
্রাক ছেড়ে গেলেও শিকার হচ্ছে হামলা ও অগ্নিসংযোগের। ফলে বন্দরটি সচল রাখতে বিকল্প ব্যবস্থায় যানবাহন চালচলের ব্যাবস্থা করতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। সরেজমিনে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে গিয়ে জানা যায়, দেশের অন্যতম আশুগঞ্জ নৌ বন্দরে প্রতিদিন শত শত পণ্যবাহী জাহাজ বিভিন্ন পণ্য ও সার নিয়ে এ বন্দরে নোঙ্গর করে। এসব জাহাজ থেকে সারসহ বিভন্ন পণ্য প্রতিদিন ৫ শতাধিক ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়। আশুগঞ্জ সারকারখানা থেকে উৎপাদিত ইউরিয়া সার ট্রাক ও জাহাজে করে কারখানার অধিনস্থ ৮ জেলার ডিলারদের কাছে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু ডিলাররা কারখানা থেকে সার উত্তোলন করতে পারলেও অবরোধের কারণে নিজ নিজ জেলায় নিয়ে যেতে পারছেন না। অন্যদিকে বিদেশ থেকে আমদানি করা সার নিয়ে তারা পড়েছেন বিপাকে। বর্তমানে টানা অবরোধের কারণে অচল হয়ে পড়ছে নৌবন্দরটি। বন্ধ রয়েছে সার পরিবহন। পাশপাশি ধান চাল, রড, সিমেন্ট পরিবহনে বিঘ্ন ঘটছে। জীবনে ঝুঁকি নিয়ে কিছু কিছু ট্রাক চালক আতঙ্ক নিয়েই মহাসড়কে সার নিয়ে চলাচল করছে। অনেক সময় সার নিয়ে চলাচলের সময় অবরোধকারীদের হামলার শিকারও হয়েছেন তারা। ফলে পুলিশ পাহারায় সার সরবরাহ করার দাবি জানিয়েছেন ট্রাকচালকরা । এ ব্যাপারে জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. তৌহিদুল ইসলাম নাছির জানান, টানা অবরোধের কারণে আশুগঞ্জ নদী বন্দর থেকে ট্রাকে করে সার পরিবহন করা যাচ্ছে না। ট্রাক রাস্তায় গেলেই হামলার শিকার হয়। জেলা সার সমিতির সভাপতি মো.রহুল আমীন বকুল জানান টানা অবরোধের কারণে আশুগঞ্জ সার কারখানায় লক্ষাধিক মেট্রিক টন সার আটকে আছে। সরকারের সরাসরি হস্থক্ষেপে দ্রুত সার সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যথায় কৃত্তিম সার সঙ্কটের আশংকা করছেন তিনি। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌ বন্দরে আটকে থাকা সার দ্রুত সরবরাহ না করলে চলতি মৌসুমে সার সঙ্কট হতে পারে বলে ধারণা করছেন সার ডিলাররা। পাশাপশি রাজনৈতিক দলগুলোকে অবরোধের বিকল্প কিছু ভাবার দাবিও তাদের। জেআই
No comments:
Post a Comment