Monday, May 11, 2015

ছিটমহলবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর:আরটিএনএন

ছিটমহলবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর নিউজ ডেস্ক আরটিএনএন ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের সময় ভারতীয় সীমান্ত বরাবর ছিটমহলগুলোতে যে কোনো গোষ্ঠীর সমস্যা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য জেলা প্রশাসন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন ত
িনি। সোমবার ছয় জেলার সমন্বয় কমিটি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভারতের লোকসভায় স্থলসীমান্ত চুক্তি পাসের পর আমাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে এই চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা।’ শেখ হাসিনা বলেন, ছিটমহলের মানুষ যেন কোনো সমস্যার মুখে না পড়ে এবং কেউ যেন তাদের আতঙ্কগ্রস্ত করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। ছিটমহলগুলোর মানুষের সংস্পর্শে থাকতে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, বর্ডার গার্ড (বিজিবি), আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহবান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছিটমহলের মানুষ খুবই দুর্ভোগের মাঝে দিনাতিপাত করছে। বিগত ৬৮ বছর থেকে তারা দুর্দশাগ্রস্ত জীবন কাটাচ্ছে। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া।’ তিনি বলেন, ‘ছিটমহলগুলোর সার্বিক উন্নয়ন ও এর অধিবাসীদের কল্যাণে ইতোমধ্যে প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানকার গৃহহীন মানুষের জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টির পাশাপাশি হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক, স্কুল ও রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘সীমান্ত চুক্তি ছিটমহলবাসীদের জন্য আমাদের দায়িত্ব বৃদ্ধি করেছে। এ দায়িত্ব আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে এই চুক্তির সঠিক বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ।’ প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকের পর সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা কৰ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন। তিনি পঞ্চগড় ও টাঙ্গাইল জেলা উন্নয়ন সমন্বয়ন কমিটির সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় জামালপুর, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, কিশোরগঞ্জ এবং ঢাকা ও রংপুর বিভাগীয় কমিশনাররা এ কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন, প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা এবং স্থানীয় সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং স্থানীয় প্রশাসনে গতিশীলতা আনতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার বর্তমান মেয়াদের অবশিষ্ট সময়ে দারিদ্র্যের হার কমপক্ষে আরো ১০ শতাংশ হ্রাসের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ জন্য উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। মন্তব্য      

No comments:

Post a Comment