
বিশাল জনসমাগম আর বর্ণিল আতশবাজির মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয় নতুন বছরকে। তবে, বাংলাদেশে যখন নতুন বছর শুরু হয়ে গেছে, সেখানে লন্ডনবাসীকে অপেক্ষা করতে হবে আরও ৬ ঘণ্টা। আমেরিকার অপেক্ষা ১২ ঘণ্টা। ঘড়ির কাটায় রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর ঢাকার আকাশেও শুরু হয় আতশবাজির ঝলকানি। বাসার ছাদে উঠে সেই আলোর ঝলকানি দেখে বিপুল হর্ষধ্বনি আর হাততালির মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালকে আমন্ত্রণ জানায় ঢাকাবাসী। তবে প্রতিবারের মতো এবারও রাজধানীতে বর্ষবরণের কেন্দ্রস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি। মধ্য রাতে সেখানে তরুণ-তরুণীরা নেচে-গেয়ে আনন্দের মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালকে স্বাগত জানায়। কেউবা আবার মেতে উঠে আগুনের খেলা নিয়ে, কেউ আবার ফটকা আর আতশবাজি ফোটায়। কারো মাথায় লাল-সবুজের পতাকা, কেউ আবার বেঁধেছে লাল ফিতা। অনেকে মেতেছেন ঢোলের তালে তালে নৃত্যে। এদিকে থার্টি ফাস্ট নাইটে নিরাপত্তা জোরদার ও স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় টহলে রয়েছে র্যাব-পুলিশসহ নিরাপত্তাবাহিনী। এবার ‘বডি ক্যামেরা’ লাগিয়ে মাঠে নামছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। দেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে শাহবাগে ‘বডি ক্যামেরা’ ব্যবহার করা হচ্ছে। ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশের সামনের দিকে (বুকের ওপর) বিশেষ কায়দায় এই ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার কিংবা উন্মক্ত কোনো স্থানে এবার সমাবেশ ও নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান করতে দেয়া হয়নি। তবে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও উৎসব প্রেমিক বাঙালি ২০১৫ সালকে বরণ করতে এতটুকু কার্পণ্য করেনি। বরং অন্যান্য বারের চেয়ে এবার আরো বেশি করে মেতে উঠেছে বাঙালি। রাজধানীর আকাশে তাকালেই সেটা বোঝা যায়। এমএ
No comments:
Post a Comment