তিনি বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কামারুজ্জামানের সঙ্গে কিছু সময়ের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেখা করবেন। কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষার জন্য আবেদন করলে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। অন্যথায় রায় দ্রুত কার্যকর করবে সরকার।” কামারুজ্জামান সিদ্ধাস্ত জানাতে কত সময় পাবেন জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কারাবিধিতে সাত দিনের কথা বলা আছে। উনি তো এর বেশি চাইতে পারেন না।” তিনি বলেন, “কামারুজ্জমানের কথার জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি ক্ষমাভিক্ষা না চাইলে আইন অনুযায়ী কাজ করব। আজ আমরা আবারও তাকে (কামারুজ্জমান) জিজ্ঞাসা করব। ক্ষমাভিক্ষা না চাইলে জেল কোড অনুযায়ী আমরা কাজ করব।” প্রাণভিক্ষা না চাইলে বৃহস্পতিবারই এই যুদ্ধাপরাধীর দণ্ড কার্যকর করা হবে কি না- এমন প্রশ্নে কামাল বলেন, “আজই হবে কি না তা আমি বলতে পারব না। তবে সময় মতোই কার্যকর হবে।” রায় কার্যকরে ‘কোনো বিলম্ব হচ্ছে না’ মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন,“আপনারা নিশ্চিত থাকেন, যথাযথভাবেই এ প্রক্রিয়া শেষ হবে। আমাদের মেজিস্ট্রেট তার কাছে যাবে। তার বক্তব্য অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এদিকে মুহাম্মদ কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না তা স্পষ্ট করেননি তার আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে দেখা করার পর তার অন্যতম আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “উনি বলেছেন, এর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি চিন্তা করবেন, ভেবে দেখে সিদ্ধান্ত নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে তা জানাবেন।” শিশির মনির, এহসান এ সিদ্দিক, মজিবুর রহমান, মতিউর রহমান আকন্দ ও মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন বেলা ১০ টা ৪৮ থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা কামারুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলেন। ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল শিশির মনির বলেন, কামারুজ্জামান তাদের কাছে রিভিউ খারিজের রায়ের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন, তাদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়েছেন। শিশির মনির, “উনি আমাদের কাছে আইনের বিধি বিধান সম্পর্কে জেনেছেন। দেশে কী নজির রয়েছে জানতে চেয়েছেন। আমরা আইনজীবী হিসাবে যথাসাধ্য জানাতে চেষ্টা করেছি।” কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না এমন প্রশ্নে শিশির মনির বলেন, “বাকি বিষয়গুলো নিতান্তই তার সিদ্ধান্তের বিষয়। উনি আমাদের কাছে আইনের প্রভিশনগুলো জানতে চেয়েছেন। আমরা তাকে সাধ্যমতো জানিয়েছি। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।” ভেবে দেখার জন্য কামারুজ্জামান কতো সময় নেবেন এমন প্রশ্নে এই আইনজীবী বলেন, “তিনি রিজনেবল সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।...উনি ভাবনার সময় নিয়েছেন, চিন্তার সময় নিয়েছেন, কখন কারা কর্তৃপক্ষকে জানাবেন... কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত জানাবেন।” নতুন বার্তা/এসএ
Thursday, April 9, 2015
প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্ত আজকেই নিতে হবে: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী :Natun Barta
ঢাকা: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার সিদ্ধান্ত নিতে আজকের দিনটিই সময় পাবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আদালতের রায়ের নির্দেশনা ও কারাবিধি’ অনুযায়ীই তারা সব পদক্ষেপ নেবেন।
তিনি বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কামারুজ্জামানের সঙ্গে কিছু সময়ের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেখা করবেন। কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষার জন্য আবেদন করলে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। অন্যথায় রায় দ্রুত কার্যকর করবে সরকার।” কামারুজ্জামান সিদ্ধাস্ত জানাতে কত সময় পাবেন জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কারাবিধিতে সাত দিনের কথা বলা আছে। উনি তো এর বেশি চাইতে পারেন না।” তিনি বলেন, “কামারুজ্জমানের কথার জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি ক্ষমাভিক্ষা না চাইলে আইন অনুযায়ী কাজ করব। আজ আমরা আবারও তাকে (কামারুজ্জমান) জিজ্ঞাসা করব। ক্ষমাভিক্ষা না চাইলে জেল কোড অনুযায়ী আমরা কাজ করব।” প্রাণভিক্ষা না চাইলে বৃহস্পতিবারই এই যুদ্ধাপরাধীর দণ্ড কার্যকর করা হবে কি না- এমন প্রশ্নে কামাল বলেন, “আজই হবে কি না তা আমি বলতে পারব না। তবে সময় মতোই কার্যকর হবে।” রায় কার্যকরে ‘কোনো বিলম্ব হচ্ছে না’ মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন,“আপনারা নিশ্চিত থাকেন, যথাযথভাবেই এ প্রক্রিয়া শেষ হবে। আমাদের মেজিস্ট্রেট তার কাছে যাবে। তার বক্তব্য অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এদিকে মুহাম্মদ কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না তা স্পষ্ট করেননি তার আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে দেখা করার পর তার অন্যতম আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “উনি বলেছেন, এর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি চিন্তা করবেন, ভেবে দেখে সিদ্ধান্ত নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে তা জানাবেন।” শিশির মনির, এহসান এ সিদ্দিক, মজিবুর রহমান, মতিউর রহমান আকন্দ ও মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন বেলা ১০ টা ৪৮ থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা কামারুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলেন। ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল শিশির মনির বলেন, কামারুজ্জামান তাদের কাছে রিভিউ খারিজের রায়ের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন, তাদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়েছেন। শিশির মনির, “উনি আমাদের কাছে আইনের বিধি বিধান সম্পর্কে জেনেছেন। দেশে কী নজির রয়েছে জানতে চেয়েছেন। আমরা আইনজীবী হিসাবে যথাসাধ্য জানাতে চেষ্টা করেছি।” কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না এমন প্রশ্নে শিশির মনির বলেন, “বাকি বিষয়গুলো নিতান্তই তার সিদ্ধান্তের বিষয়। উনি আমাদের কাছে আইনের প্রভিশনগুলো জানতে চেয়েছেন। আমরা তাকে সাধ্যমতো জানিয়েছি। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।” ভেবে দেখার জন্য কামারুজ্জামান কতো সময় নেবেন এমন প্রশ্নে এই আইনজীবী বলেন, “তিনি রিজনেবল সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।...উনি ভাবনার সময় নিয়েছেন, চিন্তার সময় নিয়েছেন, কখন কারা কর্তৃপক্ষকে জানাবেন... কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত জানাবেন।” নতুন বার্তা/এসএ
তিনি বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কামারুজ্জামানের সঙ্গে কিছু সময়ের মধ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেখা করবেন। কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষার জন্য আবেদন করলে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। অন্যথায় রায় দ্রুত কার্যকর করবে সরকার।” কামারুজ্জামান সিদ্ধাস্ত জানাতে কত সময় পাবেন জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কারাবিধিতে সাত দিনের কথা বলা আছে। উনি তো এর বেশি চাইতে পারেন না।” তিনি বলেন, “কামারুজ্জমানের কথার জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি ক্ষমাভিক্ষা না চাইলে আইন অনুযায়ী কাজ করব। আজ আমরা আবারও তাকে (কামারুজ্জমান) জিজ্ঞাসা করব। ক্ষমাভিক্ষা না চাইলে জেল কোড অনুযায়ী আমরা কাজ করব।” প্রাণভিক্ষা না চাইলে বৃহস্পতিবারই এই যুদ্ধাপরাধীর দণ্ড কার্যকর করা হবে কি না- এমন প্রশ্নে কামাল বলেন, “আজই হবে কি না তা আমি বলতে পারব না। তবে সময় মতোই কার্যকর হবে।” রায় কার্যকরে ‘কোনো বিলম্ব হচ্ছে না’ মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন,“আপনারা নিশ্চিত থাকেন, যথাযথভাবেই এ প্রক্রিয়া শেষ হবে। আমাদের মেজিস্ট্রেট তার কাছে যাবে। তার বক্তব্য অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এদিকে মুহাম্মদ কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না তা স্পষ্ট করেননি তার আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে দেখা করার পর তার অন্যতম আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “উনি বলেছেন, এর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি চিন্তা করবেন, ভেবে দেখে সিদ্ধান্ত নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে তা জানাবেন।” শিশির মনির, এহসান এ সিদ্দিক, মজিবুর রহমান, মতিউর রহমান আকন্দ ও মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন বেলা ১০ টা ৪৮ থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা কামারুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলেন। ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল শিশির মনির বলেন, কামারুজ্জামান তাদের কাছে রিভিউ খারিজের রায়ের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন, তাদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়েছেন। শিশির মনির, “উনি আমাদের কাছে আইনের বিধি বিধান সম্পর্কে জেনেছেন। দেশে কী নজির রয়েছে জানতে চেয়েছেন। আমরা আইনজীবী হিসাবে যথাসাধ্য জানাতে চেষ্টা করেছি।” কামারুজ্জামান প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না এমন প্রশ্নে শিশির মনির বলেন, “বাকি বিষয়গুলো নিতান্তই তার সিদ্ধান্তের বিষয়। উনি আমাদের কাছে আইনের প্রভিশনগুলো জানতে চেয়েছেন। আমরা তাকে সাধ্যমতো জানিয়েছি। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।” ভেবে দেখার জন্য কামারুজ্জামান কতো সময় নেবেন এমন প্রশ্নে এই আইনজীবী বলেন, “তিনি রিজনেবল সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।...উনি ভাবনার সময় নিয়েছেন, চিন্তার সময় নিয়েছেন, কখন কারা কর্তৃপক্ষকে জানাবেন... কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত জানাবেন।” নতুন বার্তা/এসএ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment