রকারের হাতে নেই কোন সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা। জাহাজ ডুবির ঘটনায় জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অনুসন্ধান কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে এমন চিত্রই উঠে আসে। রাজধানীর একটি হোটেলে আজ (বুধবার) বিকেলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাতিসংঘের প্রতিনিধি মিস অ্যামেলিয়া এবং ইউনেস্কোর প্রতিনিধি বিয়েট্রিস কালডানসহ অনুসন্ধান টীমের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে, পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সুন্দরবন এলাকার যেই নৌ রুটটিতে মংলাবন্দরে মালামাল পরিবহন করা হয় সেটি দুর্ঘটনার পর থেকে বন্ধ রয়েছে। তবে, মংলা বন্দরগামী মালামাল পরিবহনের এটিই একমাত্র রুট হওয়ায় বেশিদিন এটি বন্ধ রাখলে তা গোটা দেশের নিত্য পণ্যের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। মংলাবন্দরে যাতায়াতে বিকল্প রুট চালুসহ অনেকগুলো প্রস্তাবনা নিয়ে সরকার কাজ করছে বলেও জানান পরিবেশ মন্ত্রী। বন্ধ রুটটি শিগগিরই আবার চালু হচ্ছে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে অবশ্য মন্ত্রী স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। এদিকে, সুন্দরবন এলাকা থেকে তেল, সারসহ পন্য পরিবহনের রুটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে আবারও সুপারিশ করেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জাতিসংঘের প্রতিনিধি মিস অ্যামেলিয়া। তবে, তেলের জাহাজ ডুবির পর পরই সাধারণ মানুষের অংশগ্রহনে তেল সংগ্রহসহ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ এবং নভেম্বরে সমুদ্রে মরা কটাল বিরাজ করায় পানির স্তর অনেক নিচে ছিল এবং সেই কারণে তেল সুন্দর বনের ভেতরে ততটা ছড়িয়ে পড়েনি বলে দাবি করেন তদন্ত কমিটির কয়েকজন বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞ। এর ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও অনেক কম হয়েছে বলে দাবি ওই বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু সুন্দরবনে জীব-বৈচিত্রের ওপর ছড়িয়ে পড়া তেল দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে-এরইমধ্যে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের এমন মতামতের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পরিবেশ মন্ত্রী ও উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাবে না। এই ঘটনায় কিছু দিন পর পর অনুসন্ধান কাজ চালাতে হবে এবং প্রভাব পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আর এই অনুসন্ধান কাজ চালাতে অর্থ দেয়ার জন্য জাতিসংঘসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংগঠনই রাজি আছে বলেও আশ্বস্ত করেন পরিবেশ মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ কাজে যে অর্থ লাগবে তা খুব বেশি নয় এবং কেউ না এগিয়ে আসলেও সরকার এই খরচ বহন করতে পারবে। এদিকে, সাড়ে তিন লাখ লিটার ফার্নেস তেল নিয়ে জাহাজ ডুবির ঘটনায় পরিবেশ মন্ত্রনালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির পর জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের যৌথ তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হলো। সব মিলিয়ে তিন তদন্ত প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য কী-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি পরিবেশ মন্ত্রী। এমনকী বিপুল তেল ভর্তি জাহাজটি ওইদিন কেন ডুবলো তারও কোন সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে কীনা-এমন প্রশ্নেরও কোন সদুত্তর দেননি মন্ত্রী। তবে, মন্ত্রীর সাথে থাকা একজন এ সময় বলেন, সব তদন্ত প্রতিবেদনের মূল সুপারিশ ও রিপোর্ট খুব শিগগিরই জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এ সময় বলেন, সুন্দরবনের স্বার্থে যে কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আসা সুপারিশ সরকার সাদরে গ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে, ২৫-সদস্যের বাংলাদেশ-জাতিসংঘের যৌথ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, সাড়ে তিন লাখ লিটারের মধ্যে ৬৮ হাজার লিটার তেল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গত ২২-২৭ ডিসেম্বর দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় অবস্থান করেন এই তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হবার পর এমন কোন দুর্ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেনি যা সরকার সফলতার সাথে মোকাবেলা করেনি। তিনি বলেন, আমরা অনেক কিছু পুষিয়ে নিয়েছি, আমরা পুষিয়ে নিতে পারি এবং ভবিষ্যতেও পুষিয়ে নিতে পারবো। এদিকে, সুন্দরবন এলাকায় রামপাল বিদ্যুত প্রকল্প স্থাপনের যে কার্যক্রম নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে সেই প্রকল্পের সমস্ত মালামালও একই রুট দিয়ে পরিবহনের ফলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে কীনা-জানতে চাইলে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, রামপাল বিদ্যুত প্রকল্প হবে সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি দিয়ে। এখানে বিপর্যয়ের কোন আশংকা নেই। উল্লেখ্য, গত ৯ই ডিসেম্বর সুন্দরবনের শ্যালা নদীর মৃগমারী এলাকায় ফার্নেস তেলবাহী ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ অপর একটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। কেবি
Thursday, January 1, 2015
সুন্দরবনে তেলের প্রভাব নিয়ে এখনো অন্ধকারে সরকার:Time News
সুন্দরবনে তেলের প্রভাব নিয়ে এখনো অন্ধকারে সরকার ডেস্ক টাইম নিউজ বিডি, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ ১৯:১১:০৩ সুন্দরবনে তেলের প্রভাব নিয়ে এখনো অন্ধকারে সরকার সুন্দরবন এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ লিটার তেল ভর্তি জাহাজ ডুবির ঘটনার ২১ দিনের মাথায়ও সরকারের হাতে এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে কোন তথ্য নেই। এমনকী এতদিন পরেও কেন এই বিপুল পরিমান জ্বালানী তেল নিয়ে সুন্দরবন এলাকা পাড়ি দেয়ার সময় জাহাজটি ডুবে গেল সে ব্যাপারেও স
রকারের হাতে নেই কোন সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা। জাহাজ ডুবির ঘটনায় জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অনুসন্ধান কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে এমন চিত্রই উঠে আসে। রাজধানীর একটি হোটেলে আজ (বুধবার) বিকেলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাতিসংঘের প্রতিনিধি মিস অ্যামেলিয়া এবং ইউনেস্কোর প্রতিনিধি বিয়েট্রিস কালডানসহ অনুসন্ধান টীমের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে, পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সুন্দরবন এলাকার যেই নৌ রুটটিতে মংলাবন্দরে মালামাল পরিবহন করা হয় সেটি দুর্ঘটনার পর থেকে বন্ধ রয়েছে। তবে, মংলা বন্দরগামী মালামাল পরিবহনের এটিই একমাত্র রুট হওয়ায় বেশিদিন এটি বন্ধ রাখলে তা গোটা দেশের নিত্য পণ্যের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। মংলাবন্দরে যাতায়াতে বিকল্প রুট চালুসহ অনেকগুলো প্রস্তাবনা নিয়ে সরকার কাজ করছে বলেও জানান পরিবেশ মন্ত্রী। বন্ধ রুটটি শিগগিরই আবার চালু হচ্ছে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে অবশ্য মন্ত্রী স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। এদিকে, সুন্দরবন এলাকা থেকে তেল, সারসহ পন্য পরিবহনের রুটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে আবারও সুপারিশ করেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জাতিসংঘের প্রতিনিধি মিস অ্যামেলিয়া। তবে, তেলের জাহাজ ডুবির পর পরই সাধারণ মানুষের অংশগ্রহনে তেল সংগ্রহসহ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ এবং নভেম্বরে সমুদ্রে মরা কটাল বিরাজ করায় পানির স্তর অনেক নিচে ছিল এবং সেই কারণে তেল সুন্দর বনের ভেতরে ততটা ছড়িয়ে পড়েনি বলে দাবি করেন তদন্ত কমিটির কয়েকজন বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞ। এর ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও অনেক কম হয়েছে বলে দাবি ওই বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু সুন্দরবনে জীব-বৈচিত্রের ওপর ছড়িয়ে পড়া তেল দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে-এরইমধ্যে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের এমন মতামতের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পরিবেশ মন্ত্রী