মেদ এই অভিযোগ করেন। উল্লেখ্য, সংসদে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশব্যাপী নাশকতার জন্য বেগম জিয়াকে মানুষ হত্যার আসামি করা যৌক্তিক হবে।’ এ বিষয়ে রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর একটাই যুক্তি- বিরোধী দলশূন্য দেশ, একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা। এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বসে আছেন।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জনগণ, দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজন, সুশীল সমাজ কারো যুক্তিই মানেন না। তার ক্ষমতাক্ষুধা এত তীব্র যে, তিনি জনগণের মনের ভাষা বুঝতে অক্ষম। তিনি নিজেকেই শুধু দেশের মালিক মনে করেন, জনগণকে নয়।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আর সেজন্য ভোটারবিহীন একটি সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েও উচ্ছিষ্টভোগী লোকদের নিয়ে শেখ হাসিনা দুঃশাসন চালানোর অকাট্য যুক্তিতে বিশ্বাস করেন। গণতন্ত্রে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত যুক্তিটা তিনি বা তার দল কখনোই গ্রহণ করতে পারেনি। এজন্যই বারবার বাকশালের পুনরাবৃত্তি করছে আওয়ামী লীগ।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দরকার ক্ষমতা। সেজন্য ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে সবচেয়ে বড় পথের কাটা মনে করেন বেগম খালেদা জিয়াকে। সেজন্য রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে তাকে সরিয়ে দেয়ার জন্য ধারাবাহিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে গ্রেপ্তারের আরেকটি চক্রান্তের নাটক মঞ্চস্থ করার আয়োজন চলছে।’ রিজভী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘দেশব্যাপী ২০-দলীয় জোটের আন্দোলনে নেতাকর্মীদেরকে অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতন করা, ঢালাও মিথ্যা মামলা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করে রক্তের স্বাদ নিতে নিতে এখন আপনারা জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রধান প্রতিনিধি বেগম খালেদা জিয়াকে টার্গেট করেছেন। এটি আপনাদের শেষ মরণছোবল।’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না, মহাদুর্যোগ ঘনিয়ে তোলবার চেষ্টা করবেন না, দেশের আন্দোলনরত সকল গণতন্ত্রকামী জাতীয়তাবাদী শক্তি জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাশে থাকবে।’ রিজভী আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ধিক্কার জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা এখন রাষ্ট্রের সংস্থা নন, সরকার আপনাদের আওয়ামী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বানিয়ে ছেড়েছে। আপনাদের দিয়ে তারা বিরোধী দলের কর্মীদের রক্তে সারাদেশ ভিজিয়ে তুলেছে। আপনারা শতকরা ৫ ভাগের জনসমর্থিত সরকারের নির্দেশ মানছেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) দিয়ে বিরোধী দলের ওপর যে অমানবিক আক্রমণ করানো হচ্ছে, তাতে জনগণের কাছে আপনারা পরিণত হয়েছেন ভয়াল আতঙ্কের প্রতীক হিসেবে। আপনারা যদি বিরোধী দলের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন বন্ধ না করেন, তাহলে আপনাদের পরিণতি সুখকর হবে না।’ বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব চলমান অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি হরতালে গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমত উল্লাহ এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালসহ সারাদেশ থেকে ৭৫০- এর অধিক নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি জানান। মন্তব্য
Thursday, January 22, 2015
খালেদাকে গ্রেপ্তারে নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে: রিজভী:RTNN
খালেদাকে গ্রেপ্তারে নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে: রিজভী নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার ক্ষেত্রে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পথের কাটা মনে করছেন। এজন্য তিনি তাকে গ্রেপ্তারে ষড়যন্ত্রের নাটক মঞ্চস্থ করছেন। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দলের যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহ
মেদ এই অভিযোগ করেন। উল্লেখ্য, সংসদে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশব্যাপী নাশকতার জন্য বেগম জিয়াকে মানুষ হত্যার আসামি করা যৌক্তিক হবে।’ এ বিষয়ে রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর একটাই যুক্তি- বিরোধী দলশূন্য দেশ, একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা। এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বসে আছেন।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জনগণ, দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজন, সুশীল সমাজ কারো যুক্তিই মানেন না। তার ক্ষমতাক্ষুধা এত তীব্র যে, তিনি জনগণের মনের ভাষা বুঝতে অক্ষম। তিনি নিজেকেই শুধু দেশের মালিক মনে করেন, জনগণকে নয়।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আর সেজন্য ভোটারবিহীন একটি সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েও উচ্ছিষ্টভোগী লোকদের নিয়ে শেখ হাসিনা দুঃশাসন চালানোর অকাট্য যুক্তিতে বিশ্বাস করেন। গণতন্ত্রে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত যুক্তিটা তিনি বা তার দল কখনোই গ্রহণ করতে পারেনি। এজন্যই বারবার বাকশালের পুনরাবৃত্তি করছে আওয়ামী লীগ।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দরকার ক্ষমতা। সেজন্য ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে সবচেয়ে বড় পথের কাটা মনে করেন বেগম খালেদা জিয়াকে। সেজন্য রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে তাকে সরিয়ে দেয়ার জন্য ধারাবাহিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে গ্রেপ্তারের আরেকটি চক্রান্তের নাটক মঞ্চস্থ করার আয়োজন চলছে।’ রিজভী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘দেশব্যাপী ২০-দলীয় জোটের আন্দোলনে নেতাকর্মীদেরকে অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতন করা, ঢালাও মিথ্যা মামলা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করে রক্তের স্বাদ নিতে নিতে এখন আপনারা জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রধান প্রতিনিধি বেগম খালেদা জিয়াকে টার্গেট করেছেন। এটি আপনাদের শেষ মরণছোবল।’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না, মহাদুর্যোগ ঘনিয়ে তোলবার চেষ্টা করবেন না, দেশের আন্দোলনরত সকল গণতন্ত্রকামী জাতীয়তাবাদী শক্তি জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাশে থাকবে।’ রিজভী আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ধিক্কার জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা এখন রাষ্ট্রের সংস্থা নন, সরকার আপনাদের আওয়ামী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বানিয়ে ছেড়েছে। আপনাদের দিয়ে তারা বিরোধী দলের কর্মীদের রক্তে সারাদেশ ভিজিয়ে তুলেছে। আপনারা শতকরা ৫ ভাগের জনসমর্থিত সরকারের নির্দেশ মানছেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) দিয়ে বিরোধী দলের ওপর যে অমানবিক আক্রমণ করানো হচ্ছে, তাতে জনগণের কাছে আপনারা পরিণত হয়েছেন ভয়াল আতঙ্কের প্রতীক হিসেবে। আপনারা যদি বিরোধী দলের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন বন্ধ না করেন, তাহলে আপনাদের পরিণতি সুখকর হবে না।’ বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব চলমান অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি হরতালে গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমত উল্লাহ এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালসহ সারাদেশ থেকে ৭৫০- এর অধিক নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি জানান। মন্তব্য
মেদ এই অভিযোগ করেন। উল্লেখ্য, সংসদে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশব্যাপী নাশকতার জন্য বেগম জিয়াকে মানুষ হত্যার আসামি করা যৌক্তিক হবে।’ এ বিষয়ে রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর একটাই যুক্তি- বিরোধী দলশূন্য দেশ, একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা। এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বসে আছেন।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জনগণ, দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজন, সুশীল সমাজ কারো যুক্তিই মানেন না। তার ক্ষমতাক্ষুধা এত তীব্র যে, তিনি জনগণের মনের ভাষা বুঝতে অক্ষম। তিনি নিজেকেই শুধু দেশের মালিক মনে করেন, জনগণকে নয়।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আর সেজন্য ভোটারবিহীন একটি সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েও উচ্ছিষ্টভোগী লোকদের নিয়ে শেখ হাসিনা দুঃশাসন চালানোর অকাট্য যুক্তিতে বিশ্বাস করেন। গণতন্ত্রে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত যুক্তিটা তিনি বা তার দল কখনোই গ্রহণ করতে পারেনি। এজন্যই বারবার বাকশালের পুনরাবৃত্তি করছে আওয়ামী লীগ।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দরকার ক্ষমতা। সেজন্য ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে সবচেয়ে বড় পথের কাটা মনে করেন বেগম খালেদা জিয়াকে। সেজন্য রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে তাকে সরিয়ে দেয়ার জন্য ধারাবাহিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে গ্রেপ্তারের আরেকটি চক্রান্তের নাটক মঞ্চস্থ করার আয়োজন চলছে।’ রিজভী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘দেশব্যাপী ২০-দলীয় জোটের আন্দোলনে নেতাকর্মীদেরকে অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতন করা, ঢালাও মিথ্যা মামলা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করে রক্তের স্বাদ নিতে নিতে এখন আপনারা জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রধান প্রতিনিধি বেগম খালেদা জিয়াকে টার্গেট করেছেন। এটি আপনাদের শেষ মরণছোবল।’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না, মহাদুর্যোগ ঘনিয়ে তোলবার চেষ্টা করবেন না, দেশের আন্দোলনরত সকল গণতন্ত্রকামী জাতীয়তাবাদী শক্তি জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাশে থাকবে।’ রিজভী আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ধিক্কার জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা এখন রাষ্ট্রের সংস্থা নন, সরকার আপনাদের আওয়ামী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বানিয়ে ছেড়েছে। আপনাদের দিয়ে তারা বিরোধী দলের কর্মীদের রক্তে সারাদেশ ভিজিয়ে তুলেছে। আপনারা শতকরা ৫ ভাগের জনসমর্থিত সরকারের নির্দেশ মানছেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) দিয়ে বিরোধী দলের ওপর যে অমানবিক আক্রমণ করানো হচ্ছে, তাতে জনগণের কাছে আপনারা পরিণত হয়েছেন ভয়াল আতঙ্কের প্রতীক হিসেবে। আপনারা যদি বিরোধী দলের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন বন্ধ না করেন, তাহলে আপনাদের পরিণতি সুখকর হবে না।’ বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব চলমান অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি হরতালে গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমত উল্লাহ এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালসহ সারাদেশ থেকে ৭৫০- এর অধিক নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি জানান। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment