ক্রমাগত রাজনৈতিক সহিংসতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পারফরমেন্স উল্লেখ করার মতো ভালো অবস্থানে রয়েছে। এমনকী সামাজিক উন্নতির ক্ষেত্রেও দেশটির অগ্রগতি প্রশংসনীয়। তবে, সামনে অনেক ঝুঁকি রয়েছে বলেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এই মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ব্রিটেন, আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত ৫ জানুয়ারির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে। ওইদিনকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র রক্ষা দিবস এবং বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালনের ঘোষণা দেয়। উল্লেখিত দেশ ও সংগঠন বাংলাদেশের সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করে আরও সহনশীল হওয়ার আহবান জানায় এবং সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেয়। ব্রিটেন তার বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান জানায় এবং সংলাপের মাধ্যমে চলমান সহিংসতা সমাধানের পরামর্শ দেয়। ব্রিটিশ হাউস অব কমনসের প্রতিবেদনে অবশ্য এই অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের জন্য প্রথম ও প্রধানত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করা হয়। এতে বলা হয়: "Prime Minister Sheikh Hasina has been widely accused of playing fast and loose with democracy" -অর্থাৎ গণতন্ত্র বহির্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রথমত এবং মূলত দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপরই বর্তায়। বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে চলমান পরিস্থিতির জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকেও দায়ী করা হয়। এতে বলা হয়, “But the sincerity of Khaleda Zia’s commitment to democracy is also being questioned by many analysts. Some wonder whether she may actually be hoping that her current strategy forces the army to intervene once again and oust the AL government.” অর্থাৎ গণতন্ত্রের প্রতি খালেদা জিয়ার অঙ্গিকার নিয়েও অনেক বিশ্লেষক প্রশ্ন তুলছেন। অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করছেন এমন ভেবে যে, বেগম জিয়া এমন আশাই করছেন যে তার বর্তমান রাজনৈতিক কৌশলের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে উচ্ছেদ করতে আবারও সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করবে। তবে, এমনটি ঘটার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বলেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সম্ভবত বিশ্বাসঘাতকার স্রোত এমন দিকে প্রবাহিত হলে পশ্চিমা দাতারাই দেশটির ওপর যে কোন ধরনের অবরোধ আরোপ করে বসবে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রসঙ্গে ব্রিটিশ হাউস অব কমনসের এই রিপোর্টে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারের মান নিয়ে কারো কারো আপত্তি আসতে পারে এবং এটাকে কেন্দ্র করে দুই নারীর (হাসিনা-খালেদা) রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হতে পারে। (সূত্র: ডেইলি স্টার) কেবি
Thursday, January 22, 2015
সহিংসতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের উন্নতির প্রশংসায় ব্রিটেন:Time News
সহিংসতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের উন্নতির প্রশংসায় ব্রিটেন কুটনৈতিক প্রতিবেদক টাইম নিউজ বিডি, ২২ জানুয়ারি, ২০১৫ ০১:০৩:১৫ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির মধ্যে চলমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে প্রশংসনীয় অবস্থানে রয়েছে বলে দাবি ব্রিটেনের। আজ (বৃহস্পতিবার) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ 'হাউস অব কমন'স'-এর এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়। এতে বলা হয়,
ক্রমাগত রাজনৈতিক সহিংসতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পারফরমেন্স উল্লেখ করার মতো ভালো অবস্থানে রয়েছে। এমনকী সামাজিক উন্নতির ক্ষেত্রেও দেশটির অগ্রগতি প্রশংসনীয়। তবে, সামনে অনেক ঝুঁকি রয়েছে বলেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এই মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ব্রিটেন, আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত ৫ জানুয়ারির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে। ওইদিনকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র রক্ষা দিবস এবং বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালনের ঘোষণা দেয়। উল্লেখিত দেশ ও সংগঠন বাংলাদেশের সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করে আরও সহনশীল হওয়ার আহবান জানায় এবং সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেয়। ব্রিটেন তার বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান জানায় এবং সংলাপের মাধ্যমে চলমান সহিংসতা সমাধানের পরামর্শ দেয়। ব্রিটিশ হাউস অব কমনসের প্রতিবেদনে অবশ্য এই অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের জন্য প্রথম ও প্রধানত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করা হয়। এতে বলা হয়: "Prime Minister Sheikh Hasina has been widely accused of playing fast and loose with democracy" -অর্থাৎ গণতন্ত্র বহির্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রথমত এবং মূলত দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপরই বর্তায়। বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে চলমান পরিস্থিতির জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকেও দায়ী করা হয়। এতে বলা হয়, “But the sincerity of Khaleda Zia’s commitment to democracy is also being questioned by many analysts. Some wonder whether she may actually be hoping that her current strategy forces the army to intervene once again and oust the AL government.” অর্থাৎ গণতন্ত্রের প্রতি খালেদা জিয়ার অঙ্গিকার নিয়েও অনেক বিশ্লেষক প্রশ্ন তুলছেন। অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করছেন এমন ভেবে যে, বেগম জিয়া এমন আশাই করছেন যে তার বর্তমান রাজনৈতিক কৌশলের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে উচ্ছেদ করতে আবারও সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করবে। তবে, এমনটি ঘটার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বলেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সম্ভবত বিশ্বাসঘাতকার স্রোত এমন দিকে প্রবাহিত হলে পশ্চিমা দাতারাই দেশটির ওপর যে কোন ধরনের অবরোধ আরোপ করে বসবে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রসঙ্গে ব্রিটিশ হাউস অব কমনসের এই রিপোর্টে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারের মান নিয়ে কারো কারো আপত্তি আসতে পারে এবং এটাকে কেন্দ্র করে দুই নারীর (হাসিনা-খালেদা) রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হতে পারে। (সূত্র: ডেইলি স্টার) কেবি
ক্রমাগত রাজনৈতিক সহিংসতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পারফরমেন্স উল্লেখ করার মতো ভালো অবস্থানে রয়েছে। এমনকী সামাজিক উন্নতির ক্ষেত্রেও দেশটির অগ্রগতি প্রশংসনীয়। তবে, সামনে অনেক ঝুঁকি রয়েছে বলেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এই মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ব্রিটেন, আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত ৫ জানুয়ারির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে। ওইদিনকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র রক্ষা দিবস এবং বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালনের ঘোষণা দেয়। উল্লেখিত দেশ ও সংগঠন বাংলাদেশের সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করে আরও সহনশীল হওয়ার আহবান জানায় এবং সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেয়। ব্রিটেন তার বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান জানায় এবং সংলাপের মাধ্যমে চলমান সহিংসতা সমাধানের পরামর্শ দেয়। ব্রিটিশ হাউস অব কমনসের প্রতিবেদনে অবশ্য এই অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের জন্য প্রথম ও প্রধানত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করা হয়। এতে বলা হয়: "Prime Minister Sheikh Hasina has been widely accused of playing fast and loose with democracy" -অর্থাৎ গণতন্ত্র বহির্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রথমত এবং মূলত দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপরই বর্তায়। বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে চলমান পরিস্থিতির জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকেও দায়ী করা হয়। এতে বলা হয়, “But the sincerity of Khaleda Zia’s commitment to democracy is also being questioned by many analysts. Some wonder whether she may actually be hoping that her current strategy forces the army to intervene once again and oust the AL government.” অর্থাৎ গণতন্ত্রের প্রতি খালেদা জিয়ার অঙ্গিকার নিয়েও অনেক বিশ্লেষক প্রশ্ন তুলছেন। অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করছেন এমন ভেবে যে, বেগম জিয়া এমন আশাই করছেন যে তার বর্তমান রাজনৈতিক কৌশলের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে উচ্ছেদ করতে আবারও সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করবে। তবে, এমনটি ঘটার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বলেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সম্ভবত বিশ্বাসঘাতকার স্রোত এমন দিকে প্রবাহিত হলে পশ্চিমা দাতারাই দেশটির ওপর যে কোন ধরনের অবরোধ আরোপ করে বসবে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রসঙ্গে ব্রিটিশ হাউস অব কমনসের এই রিপোর্টে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারের মান নিয়ে কারো কারো আপত্তি আসতে পারে এবং এটাকে কেন্দ্র করে দুই নারীর (হাসিনা-খালেদা) রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হতে পারে। (সূত্র: ডেইলি স্টার) কেবি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment