Wednesday, May 20, 2015

চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশিদের আনার পরামর্শ বিশ্ব ব্যাংকের:টাইমনিউজ

চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশিদের আনার পরামর্শ বিশ্ব ব্যাংকের স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ২০ মে, ২০১৫ ০৮:৫৮:৩২ চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের কাজ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দিতে বিশ্ব ব্যাংক পরামর্শ দিয়েছে শুনে তাতে অমত জানিয়েছেন নৌমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্যরা। মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির সভায় নৌমন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ব ব্যাংকের এই প্রস্তাবের কথা জানানো হয় বলে কমিটি
র এক সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সংসদ সদস্য বলেন, “বৈঠকে সংসদীয় কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো সুপারিশ দেয়নি। তবে কমিটির বেশির ভাগ সদস্য বিশ্ব ব্যাংকের প্রস্তাব নাকচ করার পক্ষে মত দিয়েছেন।” কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। কমিটির সদস্য চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতা এম এ লতিফ সাংবাদিকদের বলেন, “বর্তমানে বন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে কোনো সমস্যা নেই। উন্নত অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও কার্গো হ্যান্ডলিং হয়ে থাকে। “এটি বেসরকারি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়া হলে তারা আমদানি-রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে উচ্চ হারে টাকা আদায় করবে, যা আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।” বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের গতিশীলতা বেড়েছে। গত মার্চ মাসে এই বন্দরে আমদানি-রপ্তানি মিলিয়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯০৮টি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়, যা এক মাসে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংসদীয় কমিটির ওই সদস্য বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন টার্মিনাল তৈরির ভবিষ্যৎ যে পরিকল্পনা আছে, বিশ্ব ব্যাংক তাতে বিনিয়োগ করতে পারে এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী বন্দরের নতুন এলাকা দেশি-বিদেশিদের সমন্বয়ে বেসরকারি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। “সরকারি ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম বন্দর খারাপ চলছে না। বর্তমানে জাহাজ আসা-যাওয়ার সংখ্যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।” তিনি জানান, কমিটি এ বিষয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে মতামত দিতে বলেছে। রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, আবদুল হাই, এম আবদুল লতিফ, রণজিৎ কুমার রায়, আনোয়ারুল আজীম ও মমতাজ বেগম অংশ নেন। এএইচ    

No comments:

Post a Comment