ত্র জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনারের বাসভবনে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ডেনমার্ক, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা অংশ নেন। এছাড়া জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রকল্প বাংলাদেশের প্রধানও এতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ৫ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বৈঠকে মিলিত হয়। বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন সব দেশের কূটনীতিকরা। এরই মধ্যে কেউ কেউ নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরের ক্ষেত্রে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও চলমান সহিংসতা কারো কাম্য নয়। মূলত নিজ দেশের বাণিজ্যিক স্বার্থেই এ পরিস্থিতির একটি টেকসই সমাধান চাইছেন রাষ্ট্রদূতরা। তবে প্রধান দুই দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থানে পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কাজ করছে কূটনীতিকদের মধ্যে। এ অবস্থায় তারা দেশের সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধানে উত্সাহিত করে প্রতি পাঁচ বছর পর নির্বাচনকেন্দ্রিক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ আর সহিংসতার চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে সহযোগিতা করতে চান। এ বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে প্রতিটি দেশই একে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে অন্য দেশগুলোর স্বার্থের সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে এমন অবস্থানে রয়েছে, যে কারণে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণের বাইরেও এখানকার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা একটি বড় বিষয়। আর বিদেশীদের বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্র তো আমরাই তৈরি করে দিই। তবে কূটনীতিকরা তাদের নিজ স্বার্থে একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেন।’ জানা গেছে, বিএনপির মতো বড় দলের প্রধানকে অবরুদ্ধ করে রাখা ও সংবাদ প্রচারে গণমাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ পরিস্থিতিকে জটিল করেছে বলে মনে করছেন কূটনীতিক মহল। তাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আগাম তথ্য সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটছে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের। এ কারণে বড়দিনকে উপলক্ষ করে যারা নিজেদের দেশে গিয়েছিলেন, তারাও ফিরে এসেছেন ছুটি সংক্ষিপ্ত করে। জানা গেছে, কূটনীতিকপাড়ায় উদ্বেগ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ওয়াকিবহাল। তাই শিগগিরই কূটনৈতিক ব্রিফিং করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে সরকারের অবস্থান তুলে ধরা হবে। জানা গেছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিনিয়ত ঢাকার মিশনগুলো তথ্য সংগ্রহ করে নিজ দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরকে অবহিত করছে। কূটনীতিকরা এ তথ্য সংগ্রহের জন্য সরকার ও বিএনপি— দুই পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। পশ্চিমা কূটনীতিকরা বরাবর বলে আসছিলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে তাদের দেশের অবস্থান আগের মতোই আছে। যদিও পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত নেবে বলে বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেন তারা। কোনো কোনো কূটনীতিকের মতে, সংবিধান রক্ষার নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচন-পরবর্তী সমাধানের পথ খুঁজতে সরকার তার আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে, যা বাংলাদেশের টেকসই গণতান্ত্রিক ধারার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। মন্তব্য
Sunday, January 11, 2015
আবার তৎপর হয়ে উঠছেন বিদেশি কূটনীতিকরা:RTNN
আবার তৎপর হয়ে উঠছেন বিদেশি কূটনীতিকরা নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আবারো তৎপর হয়ে উঠেছেন ঢাকা নিয়োজিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিজ কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ রাখা নিয়ে এরই মধ্যে বৈঠক করেছেন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি দেশ ও সংস্থার রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও মিশনপ্রধানরা। সূ
ত্র জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনারের বাসভবনে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ডেনমার্ক, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা অংশ নেন। এছাড়া জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রকল্প বাংলাদেশের প্রধানও এতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ৫ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বৈঠকে মিলিত হয়। বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন সব দেশের কূটনীতিকরা। এরই মধ্যে কেউ কেউ নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরের ক্ষেত্রে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও চলমান সহিংসতা কারো কাম্য নয়। মূলত নিজ দেশের বাণিজ্যিক স্বার্থেই এ পরিস্থিতির একটি টেকসই সমাধান চাইছেন রাষ্ট্রদূতরা। তবে প্রধান দুই দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থানে পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কাজ করছে কূটনীতিকদের মধ্যে। এ অবস্থায় তারা দেশের সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধানে উত্সাহিত করে প্রতি পাঁচ বছর পর নির্বাচনকেন্দ্রিক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ আর সহিংসতার চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে সহযোগিতা করতে চান। এ বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে প্রতিটি দেশই একে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে অন্য দেশগুলোর স্বার্থের সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে এমন অবস্থানে রয়েছে, যে কারণে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণের বাইরেও এখানকার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা একটি বড় বিষয়। আর বিদেশীদের বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্র তো আমরাই তৈরি করে দিই। তবে কূটনীতিকরা তাদের নিজ স্বার্থে একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেন।’ জানা গেছে, বিএনপির মতো বড় দলের প্রধানকে অবরুদ্ধ করে রাখা ও সংবাদ প্রচারে গণমাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ পরিস্থিতিকে জটিল করেছে বলে মনে করছেন কূটনীতিক মহল। তাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আগাম তথ্য সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটছে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের। এ কারণে বড়দিনকে উপলক্ষ করে যারা নিজেদের দেশে গিয়েছিলেন, তারাও ফিরে এসেছেন ছুটি সংক্ষিপ্ত করে। জানা গেছে, কূটনীতিকপাড়ায় উদ্বেগ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ওয়াকিবহাল। তাই শিগগিরই কূটনৈতিক ব্রিফিং করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে সরকারের অবস্থান তুলে ধরা হবে। জানা গেছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিনিয়ত ঢাকার মিশনগুলো তথ্য সংগ্রহ করে নিজ দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরকে অবহিত করছে। কূটনীতিকরা এ তথ্য সংগ্রহের জন্য সরকার ও বিএনপি— দুই পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। পশ্চিমা কূটনীতিকরা বরাবর বলে আসছিলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে তাদের দেশের অবস্থান আগের মতোই আছে। যদিও পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত নেবে বলে বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেন তারা। কোনো কোনো কূটনীতিকের মতে, সংবিধান রক্ষার নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচন-পরবর্তী সমাধানের পথ খুঁজতে সরকার তার আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে, যা বাংলাদেশের টেকসই গণতান্ত্রিক ধারার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। মন্তব্য
ত্র জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনারের বাসভবনে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ডেনমার্ক, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা অংশ নেন। এছাড়া জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রকল্প বাংলাদেশের প্রধানও এতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ৫ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বৈঠকে মিলিত হয়। বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন সব দেশের কূটনীতিকরা। এরই মধ্যে কেউ কেউ নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরের ক্ষেত্রে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও চলমান সহিংসতা কারো কাম্য নয়। মূলত নিজ দেশের বাণিজ্যিক স্বার্থেই এ পরিস্থিতির একটি টেকসই সমাধান চাইছেন রাষ্ট্রদূতরা। তবে প্রধান দুই দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থানে পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কাজ করছে কূটনীতিকদের মধ্যে। এ অবস্থায় তারা দেশের সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধানে উত্সাহিত করে প্রতি পাঁচ বছর পর নির্বাচনকেন্দ্রিক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ আর সহিংসতার চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে সহযোগিতা করতে চান। এ বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে প্রতিটি দেশই একে অন্যের সঙ্গে সংযুক্ত। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে অন্য দেশগুলোর স্বার্থের সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে এমন অবস্থানে রয়েছে, যে কারণে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণের বাইরেও এখানকার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা একটি বড় বিষয়। আর বিদেশীদের বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্র তো আমরাই তৈরি করে দিই। তবে কূটনীতিকরা তাদের নিজ স্বার্থে একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেন।’ জানা গেছে, বিএনপির মতো বড় দলের প্রধানকে অবরুদ্ধ করে রাখা ও সংবাদ প্রচারে গণমাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ পরিস্থিতিকে জটিল করেছে বলে মনে করছেন কূটনীতিক মহল। তাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আগাম তথ্য সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটছে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের। এ কারণে বড়দিনকে উপলক্ষ করে যারা নিজেদের দেশে গিয়েছিলেন, তারাও ফিরে এসেছেন ছুটি সংক্ষিপ্ত করে। জানা গেছে, কূটনীতিকপাড়ায় উদ্বেগ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ওয়াকিবহাল। তাই শিগগিরই কূটনৈতিক ব্রিফিং করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে সরকারের অবস্থান তুলে ধরা হবে। জানা গেছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিনিয়ত ঢাকার মিশনগুলো তথ্য সংগ্রহ করে নিজ দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরকে অবহিত করছে। কূটনীতিকরা এ তথ্য সংগ্রহের জন্য সরকার ও বিএনপি— দুই পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। পশ্চিমা কূটনীতিকরা বরাবর বলে আসছিলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে তাদের দেশের অবস্থান আগের মতোই আছে। যদিও পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত নেবে বলে বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেন তারা। কোনো কোনো কূটনীতিকের মতে, সংবিধান রক্ষার নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচন-পরবর্তী সমাধানের পথ খুঁজতে সরকার তার আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে, যা বাংলাদেশের টেকসই গণতান্ত্রিক ধারার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment