ঢাকা: বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, “আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, গত পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যে নারী লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেছিল তার প্রতিবাদ জানাতে একটি ছাত্র সংগঠনের মিছিলে সোমবার আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যে আক্রমণের ঘটনা ঘটিয়েছে-তাতে প্রতিবাদকারীরাই উল্টো লাঞ্ছনার নির্মম শিকার হলেন, বিশেষ করে ছাত্রীদের ওপর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের আক্রম
ণের চিত্র খুবই লজ্জাজনক। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।” কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সোমবার তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি সংবিধান সম্মতভাবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ও সমাবেশ করার অধিকার সবার রয়েছে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি বিনা ভোটে নির্বাচিত দাবিদার সরকার বিরোধী মত-ভিন্নমত ও প্রতিবাদকে একেবারেই সহ্য করতে পারছে না। বরং দমন করার কৌশলকেই জুতসই মনে করছে তারা। ছাত্রদের একদিকে দমন করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যে ভূমিকা পালন করছে তাতে করে উল্টো লাঞ্ছনাকারীরাই উৎসাহিত হচ্ছে। শাসক দলের লাঞ্ছনাকারীরা এতে আস্কারাবোধ করবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব হচ্ছে দুষ্টের দমন করা, কিন্তু তা না করে তারা উল্টো কাজ করছে। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।” আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি সরকার গোয়েবলসীয় কায়দায় অনবরত অসত্য কথা বলে যাচ্ছে বিভিন্ন সময়ে। এর একটি অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে- সরকার অনেকদিন ধরেই বলছে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তা সত্বেও সরকার প্রতিবছর খাদ্য আমদানি করছে। শুধু চলতি অর্থ বছরের গত জুলাই-৬ মে পর্যন্ত ১৩.১৩ লাখঝ মেট্রিক টন চাল বিদেশ থেকে আমদানি করেছে। বেসরকারি খাত যা আগের অর্থ বছরের তুলনায় প্রায় চার গুণ। পত্রিকান্তরে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, দেশীয় কৃষকদের উৎপাদিত ধান-চালের উপযুক্ত দাম কৃষকেরা না পেয়ে আগামীতে খাদ্য উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন-যা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। খাদ্যমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, প্রতি দু‘বছর অন্তরে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ খাদ্য গুদাম পরিস্কার করার জন্য পুরনো চাল কম দামে বেচে দিয়ে থাকেন। ডিউটি ফ্রি‘র সুযোগ নিয়ে এক ধরনের সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ীরা সেই কম দামের পুরনো চাল কিনে বাজারজাত করে দেশীয় কৃষকদের উৎপাদিত ধান-চালের বাজারকে নিম্মমুখী করছে।” তিনি বলেন, “আমরা জিজ্ঞেস করতে চাই দেশের কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত করে দলীয় ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করার জন্য এই ডিউটি ফ্রি চাল আমদানী করার সুযোগ দিয়ে সরকার কি কৃষি ও কৃষক বান্ধব হতে পারছে নাকি কৃষকের সর্বনাশ করছে? দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ও কৃষকদের বাচাঁনোর জন্য দলীয় ব্যবসায়ীদের অনৈতিক সুবিধা দেয়া বন্ধ করা এবং ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে বিএনপি।” আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতা ও যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামরুল হুদাকে গতরাতে বিদেশ যাবার পথে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একজন নাগরিকের স্বাধীনভাবে চলাচল গমনাগমনের অধিকার থাকলেও সরকার তা বাধাগ্রস্ত করছে। আমরা সরকারের এ ভূমিকার নিন্দা করছি।” নতুন বার্তা/জিহ
No comments:
Post a Comment