
সহিংসতা। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে এমন তথ্য দলটির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে জানানো হয়েছে। বিষয়টি যে আওয়ামী লীগকে ভাবিয়ে তুলেছে-এর আলামত পাওয়া যায় ধানমন্ডিতে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় সূত্র থেকে। জানা গেছে, আজ শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় কেন্দ্রীয় নেতা এবং ঢাকার আশপাশের সাংগঠনিক এলাকার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী এই বৈঠকে নেতাদের মুখে উঠে আসে ইজতেমা নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি। যদি আখেরি মোনাজাত শেষে বিএনপি-জামায়াতের লাখ লাখ নেতাকর্মী গুলশানের দিকে চলে আসেন, তাহলে কীভাবে তা মোকাবেলা করা যায়- তা নিয়েও আলোচনা হয়। যদিও যৌথসভার বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কিছুই জানানো হয়নি। এক সংবাদিক ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, সকাল থেকে প্রায় পৌনে দুইঘন্টা সাংবাদিকদের বসিয়ে রাখা হয়। বৈঠক শেষে কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়ে দেন-আজকের সভার বিষয়ে কোনো সংবাদ সম্মেলন করা হবে না। অথচ গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ সম্মেলনে আসতে বলা হয়েছিল। সূত্র জানায় সরকারের ধারণা ছিল, ইজতেমার জন্য বিএনপি সম্ভবত অবরোধ শিথিল করবে। কিন্তু আগেই বিএনপির সিদ্ধান্ত ছিল ইজতেমা চলাকালে অবরোধ বহাল থাকবে। শোনা যাচ্ছে, প্রথম পর্বের ইজতেমার পরদিন সোমবার ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেবে বিএনপি। এর জন্য তারা পুলিশের কাছে অনুমতি চাইবে না। ধারণা করা হচ্ছে, এ ধরনের সমাবেশের উদ্যোগ রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে তুলবে। বিরোধী দল চাইছে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদটি যত ওপরে ওঠানো যায়-এ বিষটিও আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্বেগের কারণ। এমআর, জেএ
No comments:
Post a Comment