রলেন। বুধবার দুপুর সোয়া ২টায় দলের সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে তাঁর নিজ কার্যালয়ে ইট, বালি ও কাঠের ট্রাকসহ বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার পরও বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করা হয়নি মর্মে প্রধানমন্ত্রী জাতির সামনে মিথ্যাচার করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপি’র সদর কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ রেখে প্রতিদিন বিরোধী দলের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, প্রতিদিন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাদা পোষাকধারীরা তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে কোনো না কোনো মায়ের বুক খালি করছে, এসব পৈশাচিক ও মানবতাবিরোধী অপকর্মগুলো কার নির্দেশে তামিল করা হচ্ছে ? সেটিও জনগণ জানে। রিজভী আহমেদ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ণ চালাতে একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করার মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে নাশকতা সৃষ্টি করে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলোকে কড়াকড়িভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। তিনি আরও বলেন, এই সরকার যে ভয়ংকর গণদুশমন তার আরও একটি প্রমান হলো-কথিত বন্দুক যুদ্ধে বিএনপি নেতা-কর্মীদেরকে হত্যার জন্য পুলিশকে সমর্থন দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যেনো হিটলারের সহযোগী নাৎসী আইকম্যানের ভুমিকা পালন করছেন। আদিম শিকারীরা যেমন শিকারকে বধ করার পর বন্য উল্লাসে মেতে উঠে, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য সেই উল্লাসেরই প্রতিধ্বণি। এ ধরণের মানবতাবিরোধী বক্তব্য কেবলমাত্র বেআইনী অবৈধ সরকারের সদস্যদেরই সাজে। বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সংসদে দেয়া বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যাচারের তীব্র সমালোচনা করে বর্তমান অবৈধ সরকার কর্তৃক নিষ্ঠুর জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে ২০ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ জনগণের প্রতি উদ্বাত্ত আহবান জানান। একইসঙ্গে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত চলমান অবরোধ কর্মসূচিসহ ২০ দলীয় জোটের আজ থেকে শুরু হওয়া ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হরতাল কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান। এর আগে সকালে রিজভী বলেন, সরকার দেশকে ‘হত্যা ও লাশের মহামারির’ দেশে পরিণত করতে ‘পোড়ামাটি নীতি’ অবলম্বন করছে। গত বছর ৫ জানুয়ারির আগে বিরোধী দলের কর্মীদের বাসা থেকে বা অন্য কোনো জায়গা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে গুম করে দেওয়া কিংবা কয়েক দিন পর ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকার মতো অবস্থা আবার দেখা যাচ্ছে। রিজভী অভিযোগ করেন, বিরোধী দলের আন্দোলন ঠেকাতে আবারও সরকারকে হত্যার নেশায় পেয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো আবার কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে আন্দোলনরত বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করছে। এরই মধ্যে ১০ জনের বেশি বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যার সংবাদ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। রিজভী বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করছে পুলিশ-র্যাব। যাকে পাওয়া যাচ্ছে, তাকেই সেখান থেকে তুলে নিয়ে হয়তোবা সেখানেই অথবা অন্য কোনো অজ্ঞাত স্থানে গুলি করে হত্যা করার পর লাশ উদ্ধার দেখাচ্ছে।’ তিনি বলেন, গত পরশু রাতে রাজধানীতে সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনিকে তাঁর মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। এ ছাড়া নড়াইল পৌর কমিশনারের লাশ ঢাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। শুধু বিরোধী দলের আন্দোলনকে দমানোর জন্য সরকারি বাহিনীগুলোকে মানবতাবিরোধী গুম, গুপ্তহত্যার অবাধ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। সরকার তার এজেন্টদের দিয়ে পরিকল্পিতভাবে নাশকতা সৃষ্টি করে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপাতে হরদম মিডিয়াতে প্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রিজভী বলেন, ‘অধিকাংশ গণমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কবজা করে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কুৎসা আর অপপ্রচারের ধূম চালানো হচ্ছে।’ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ঘোষণা করা জনগণের দাবি বলে মন্তব্য করেন রিজভী। ঢাকা মহানগরসহ ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল সফল করতে আহ্বান জানান তিনি। এমএইচ/এসএইচ
Wednesday, January 21, 2015
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জাতির সাথে মিথ্যার অবতারণা: রিজভী:Time News