ও উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাবে না। এই ঘটনায় কিছু দিন পর পর অনুসন্ধান কাজ চালাতে হবে এবং প্রভাব পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আর এই অনুসন্ধান কাজ চালাতে অর্থ দেয়ার জন্য জাতিসংঘসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংগঠনই রাজি আছে বলেও আশ্বস্ত করেন পরিবেশ মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ কাজে যে অর্থ লাগবে তা খুব বেশি নয় এবং কেউ না এগিয়ে আসলেও সরকার এই খরচ বহন করতে পারবে। এদিকে, সাড়ে তিন লাখ লিটার ফার্নেস তেল নিয়ে জাহাজ ডুবির ঘটনায় পরিবেশ মন্ত্রনালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির পর জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের যৌথ তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হলো। সব মিলিয়ে তিন তদন্ত প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য কী-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি পরিবেশ মন্ত্রী। এমনকী বিপুল তেল ভর্তি জাহাজটি ওইদিন কেন ডুবলো তারও কোন সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে কীনা-এমন প্রশ্নেরও কোন সদুত্তর দেননি মন্ত্রী। তবে, মন্ত্রীর সাথে থাকা একজন এ সময় বলেন, সব তদন্ত প্রতিবেদনের মূল সুপারিশ ও রিপোর্ট খুব শিগগিরই জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এ সময় বলেন, সুন্দরবনের স্বার্থে যে কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আসা সুপারিশ সরকার সাদরে গ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে, ২৫-সদস্যের বাংলাদেশ-জাতিসংঘের যৌথ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, সাড়ে তিন লাখ লিটারের মধ্যে ৬৮ হাজার লিটার তেল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গত ২২-২৭ ডিসেম্বর দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় অবস্থান করেন এই তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হবার পর এমন কোন দুর্ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেনি যা সরকার সফলতার সাথে মোকাবেলা করেনি। তিনি বলেন, আমরা অনেক কিছু পুষিয়ে নিয়েছি, আমরা পুষিয়ে নিতে পারি এবং ভবিষ্যতেও পুষিয়ে নিতে পারবো। এদিকে, সুন্দরবন এলাকায় রামপাল বিদ্যুত প্রকল্প স্থাপনের যে কার্যক্রম নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে সেই প্রকল্পের সমস্ত মালামালও একই রুট দিয়ে পরিবহনের ফলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে কীনা-জানতে চাইলে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, রামপাল বিদ্যুত প্রকল্প হবে সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি দিয়ে। এখানে বিপর্যয়ের কোন আশংকা নেই। উল্লেখ্য, গত ৯ই ডিসেম্বর সুন্দরবনের শ্যালা নদীর মৃগমারী এলাকায় ফার্নেস তেলবাহী ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ অপর একটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। কেবি
রকারের হাতে নেই কোন সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা। জাহাজ ডুবির ঘটনায় জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অনুসন্ধান কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে এমন চিত্রই উঠে আসে। রাজধানীর একটি হোটেলে আজ (বুধবার) বিকেলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাতিসংঘের প্রতিনিধি মিস অ্যামেলিয়া এবং ইউনেস্কোর প্রতিনিধি বিয়েট্রিস কালডানসহ অনুসন্ধান টীমের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে, পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সুন্দরবন এলাকার যেই নৌ রুটটিতে মংলাবন্দরে মালামাল পরিবহন করা হয় সেটি দুর্ঘটনার পর থেকে বন্ধ রয়েছে। তবে, মংলা বন্দরগামী মালামাল পরিবহনের এটিই একমাত্র রুট হওয়ায় বেশিদিন এটি বন্ধ রাখলে তা গোটা দেশের নিত্য পণ্যের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। মংলাবন্দরে যাতায়াতে বিকল্প রুট চালুসহ অনেকগুলো প্রস্তাবনা নিয়ে সরকার কাজ করছে বলেও জানান পরিবেশ মন্ত্রী। বন্ধ রুটটি শিগগিরই আবার চালু হচ্ছে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে অবশ্য মন্ত্রী স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। এদিকে, সুন্দরবন এলাকা থেকে তেল, সারসহ পন্য পরিবহনের রুটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে আবারও সুপারিশ করেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জাতিসংঘের প্রতিনিধি মিস অ্যামেলিয়া। তবে, তেলের জাহাজ ডুবির পর পরই সাধারণ মানুষের অংশগ্রহনে তেল সংগ্রহসহ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ এবং নভেম্বরে সমুদ্রে মরা কটাল বিরাজ করায় পানির স্তর অনেক নিচে ছিল এবং সেই কারণে তেল সুন্দর বনের ভেতরে ততটা ছড়িয়ে পড়েনি বলে দাবি করেন তদন্ত কমিটির কয়েকজন বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞ। এর ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও অনেক কম হয়েছে বলে দাবি ওই বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু সুন্দরবনে জীব-বৈচিত্রের ওপর ছড়িয়ে পড়া তেল দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে-এরইমধ্যে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের এমন মতামতের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পরিবেশ মন্ত্রী ও উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাবে না। এই ঘটনায় কিছু দিন পর পর অনুসন্ধান কাজ চালাতে হবে এবং প্রভাব পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আর এই অনুসন্ধান কাজ চালাতে অর্থ দেয়ার জন্য জাতিসংঘসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংগঠনই রাজি আছে বলেও আশ্বস্ত করেন পরিবেশ মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ কাজে যে অর্থ লাগবে তা খুব বেশি নয় এবং কেউ না এগিয়ে আসলেও সরকার এই খরচ বহন করতে পারবে। এদিকে, সাড়ে তিন লাখ লিটার ফার্নেস তেল নিয়ে জাহাজ ডুবির ঘটনায় পরিবেশ মন্ত্রনালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির পর জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের যৌথ তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হলো। সব মিলিয়ে তিন তদন্ত প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য কী-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি পরিবেশ মন্ত্রী। এমনকী বিপুল তেল ভর্তি জাহাজটি ওইদিন কেন ডুবলো তারও কোন সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে কীনা-এমন প্রশ্নেরও কোন সদুত্তর দেননি মন্ত্রী। তবে, মন্ত্রীর সাথে থাকা একজন এ সময় বলেন, সব তদন্ত প্রতিবেদনের মূল সুপারিশ ও রিপোর্ট খুব শিগগিরই জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এ সময় বলেন, সুন্দরবনের স্বার্থে যে কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আসা সুপারিশ সরকার সাদরে গ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে, ২৫-সদস্যের বাংলাদেশ-জাতিসংঘের যৌথ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, সাড়ে তিন লাখ লিটারের মধ্যে ৬৮ হাজার লিটার তেল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গত ২২-২৭ ডিসেম্বর দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় অবস্থান করেন এই তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হবার পর এমন কোন দুর্ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেনি যা সরকার সফলতার সাথে মোকাবেলা করেনি। তিনি বলেন, আমরা অনেক কিছু পুষিয়ে নিয়েছি, আমরা পুষিয়ে নিতে পারি এবং ভবিষ্যতেও পুষিয়ে নিতে পারবো। এদিকে, সুন্দরবন এলাকায় রামপাল বিদ্যুত প্রকল্প স্থাপনের যে কার্যক্রম নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে সেই প্রকল্পের সমস্ত মালামালও একই রুট দিয়ে পরিবহনের ফলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে কীনা-জানতে চাইলে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, রামপাল বিদ্যুত প্রকল্প হবে সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি দিয়ে। এখানে বিপর্যয়ের কোন আশংকা নেই। উল্লেখ্য, গত ৯ই ডিসেম্বর সুন্দরবনের শ্যালা নদীর মৃগমারী এলাকায় ফার্নেস তেলবাহী ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ অপর একটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। কেবি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment