ঢাকা: বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, “সরকার সংবিধান স্বীকৃত সভা-সমাবেশ-মিছিল-হরতাল-অবরোধের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে হরণ করেছে ও কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথকে উৎসাহিত করছে এবং এর ফলে বিরোধী মত দলিত হচ্ছে।” মঙ্গলবার বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। পাঠকের উদ্দেশে ড. আসাদুজ্জামান রিপনের বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো- বিসমিল্লাহির রা
হমানির রাহিম প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা, আসসালামু আলাইকুম আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। ১৮ মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যের প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমাদের দলের পক্ষ থেকে কিছু কথা আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে চাই। তিনি সোমবার ঢাকায় বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেছেন, “আমরা সংঘাত নয়, শান্তি চাই।” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ দৃষ্টিভঙ্গিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমাদের দল বিএনপি আগাগোড়াই দেশে সংঘাত-সংঘর্ষের রাজনীতির বিপরীতে শান্তি-সমঝোতা-সম্প্রীতির রাজনীতির পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থানের কথা বলে আসছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটাই সত্যি যে, সরকার সংবিধান স্বীকৃত সভা-সমাবেশ-মিছিল-হরতাল-অবরোধের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে হরণ করেছে ও কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথকে উৎসাহিত করছে এবং এর ফলে বিরোধী মত দলিত হচ্ছে। বিরোধী নেতা-কর্মীরা খুন, গুম, মামলা, হামলা ও গ্রেফতারে জর্জরিত হয়ে পড়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি সু-শাসন ও গণতন্ত্রের জন্য অন্তরায়। বিএনপি কখনই সংঘাত-নৈরাজ্য-হানাহানি-রক্তারক্তির রাজনীতিকে প্রশ্রয় ও সমর্থন দেয় না। একটি উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি বরাবরই শান্তিপূর্ণ পন্থায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে সরকার গঠনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু, ক্ষমতাসীনরাই একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনে জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবি এবং জনগণের ভোটের অধিকারের এই দাবির পক্ষে গড়ে ওঠা বিশ্বজনমতকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে চলেছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বেসলাইন ধরে দেশে শান্তি ও সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে জনগণের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার সমূহ চর্চার পথে সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হবে বলে প্রত্যাশা করি। সুস্থ-স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য বিরোধী দল ও নেতৃত্বকে নির্মূল করার প্রতিহিংসাপরায়ণ খেলা বন্ধ হবে বলে আশা করি। এবং সরকারের যে সব মন্ত্রী-নেতা অতিকথন ও অরুচিকর মন্তব্য প্রকাশ করে শান্তি-সমঝোতার রাজনীতির পথকে সংকুচিত করার প্রায়শই চেষ্টা চালান, তাও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর বন্ধ হবে বলে আমরা আশা করি। সে প্রেক্ষাপট সূচনা করে কালবিলম্ব না করে আটককৃত জাতীয় নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে হবে এবং সর্বোপরি গণদাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা-সংলাপের উদ্যোগ নেবেন সরকার। এটাও আমাদের প্রত্যাশা। আপনাদের উপস্থিতি ও মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ। নতুন বার্তা/জিহ
No comments:
Post a Comment