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জাতির সাথে মিথ্যার অবতারণা: রিজভী স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ২১ জানুয়ারি, ২০১৫ ০৩:৩৭:৩৩ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে খুনী আখ্যায়িত করে বিচারের মুখোমুখী করার হুমকি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গতকাল (মঙ্গলবার) সংসদে দেয়ার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এতে করে তিনি জাতির কাছে আরেকটি মিথ্যাচারের অবতারণা ক
রলেন। বুধবার দুপুর সোয়া ২টায় দলের সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে তাঁর নিজ কার্যালয়ে ইট, বালি ও কাঠের ট্রাকসহ বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার পরও বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করা হয়নি মর্মে প্রধানমন্ত্রী জাতির সামনে মিথ্যাচার করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপি’র সদর কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ রেখে প্রতিদিন বিরোধী দলের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, প্রতিদিন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাদা পোষাকধারীরা তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে কোনো না কোনো মায়ের বুক খালি করছে, এসব পৈশাচিক ও মানবতাবিরোধী অপকর্মগুলো কার নির্দেশে তামিল করা হচ্ছে ? সেটিও জনগণ জানে। রিজভী আহমেদ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ণ চালাতে একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করার মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে নাশকতা সৃষ্টি করে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলোকে কড়াকড়িভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। তিনি আরও বলেন, এই সরকার যে ভয়ংকর গণদুশমন তার আরও একটি প্রমান হলো-কথিত বন্দুক যুদ্ধে বিএনপি নেতা-কর্মীদেরকে হত্যার জন্য পুলিশকে সমর্থন দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যেনো হিটলারের সহযোগী নাৎসী আইকম্যানের ভুমিকা পালন করছেন। আদিম শিকারীরা যেমন শিকারকে বধ করার পর বন্য উল্লাসে মেতে উঠে, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য সেই উল্লাসেরই প্রতিধ্বণি। এ ধরণের মানবতাবিরোধী বক্তব্য কেবলমাত্র বেআইনী অবৈধ সরকারের সদস্যদেরই সাজে। বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সংসদে দেয়া বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যাচারের তীব্র সমালোচনা করে বর্তমান অবৈধ সরকার কর্তৃক নিষ্ঠুর জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে ২০ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ জনগণের প্রতি উদ্বাত্ত আহবান জানান। একইসঙ্গে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত চলমান অবরোধ কর্মসূচিসহ ২০ দলীয় জোটের আজ থেকে শুরু হওয়া ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হরতাল কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান। এর আগে সকালে রিজভী বলেন, সরকার দেশকে ‘হত্যা ও লাশের মহামারির’ দেশে পরিণত করতে ‘পোড়ামাটি নীতি’ অবলম্বন করছে। গত বছর ৫ জানুয়ারির আগে বিরোধী দলের কর্মীদের বাসা থেকে বা অন্য কোনো জায়গা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে গুম করে দেওয়া কিংবা কয়েক দিন পর ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকার মতো অবস্থা আবার দেখা যাচ্ছে। রিজভী অভিযোগ করেন, বিরোধী দলের আন্দোলন ঠেকাতে আবারও সরকারকে হত্যার নেশায় পেয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো আবার কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে আন্দোলনরত বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করছে। এরই মধ্যে ১০ জনের বেশি বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যার সংবাদ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। রিজভী বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করছে পুলিশ-র্যাব। যাকে পাওয়া যাচ্ছে, তাকেই সেখান থেকে তুলে নিয়ে হয়তোবা সেখানেই অথবা অন্য কোনো অজ্ঞাত স্থানে গুলি করে হত্যা করার পর লাশ উদ্ধার দেখাচ্ছে।’ তিনি বলেন, গত পরশু রাতে রাজধানীতে সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনিকে তাঁর মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। এ ছাড়া নড়াইল পৌর কমিশনারের লাশ ঢাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। শুধু বিরোধী দলের আন্দোলনকে দমানোর জন্য সরকারি বাহিনীগুলোকে মানবতাবিরোধী গুম, গুপ্তহত্যার অবাধ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। সরকার তার এজেন্টদের দিয়ে পরিকল্পিতভাবে নাশকতা সৃষ্টি করে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপাতে হরদম মিডিয়াতে প্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রিজভী বলেন, ‘অধিকাংশ গণমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কবজা করে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কুৎসা আর অপপ্রচারের ধূম চালানো হচ্ছে।’ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ঘোষণা করা জনগণের দাবি বলে মন্তব্য করেন রিজভী। ঢাকা মহানগরসহ ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল সফল করতে আহ্বান জানান তিনি। এমএইচ/এসএইচ
রলেন। বুধবার দুপুর সোয়া ২টায় দলের সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে তাঁর নিজ কার্যালয়ে ইট, বালি ও কাঠের ট্রাকসহ বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার পরও বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করা হয়নি মর্মে প্রধানমন্ত্রী জাতির সামনে মিথ্যাচার করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপি’র সদর কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ রেখে প্রতিদিন বিরোধী দলের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, প্রতিদিন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাদা পোষাকধারীরা তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে কোনো না কোনো মায়ের বুক খালি করছে, এসব পৈশাচিক ও মানবতাবিরোধী অপকর্মগুলো কার নির্দেশে তামিল করা হচ্ছে ? সেটিও জনগণ জানে। রিজভী আহমেদ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ণ চালাতে একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করার মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে নাশকতা সৃষ্টি করে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলোকে কড়াকড়িভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। তিনি আরও বলেন, এই সরকার যে ভয়ংকর গণদুশমন তার আরও একটি প্রমান হলো-কথিত বন্দুক যুদ্ধে বিএনপি নেতা-কর্মীদেরকে হত্যার জন্য পুলিশকে সমর্থন দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যেনো হিটলারের সহযোগী নাৎসী আইকম্যানের ভুমিকা পালন করছেন। আদিম শিকারীরা যেমন শিকারকে বধ করার পর বন্য উল্লাসে মেতে উঠে, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য সেই উল্লাসেরই প্রতিধ্বণি। এ ধরণের মানবতাবিরোধী বক্তব্য কেবলমাত্র বেআইনী অবৈধ সরকারের সদস্যদেরই সাজে। বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সংসদে দেয়া বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যাচারের তীব্র সমালোচনা করে বর্তমান অবৈধ সরকার কর্তৃক নিষ্ঠুর জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে ২০ দলীয় জোটের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ জনগণের প্রতি উদ্বাত্ত আহবান জানান। একইসঙ্গে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত চলমান অবরোধ কর্মসূচিসহ ২০ দলীয় জোটের আজ থেকে শুরু হওয়া ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হরতাল কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান। এর আগে সকালে রিজভী বলেন, সরকার দেশকে ‘হত্যা ও লাশের মহামারির’ দেশে পরিণত করতে ‘পোড়ামাটি নীতি’ অবলম্বন করছে। গত বছর ৫ জানুয়ারির আগে বিরোধী দলের কর্মীদের বাসা থেকে বা অন্য কোনো জায়গা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে গুম করে দেওয়া কিংবা কয়েক দিন পর ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকার মতো অবস্থা আবার দেখা যাচ্ছে। রিজভী অভিযোগ করেন, বিরোধী দলের আন্দোলন ঠেকাতে আবারও সরকারকে হত্যার নেশায় পেয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো আবার কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে আন্দোলনরত বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করছে। এরই মধ্যে ১০ জনের বেশি বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যার সংবাদ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। রিজভী বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করছে পুলিশ-র্যাব। যাকে পাওয়া যাচ্ছে, তাকেই সেখান থেকে তুলে নিয়ে হয়তোবা সেখানেই অথবা অন্য কোনো অজ্ঞাত স্থানে গুলি করে হত্যা করার পর লাশ উদ্ধার দেখাচ্ছে।’ তিনি বলেন, গত পরশু রাতে রাজধানীতে সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনিকে তাঁর মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। এ ছাড়া নড়াইল পৌর কমিশনারের লাশ ঢাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। শুধু বিরোধী দলের আন্দোলনকে দমানোর জন্য সরকারি বাহিনীগুলোকে মানবতাবিরোধী গুম, গুপ্তহত্যার অবাধ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। সরকার তার এজেন্টদের দিয়ে পরিকল্পিতভাবে নাশকতা সৃষ্টি করে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপাতে হরদম মিডিয়াতে প্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রিজভী বলেন, ‘অধিকাংশ গণমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কবজা করে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কুৎসা আর অপপ্রচারের ধূম চালানো হচ্ছে।’ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ঘোষণা করা জনগণের দাবি বলে মন্তব্য করেন রিজভী। ঢাকা মহানগরসহ ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল সফল করতে আহ্বান জানান তিনি। এমএইচ/এসএইচ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment