রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের ১০৮তম পর্ব হয়। এবার অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ইংরেজি দৈনিক দ্য অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সিনিয়র সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তাজমেরি এস এ ইসলাম এবং বেসরকারি সংগঠন নিজেরা করি’র সমন্বয়ক খুশী কবির। অনুষ্ঠানে এক দর্শক জানতে চান- সালাহ উদ্দিন আহমদের বিষয়টি কি নিছক একটি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা, নাকি তা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের একটি চেষ্টা? জবাবে খুশী কবির বলেন, “দুটোই হতে পারে। প্রতিপক্ষ দমনের চেষ্টা বর্তমান সরকার ও বিগত সরকার সবাই করেছে।” তিনি বলেন, “একজন মানুষ নিখোঁজ হয়ে গেলো। আমরা অবশ্যই এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন। সালাহ উদ্দিন আহমদকে হাজির করতে আদালত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য আমরা রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করছি।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, খালেদা জিয়াকে জবাব দিতে হবে, তিনি সালাহ উদ্দিন আহমেদকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন। এ বিষয়ে এক দর্শক বলেন, “খালেদা জিয়া খোঁজ দিতে পারলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ কী?” শওকত মাহমুদ বলেন, “সরকার যে লুকিয়ে রাখার কথা বলছে, তা প্রমাণ করুক।” বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর খোঁজ মিলছে না। কয়েকদিন পরে দেখা যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্বীকার করছে।” সালাহ উদ্দিনের ঘটনা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের চেষ্টা বলে এক দর্শক মত দেন। আরেক দর্শক বলেন, “বর্তমান সরকারের সময়ে এভাবে নিখোঁজ বা গুমের ঘটনার ধারাবাহিকতা চললে, আগামীতে কোনো সরকার এলেও এটি কি চলতেই থাকবে?” ড. তাজমেরি এস এ ইসলাম বলেন, “সালাহ উদ্দিন আহমেদ এমন নেতা নন, যিনি কোথাও লুকিয়ে থাকবেন। তিনি একজন সিনিয়র নেতা। কোনো ব্যক্তি নিখোঁজের পর তাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব যাদের সেসব সরকারি লোকেরা যে বলছে জানে না। আমার প্রশ্ন- দেশে সরকারের ভেতর কি আরো কোনো সরকার আছে?” সালাহ উদ্দিনকে হাজিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আদালতের নির্দেশ থাকায় এ বিষয়ে কোনো মতামত দেননি ইকবাল সোবহান চৌধুরী। অনুষ্ঠানটির প্রযোজনা করেন ওয়ালিউর রহমান মিরাজ এবং উপস্থাপনা করেন আকবর হোসেন। বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন এবং বিবিসি বাংলার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। এতে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বিষয়ে দর্শকরা সরাসরি আলোচকদের কাছে প্রশ্ন বা মতামত দিতে পারেন। একজন দর্শকের প্রশ্ন ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের জন্য খালেদা জিয়া আবারো যে প্রস্তাব দিয়েছেন চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তা কি একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে? জবাবে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনকে ঘিরে মানুষের মধ্যে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিলো তা পূরণে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি বলেন রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতি দিয়ে গণতন্ত্র হতে পারেনা। তিনি বলেন, “প্রত্যাশা ছিল হয়তো আন্দোলণ বেগবান করবে নয়তো কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন যাতে সংলাপের পরিবেশ তৈরি হয়”। শওকত মাহমুদ বলেন সরকার যেখানে ক্রমাগত সংলাপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে সেখানে খালেদা জিয়া আগে থেকে কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা বলতে পারেননা। সেটি আলোচনায় বসলেই কেবল বিবেচনা করা যেতে পারে। খালেদা জিয়ার প্রস্তাব প্রত্যখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী সহ সরকারি দলের নেতারা যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তারও সমালোচনা করেন। শওকত মাহমুদ বলেন, “বিডিআর বিদ্রোহের পর প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় বসেননি যারা খুন করেছে তাদের সাথে ? এখন রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কেন আলোচনা হবেনা? খুশী কবির বলেন খালেদা জিয়ার বক্তব্যে নতুন কিছুই নেই। সংকট সমাধানের ক্ষেত্রেও তারঁ সর্বশেষ বক্তব্য আলাদা করে কোন ভূমিকা রাখবে না বলেই মনে করেন তিনি। তিনি বলেন মূলত জনগণের কাছে উপস্থিতি প্রমাণের জন্যই খালেদা জিয়া সর্বশেষ বক্তব্য দিয়েছেন। তাজমেরী এস ইসলাম বলেন সন্ত্রাস সহিংসতা কে করছে সেটি পরিষ্কার নয়। তাই জনগনের স্বার্থে প্রধান দু নেত্রীকেই আলোচনায় বসতে হবে এবং সংকট উত্তরণে সমাধান আনতে হবে। এর আর কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। আরেকজন দর্শক জানতে চান চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে হঠাৎ করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আয়োজনের তোড়জোড় শুরু হলো কেন ? জবাবে শওকত মাহমুদ বলেন রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না করে এ নির্বাচন আয়োজন হবে একটি প্রহসন। অন্যদিকে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিতের জন্যই এ নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এএইচ
Sunday, March 15, 2015
'সালাহ উদ্দিনকে লুকিয়ে রাখার কথা সরকার প্রমাণ করুক':Time News
'সালাহ উদ্দিনকে লুকিয়ে রাখার কথা সরকার প্রমাণ করুক' স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ১৫ মার্চ, ২০১৫ ১২:৩৪:১৬ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ নিখোঁজের ঘটনা কি নিছক নিখোঁজ? নাকি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের চেষ্টা- এ প্রশ্ন ওঠেছে ‘বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে। সরকারবিরোধী পক্ষের আলোচক বলেছেন, “এ নেতাকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা তিনি প্রমাণ করুক।” শনিবার সন্ধ্যায়
রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের ১০৮তম পর্ব হয়। এবার অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ইংরেজি দৈনিক দ্য অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সিনিয়র সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তাজমেরি এস এ ইসলাম এবং বেসরকারি সংগঠন নিজেরা করি’র সমন্বয়ক খুশী কবির। অনুষ্ঠানে এক দর্শক জানতে চান- সালাহ উদ্দিন আহমদের বিষয়টি কি নিছক একটি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা, নাকি তা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের একটি চেষ্টা? জবাবে খুশী কবির বলেন, “দুটোই হতে পারে। প্রতিপক্ষ দমনের চেষ্টা বর্তমান সরকার ও বিগত সরকার সবাই করেছে।” তিনি বলেন, “একজন মানুষ নিখোঁজ হয়ে গেলো। আমরা অবশ্যই এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন। সালাহ উদ্দিন আহমদকে হাজির করতে আদালত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য আমরা রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করছি।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, খালেদা জিয়াকে জবাব দিতে হবে, তিনি সালাহ উদ্দিন আহমেদকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন। এ বিষয়ে এক দর্শক বলেন, “খালেদা জিয়া খোঁজ দিতে পারলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ কী?” শওকত মাহমুদ বলেন, “সরকার যে লুকিয়ে রাখার কথা বলছে, তা প্রমাণ করুক।” বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর খোঁজ মিলছে না। কয়েকদিন পরে দেখা যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্বীকার করছে।” সালাহ উদ্দিনের ঘটনা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের চেষ্টা বলে এক দর্শক মত দেন। আরেক দর্শক বলেন, “বর্তমান সরকারের সময়ে এভাবে নিখোঁজ বা গুমের ঘটনার ধারাবাহিকতা চললে, আগামীতে কোনো সরকার এলেও এটি কি চলতেই থাকবে?” ড. তাজমেরি এস এ ইসলাম বলেন, “সালাহ উদ্দিন আহমেদ এমন নেতা নন, যিনি কোথাও লুকিয়ে থাকবেন। তিনি একজন সিনিয়র নেতা। কোনো ব্যক্তি নিখোঁজের পর তাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব যাদের সেসব সরকারি লোকেরা যে বলছে জানে না। আমার প্রশ্ন- দেশে সরকারের ভেতর কি আরো কোনো সরকার আছে?” সালাহ উদ্দিনকে হাজিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আদালতের নির্দেশ থাকায় এ বিষয়ে