
্রলয়ংকারী প্রাকৃতিক বিপর্যয় সুনামির কথা। সমুদ্রের তলদেশে সৃষ্ট ভূমিকম্পের ফলে তীব্র ও বিধ্বংসী ঢেউ তৈরি হওয়াকেই বলা হয় সুনামি। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরের তলদেশে ৯.১ মাত্রার ভয়াবহ এক ভূমিকম্পের আঘাতে প্রায় পুরো মহাসাগর উত্তাল হয়ে উঠে। মহাসাগরের পানি গিয়ে আছড়ে পড়ে এশিয়ার প্রায় এক ডজন দেশের উপকূলে। ধুয়ে-মুছে নিয়ে যায় লাখো প্রাণ, পশুপাখি, গাছপালা, ঘরবাড়ি, বিভিন্ন স্থাপনা এবং প্রায় সবকিছু। রেখে গিয়েছে এক ভয়াল স্মৃতি। এই ভয়াল স্মৃতি নিয়েই সুনামির দশম বার্ষিকী পালন করলো বিশ্ববাসী। বিশেষ করে সুনামি আঘাত হানা দেশগুলোতে দিনটিকে গভীর শোকের সঙ্গে স্মরণ করা হচ্ছে। এ জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও প্রার্থনার আয়োজনও করা হয়েছে দেশে দেশে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের উপকূলে আজ জড়ো হন সুনামি থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষজন, সরকারি কর্মকর্তারা, কূটনীতিকবৃন্দ ও স্বজন হারানো লোকজন। নীরবতা পালনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সুনামিতে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের স্মরণ করা হয়। সুনামিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশ। আচেহ প্রদেশে স্মরণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট। সুনামিতে নিহত দুই লাখ ২০ হাজার মানুষের মধ্যে এই আচেহরই রয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার জন। শ্রীলঙ্কায় সুনামির আঘাতে উপকূলবর্তী একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে মারা যান ১,২৭০ যাত্রী। থাইল্যান্ডে মারা যান ৫,৩৯৫ জন। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার জনই হলেন পর্যটক। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন তিন হাজার জন। সূত্র: আল জাজিরা এমএ
No comments:
Post a Comment