
ে তুলে নিয়ে গেছে। সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলে আসছিলো যে সালাহউদ্দিনের অবস্থান সম্পর্কে তাদের কিছু জানা নেই। এখন হঠাৎ করে মেঘালয়ের একটি হাসপাতাল থেকে তার ফোন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তিনি কিভাবে মেঘালয়ে গিয়ে পৌঁছালেন সেই বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়। ভারতের পুলিশ বলছে, সালাহউদ্দিনকে শিলং শহরের বাসিন্দারা উদভ্রান্তের মতো ঘুরতে দেখার পর তারা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথমে তাকে সেখানকার পোলো গ্রাউন্ড গল্ফ লিঙ্ক এলাকায় দেখা যায়। পরে তার মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাকে একটি সরকারি মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিলং শহরের পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট বিবেক সিয়াম বিবিসিকে বলেন, “একজন ব্যক্তি উদভ্রান্তের মতো ঘুরছেন - এই খবর পেয়েই তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।” সিয়াম বলছেন, তার দেহে কোনো চোট বা আঘাতের চিহ্ন ছিলো না, কিন্তু তিনি নিজে হৃদরোগ আর লিভারের সমস্যা রয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও তিনি গুছিয়ে দিতে পারছিলেন না। তাই তাকে একটি মানসিক হাসপাতালে রাখা হয়েছে।” মি. আহমেদ সরকারি মানসিক হাসপাতাল ‘মেঘালয় ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ এন্ড নিউরো সায়েন্সেস (মিমহ্যানস) এ অবস্থান করছেন। তাকে এখন অন্য হাসপাতালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান মি. সিয়াম। পুলিশের ওই কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন,“তার ভারতে আসার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। এখানে তিনি কী উদ্দেশ্যে এসেছেন, সেটা তাকে জেরা করার পরেই বোঝা যাবে। কিন্তু এখন তিনি অসুস্থ বলে জেরা করতে পারিনি।” জানিয়েছেন শিলংয়ের এসপি। পুলিশ বলছে, সুস্থ হয়ে ওঠার পর তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু সালাহউদ্দিন আহমেদকে উদ্ধারের রহস্যটা যে এখনও ধোঁয়াশায় ঘেরা, তা হলো তিনি শিলংয়ে উদয় হলেন কিভাবে? পুলিশ সুপার আমার কাছে স্বীকার করেছেন, ব্যাপারটা তাদেরও ধন্দে রেখেছে। আসলে শিলংয়ের সবচেয়ে কাছে বাংলাদেশ সীমান্তের ডাউকী সেটাও প্রায় চল্লিশ-বিয়াল্লিশ মাইল দূরে। প্রাথমিকভাবে মেঘালয় পুলিশ অনুমান করছে, রোববার রাতে সেই ডাউকীর কাছে সীমান্ত পেরিয়েই ভারতে ঢোকেন সালাহউদ্দিন আহমেদ কিংবা তাকে ঢুকিয়ে দেয়া হয়! তারপর সেখান থেকে কোন বাস বা ভাড়ার টেম্পোয় চেপে তিনি সোমবার ভোরে শিলংয়ে পৌঁছান এবং কিছুক্ষণ পর পুলিশের কাছে ধরা পড়েন। কিন্তু এ সময়টাও তিনি আদৌ স্বাভাবিক বা প্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিলেন না। খুব জোরালো ইলেকট্রিক শক খেলে বা অন্য কোন শক থেরাপির মানুষের যেমন সাময়িক মস্তিষ্ক বৈকল্য হয়, তার মধ্যেও সে রকমই লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। মিমহ্যানসের একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না-করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছিলেন, ওই রোগীকে সমপ্রতি ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়েছে বলেই তারা অনুমান করছেন। এখন সালাহউদ্দিন আহমেদের ব্যাপারটি নিয়ে মেঘালয়ের পুলিশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিভাবে মামলা এগোবে এবং তাকে নিয়ে কি করা হবে মেঘালয় সরকার বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও কথাবার্তা বলছেন। তার পরিচয় সম্বন্ধে পুরোপুরি নিশ্চিত হলেই যোগাযোগ করা হবে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গেও। খুব সহজে যে এ মামলার জট খুলবে না তা বোঝাই যাচ্ছে। এএইচ
No comments:
Post a Comment