কোনো মতামত দেননি ইকবাল সোবহান চৌধুরী। অনুষ্ঠানটির প্রযোজনা করেন ওয়ালিউর রহমান মিরাজ এবং উপস্থাপনা করেন আকবর হোসেন। বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন এবং বিবিসি বাংলার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। এতে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বিষয়ে দর্শকরা সরাসরি আলোচকদের কাছে প্রশ্ন বা মতামত দিতে পারেন। একজন দর্শকের প্রশ্ন ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের জন্য খালেদা জিয়া আবারো যে প্রস্তাব দিয়েছেন চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তা কি একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে? জবাবে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনকে ঘিরে মানুষের মধ্যে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিলো তা পূরণে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি বলেন রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতি দিয়ে গণতন্ত্র হতে পারেনা। তিনি বলেন, “প্রত্যাশা ছিল হয়তো আন্দোলণ বেগবান করবে নয়তো কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন যাতে সংলাপের পরিবেশ তৈরি হয়”। শওকত মাহমুদ বলেন সরকার যেখানে ক্রমাগত সংলাপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে সেখানে খালেদা জিয়া আগে থেকে কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা বলতে পারেননা। সেটি আলোচনায় বসলেই কেবল বিবেচনা করা যেতে পারে। খালেদা জিয়ার প্রস্তাব প্রত্যখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী সহ সরকারি দলের নেতারা যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তারও সমালোচনা করেন। শওকত মাহমুদ বলেন, “বিডিআর বিদ্রোহের পর প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় বসেননি যারা খুন করেছে তাদের সাথে ? এখন রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কেন আলোচনা হবেনা? খুশী কবির বলেন খালেদা জিয়ার বক্তব্যে নতুন কিছুই নেই। সংকট সমাধানের ক্ষেত্রেও তারঁ সর্বশেষ বক্তব্য আলাদা করে কোন ভূমিকা রাখবে না বলেই মনে করেন তিনি। তিনি বলেন মূলত জনগণের কাছে উপস্থিতি প্রমাণের জন্যই খালেদা জিয়া সর্বশেষ বক্তব্য দিয়েছেন। তাজমেরী এস ইসলাম বলেন সন্ত্রাস সহিংসতা কে করছে সেটি পরিষ্কার নয়। তাই জনগনের স্বার্থে প্রধান দু নেত্রীকেই আলোচনায় বসতে হবে এবং সংকট উত্তরণে সমাধান আনতে হবে। এর আর কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। আরেকজন দর্শক জানতে চান চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে হঠাৎ করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আয়োজনের তোড়জোড় শুরু হলো কেন ? জবাবে শওকত মাহমুদ বলেন রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না করে এ নির্বাচন আয়োজন হবে একটি প্রহসন। অন্যদিকে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিতের জন্যই এ নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এএইচ
রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের ১০৮তম পর্ব হয়। এবার অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ইংরেজি দৈনিক দ্য অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সিনিয়র সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তাজমেরি এস এ ইসলাম এবং বেসরকারি সংগঠন নিজেরা করি’র সমন্বয়ক খুশী কবির। অনুষ্ঠানে এক দর্শক জানতে চান- সালাহ উদ্দিন আহমদের বিষয়টি কি নিছক একটি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা, নাকি তা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের একটি চেষ্টা? জবাবে খুশী কবির বলেন, “দুটোই হতে পারে। প্রতিপক্ষ দমনের চেষ্টা বর্তমান সরকার ও বিগত সরকার সবাই করেছে।” তিনি বলেন, “একজন মানুষ নিখোঁজ হয়ে গেলো। আমরা অবশ্যই এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন। সালাহ উদ্দিন আহমদকে হাজির করতে আদালত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য আমরা রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করছি।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, খালেদা জিয়াকে জবাব দিতে হবে, তিনি সালাহ উদ্দিন আহমেদকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন। এ বিষয়ে এক দর্শক বলেন, “খালেদা জিয়া খোঁজ দিতে পারলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ কী?” শওকত মাহমুদ বলেন, “সরকার যে লুকিয়ে রাখার কথা বলছে, তা প্রমাণ করুক।” বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর খোঁজ মিলছে না। কয়েকদিন পরে দেখা যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্বীকার করছে।” সালাহ উদ্দিনের ঘটনা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের চেষ্টা বলে এক দর্শক মত দেন। আরেক দর্শক বলেন, “বর্তমান সরকারের সময়ে এভাবে নিখোঁজ বা গুমের ঘটনার ধারাবাহিকতা চললে, আগামীতে কোনো সরকার এলেও এটি কি চলতেই থাকবে?” ড. তাজমেরি এস এ ইসলাম বলেন, “সালাহ উদ্দিন আহমেদ এমন নেতা নন, যিনি কোথাও লুকিয়ে থাকবেন। তিনি একজন সিনিয়র নেতা। কোনো ব্যক্তি নিখোঁজের পর তাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব যাদের সেসব সরকারি লোকেরা যে বলছে জানে না। আমার প্রশ্ন- দেশে সরকারের ভেতর কি আরো কোনো সরকার আছে?” সালাহ উদ্দিনকে হাজিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আদালতের নির্দেশ থাকায় এ বিষয়ে কোনো মতামত দেননি ইকবাল সোবহান চৌধুরী। অনুষ্ঠানটির প্রযোজনা করেন ওয়ালিউর রহমান মিরাজ এবং উপস্থাপনা করেন আকবর হোসেন। বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন এবং বিবিসি বাংলার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। এতে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বিষয়ে দর্শকরা সরাসরি আলোচকদের কাছে প্রশ্ন বা মতামত দিতে পারেন। একজন দর্শকের প্রশ্ন ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের জন্য খালেদা জিয়া আবারো যে প্রস্তাব দিয়েছেন চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তা কি একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে? জবাবে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনকে ঘিরে মানুষের মধ্যে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিলো তা পূরণে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি বলেন রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতি দিয়ে গণতন্ত্র হতে পারেনা। তিনি বলেন, “প্রত্যাশা ছিল হয়তো আন্দোলণ বেগবান করবে নয়তো কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন যাতে সংলাপের পরিবেশ তৈরি হয়”। শওকত মাহমুদ বলেন সরকার যেখানে ক্রমাগত সংলাপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে সেখানে খালেদা জিয়া আগে থেকে কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা বলতে পারেননা। সেটি আলোচনায় বসলেই কেবল বিবেচনা করা যেতে পারে। খালেদা জিয়ার প্রস্তাব প্রত্যখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী সহ সরকারি দলের নেতারা যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তারও সমালোচনা করেন। শওকত মাহমুদ বলেন, “বিডিআর বিদ্রোহের পর প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় বসেননি যারা খুন করেছে তাদের সাথে ? এখন রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কেন আলোচনা হবেনা? খুশী কবির বলেন খালেদা জিয়ার বক্তব্যে নতুন কিছুই নেই। সংকট সমাধানের ক্ষেত্রেও তারঁ সর্বশেষ বক্তব্য আলাদা করে কোন ভূমিকা রাখবে না বলেই মনে করেন তিনি। তিনি বলেন মূলত জনগণের কাছে উপস্থিতি প্রমাণের জন্যই খালেদা জিয়া সর্বশেষ বক্তব্য দিয়েছেন। তাজমেরী এস ইসলাম বলেন সন্ত্রাস সহিংসতা কে করছে সেটি পরিষ্কার নয়। তাই জনগনের স্বার্থে প্রধান দু নেত্রীকেই আলোচনায় বসতে হবে এবং সংকট উত্তরণে সমাধান আনতে হবে। এর আর কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। আরেকজন দর্শক জানতে চান চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে হঠাৎ করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আয়োজনের তোড়জোড় শুরু হলো কেন ? জবাবে শওকত মাহমুদ বলেন রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না করে এ নির্বাচন আয়োজন হবে একটি প্রহসন। অন্যদিকে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিতের জন্যই এ নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এএইচ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment