Wednesday, April 8, 2015

উলফা নেতা মেজর রঞ্জন ও প্রদীপের যাবজ্জীবন:Time News

উলফা নেতা মেজর রঞ্জন ও প্রদীপের যাবজ্জীবন কিশোরগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট টাইম নিউজ বিডি, ০৮ এপ্রিল, ২০১৫ ১৮:০৭:০৭ ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা মেজর রঞ্জন ওতার সহযোগী প্রদীপ মারাককে যাবজ্জীবন সাজা ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদানকরেছেন আদালত। বুধবার কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকমাহবুব উল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণাকালে দুই আসামি আদালতেউপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের
কড়া নিরাপত্তায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অস্ত্রও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের দুই মামলায় মেজর রঞ্জনের এই সাজার আদেশ হয়েছে।অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাজা হয় প্রদীপমারাকের।   মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২০১০ সালের ১৭ জুলাই উলফারঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা মেজর রঞ্জন ও তার এ দেশীয় সহযোগী প্রদীপ মারাককিশোরগঞ্জে আটক হন। ওই দিন ভোর পৌনে ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতের‌্যাব-৯ ভৈরব ক্যাম্পের একটি দল ভৈরব উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশেলক্ষ্মীপুর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে থেকে তাদের আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে চার রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি রিভলবার, একটি নাইন এমএমবিদেশি পিস্তল, চারটি হাতবোমা ও বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারকরা হয়। আটকের পরপরই তাদেরকে ঢাকার র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়েইন্টেলিজেন্স উইং শাখায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মেজর রঞ্জন নিজেকে উলফার নেতাহিসেবে স্বীকার করেন। সেই সঙ্গে উলফার সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্যসীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতিতে অবস্থান এবং স্থানীয় সাবিত্রিদ্রুমকে বিয়ের কথা জানান। এ ঘটনায় র‌্যাব-৯ ভৈরব ক্যাম্পেরউপসহকারী পরিচালক মো. করিম উল্লাহ বাদী হয়ে অনুপ্রবেশ, সন্ত্রাস দমন আইন, অস্ত্র আইন ও বিস্ফোরক আইনে আটক দুজনকে আসামি করে ভৈরব থানায় পৃথক চারটিমামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে সন্ত্রাস দমন আইনে দায়েরকৃত মামলায় ২০১০ সালেরসেপ্টেম্বর এবং অস্ত্র আইনের মামলায় একই বছরের ২৬ আগস্ট চার্জশিট প্রদানকরা হয়। দুটি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ভৈরবথানার উপপরিদর্শক হুমায়ুন কবির। মামলাটি পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর শাহ্ আজিজুল হক এবং আসামিপক্ষে মিজানুর রহমান। কেবি


No comments:

Post a Comment