশির নামে পুলিশ বাসার বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এছাড়া বাসার বাহিরে থাকার কারনে আমাদের খরচও অনেক বেশি হয়। কর্মসূচিতে না যাওয়া কিছু নেতা বলেন, রাজনীতের খাতায় নাম থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে আমরা কোনো কর্মসূচিতে যাই না। কিন্তু এরপরও আমরা পুলিশের ভয়ে বাসায় থাকতে পারি না। মাঝে মাঝেই বাসায় আসে পুলিশ। সব মিলিয়ে কি করবো বুঝতে পারছি না। কয়েকজন নেতা বলেন, আমরা নিরাপদে ব্যবসা-বাণিজ্যও করতে পারছি না। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও পুলিশ এসে আমাদের খোজ করে। কর্মচারী দিয়ে কয়দিন আমরা ব্যবসা টিকিয়ে রাখবো। পুলিশ এবং যৌথবাহিনীর এই অব্যাহত গ্রেফতারের কারনে বর্তমানে উত্তরবঙ্গের অনেক জেলার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোজে অন্যত্র চলে যাচ্ছে যা আমরা দেশের বিভিন্ন গনমাধ্যমে দেখছি। গনগ্রেফতারে গতকাল সারাদেশে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী। এছাড়া গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী। সর্বোচ্চ গেফতার: সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ গ্রেফতার করা হয়েছে যোশরে ৭৮ জন এবং সাতক্ষীরাতে ৪০ জন, এছাড়া চাঁদপুরে জামায়াতের আমীরসহ আটক হয়েছেন ৯ জন, চট্টগ্রামে আটক হয়েছে ১১ জন শিবির কর্মী এবং গাজীপুরে ৩ জন। এদিকে, ঢাকার মহাখালীতে ১৫০ ককটেলসহ ৫ শিবির কর্মীকে আটক করে পুলিশ, অবশ্য শিবির বলছে পুলিশ তাদেরকে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে ককটেল নাকট বানিয়েছে। এছাড়া খিলগাঁওয়ে পুলিশের সাথে ছাত্রদল নেতার বন্দুক যুদ্ধে মারা যাওয়ার ঘটনাকেও নাটক বলে অভিহিত করে গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ দিয়েছে শিবির। এ ছাড়া মানিকগঞ্জে সেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান রিটনসহ মোট ৮ জনকে। এদিকে, নারায়নগঞ্জের জেরা বিএনপির সাধারন সম্পদক এটিএম কামালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া রূপগঞ্জে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় আটক হয়েছে ৫ জনকে এছাড়া অস্ত্রসহ এক যুবককে আটক করা হয় এই জেলায়। চট্টগাম বিভাগ: চাঁদপুরে জামায়াতের আমীরসহ আটক হয়েছেন ৯ জন, চট্টগ্রামে আটক হয়েছে ১১ জন শিবির কর্মী। এদিকে কুমিল্লায় আটক করা হয়েছে মোট ১০ জন। সিলেট অঞ্চল: গতকাল রাত থেকে আজ পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলে গ্রেফতার হয়েছেন মোট ৫৩ জন। এর মধ্যে হবিগঞ্জে ২৪ জন এবং সুনামগঞ্জে ২৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। উত্তরবঙ্গে গ্রেফতার: উত্তরবঙ্গের জেলা রংপুরে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে ৫১ জনকে। খুলনা অঞ্চল: খুলনা বিভাগের জেলা যোশরে আটক করা হয়েছে মোট ৭৮ জন, সাতক্ষীরায় ৪০ জন, মেহেরপুরে আটক করা হয়েছে মোট ৩০ জনকে। এদের মধ্যে সদর থানা পুলিশ সাতজন, গাংনী থানা ১৩ জন ও মুজিবনগর থানা ১০ জনকে আটক করে। এছাড়া কুষ্টিয়ায় আটক করা হয়েছে জামায়াত-বিএনপির ৩৩ জন নেতাকর্মী। ইআর
্রেফতার আতঙ্কে। এ বিষয়ে বিরোধীদলের কয়েকজন নেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, আমারা এখন আর নিজের বাসায় থাকতে পারি না। যেকোনো সময়ই গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে আমরা আতঙ্কে থাকি। আমাদের পরিবারের লোকজনও সারাক্ষণ ভয়ে থাকে কারন বাসায় এসে তল্লাশির নামে পুলিশ বাসার বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এছাড়া বাসার বাহিরে থাকার কারনে আমাদের খরচও অনেক বেশি হয়। কর্মসূচিতে না যাওয়া কিছু নেতা বলেন, রাজনীতের খাতায় নাম থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে আমরা কোনো কর্মসূচিতে যাই না। কিন্তু এরপরও আমরা পুলিশের ভয়ে বাসায় থাকতে পারি না। মাঝে মাঝেই বাসায় আসে পুলিশ। সব মিলিয়ে কি করবো বুঝতে পারছি না। কয়েকজন নেতা বলেন, আমরা নিরাপদে ব্যবসা-বাণিজ্যও করতে পারছি না। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও পুলিশ এসে আমাদের খোজ করে। কর্মচারী দিয়ে কয়দিন আমরা ব্যবসা টিকিয়ে রাখবো। পুলিশ এবং যৌথবাহিনীর এই অব্যাহত গ্রেফতারের কারনে বর্তমানে উত্তরবঙ্গের অনেক জেলার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোজে অন্যত্র চলে যাচ্ছে যা আমরা দেশের বিভিন্ন গনমাধ্যমে দেখছি। গনগ্রেফতারে গতকাল সারাদেশে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী। এছাড়া গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী। সর্বোচ্চ গেফতার: সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ গ্রেফতার করা হয়েছে যোশরে ৭৮ জন এবং সাতক্ষীরাতে ৪০ জন, এছাড়া চাঁদপুরে জামায়াতের আমীরসহ আটক হয়েছেন ৯ জন, চট্টগ্রামে আটক হয়েছে ১১ জন শিবির কর্মী এবং গাজীপুরে ৩ জন। এদিকে, ঢাকার মহাখালীতে ১৫০ ককটেলসহ ৫ শিবির কর্মীকে আটক করে পুলিশ, অবশ্য শিবির বলছে পুলিশ তাদেরকে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে ককটেল নাকট বানিয়েছে। এছাড়া খিলগাঁওয়ে পুলিশের সাথে ছাত্রদল নেতার বন্দুক যুদ্ধে মারা যাওয়ার ঘটনাকেও নাটক বলে অভিহিত করে গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ দিয়েছে শিবির। এ ছাড়া মানিকগঞ্জে সেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান রিটনসহ মোট ৮ জনকে। এদিকে, নারায়নগঞ্জের জেরা বিএনপির সাধারন সম্পদক এটিএম কামালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া রূপগঞ্জে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় আটক হয়েছে ৫ জনকে এছাড়া অস্ত্রসহ এক যুবককে আটক করা হয় এই জেলায়। চট্টগাম বিভাগ: চাঁদপুরে জামায়াতের আমীরসহ আটক হয়েছেন ৯ জন, চট্টগ্রামে আটক হয়েছে ১১ জন শিবির কর্মী। এদিকে কুমিল্লায় আটক করা হয়েছে মোট ১০ জন। সিলেট অঞ্চল: গতকাল রাত থেকে আজ পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলে গ্রেফতার হয়েছেন মোট ৫৩ জন। এর মধ্যে হবিগঞ্জে ২৪ জন এবং সুনামগঞ্জে ২৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। উত্তরবঙ্গে গ্রেফতার: উত্তরবঙ্গের জেলা রংপুরে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে ৫১ জনকে। খুলনা অঞ্চল: খুলনা বিভাগের জেলা যোশরে আটক করা হয়েছে মোট ৭৮ জন, সাতক্ষীরায় ৪০ জন, মেহেরপুরে আটক করা হয়েছে মোট ৩০ জনকে। এদের মধ্যে সদর থানা পুলিশ সাতজন, গাংনী থানা ১৩ জন ও মুজিবনগর থানা ১০ জনকে আটক করে। এছাড়া কুষ্টিয়ায় আটক করা হয়েছে জামায়াত-বিএনপির ৩৩ জন নেতাকর্মী। ইআর
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment