দুদকের মুখোমুখি হচ্ছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মান্নান সিনিয়র রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ০১ জানুয়ারি, ২০১৫ ০৯:২৬:১৫ সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানকে অবৈধ সম্পদের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দুদকে আসার জন্য তাকে নোটিশে বলা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক মোঃ নাসির উদ্দিন তার অবৈধ সম্পদের মামলার তদন্তের স্বার্থে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মান্নান খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয় দফা তলব করেন। এর আগে অনুসন্ধানকালে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাকে প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জানা যয়, গত ২১ আগস্ট দুদক সাবেক প্রতিমন্ত্রী মান্নান খানের বিরুদ্ধে ৭৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। এর দু'মাস পর দুদক ২১ অক্টোবর মান্নান খানের স্ত্রী সৈয়দা হাসিনা সুলতানার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯১২ টাকার সম্পদ গোপনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। জানা যায়, পৌরসভার অনুমোদন এবং অননুমোদিত নকশায় তিনি এ বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়ি নির্মাণে ব্যায়িত অর্থের তথ্যও গোপন করেন মান্নান। দশম জাতীয় নির্বাচনের হলফনামায় উল্লেখিত অর্থের ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ লাখ ২২৭ টাকার উৎস দেখিয়েছেন মৎস্য চাষলব্ধ আয় থেকে। সৈয়দা হাসিনা সুলতানা গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও উল্লেখ করেছেন ‘ব্যবসায়ী’ হিসেবে। মৎস্য খাত থেকে স্ত্রীর আয় দেখিয়েছেন ৮৫ লাখ টাকা। অথচ দুদক অনুসন্ধানে মান্নান খান কিংবা তার স্ত্রীর নামে কোথাও কোনো মৎস্য খামারের অস্তিত্ব পায়নি। দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে জমি বিক্রিবাবদ অর্জিত ২ কোটি টাকার তথ্যও গোপন করেছেন। গ্রামের বাড়ি যে আলীশান ভবন নির্মাণ করেছেন সেটির অর্থের উৎস এবং মোট ব্যায়ের পরিমাণ উল্লেখ করেননি আয়কর বিবরণীতে। অনুসন্ধানকালে দুদক গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তলবি নোটিশ পাঠায়, নোটিশ অনুযায়ী তিনি ২০ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে হাজির হননি। পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় উল্লেখিত অস্বাভাবিক সম্পদ বিবরণীর সূত্র ধরে গত ২২ জানুয়ারি মান্নান খান দম্পতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। নির্বাচনে পরাজিত মান্নান খান হলফনামায় ১১ কোটি ৩ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। অথচ নবম সংসদের হলফনামায় তার সম্পদের পরিমাণ ছিলো মাত্র ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ৫ বছরে তার সম্পদ বাড়ে ১০৭ গুণ। একে/ এআর
No comments:
Post a Comment