যন্ত্রণাদায়ক হলো যারা ওই সময়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।’ ট্রাইব্যুনাল বলে, ‘ধর্ষণের যন্ত্রণা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়। সামাজিকভাবেও এ যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়।’ এজন্য রায়ের পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল একাত্তরে যুদ্ধশিশু, ধর্ষিত নারী এবং যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের তালিকা করে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদানে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া নির্যাতনের শিকার এমন ব্যক্তিদের জাতীয় বীর উল্লেখ করে তাদের স্যালুট করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছে ট্রাইব্যুনাল। এদিকে, সৈয়দ কায়সারের রায়কে ব্যতিক্রমী রায় উল্লেক করে রাষ্ট্রপক্ষ প্রসিকিউশন এ রায়কে বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধশিশুদের প্রতি উৎসর্গ করেছে। প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, ‘এ রায়টিকে আমাদের দেশের বীরাঙ্গনা এবং যুদ্ধশিশুদের প্রতি উৎসর্গ করা উচিত।’ আরেক প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত বলেন, ‘এ রায়ে আমরা খুশি। এতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’ এর আগে ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। কায়সারের বিরুদ্ধে গণহত্যার একটি, হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি এবং ধর্ষণের দুটিসহ মোট ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ১৪টি প্রমাণিত হয়েছে। প্রমাণিত অভিযোগের মধ্যে ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া ১, ৯, ১৩ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বরে সাত বছর ও ১১ নম্বরে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। এছাড়া কায়সারের বিরুদ্ধে ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে এ অভিযোগগুলোতে তাকে কোনো শাস্তি দেয়া হয়নি। মন্তব্য
Tuesday, December 23, 2014
‘ধর্ষণ বুলেটের আঘাতের চেয়েও ভয়ঙ্কর’:RTNN
‘ধর্ষণ বুলেটের আঘাতের চেয়েও ভয়ঙ্কর’ নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারকে মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ের পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল বলেছে, ‘বুলেটের আঘাতের চেয়েও ধর্ষণের আঘাত অনেক যন্ত্রণাদায়ক এবং ভয়ঙ্কর।’ পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘একাত্তরে শত্রুর গুলিতে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের থেকেও
যন্ত্রণাদায়ক হলো যারা ওই সময়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।’ ট্রাইব্যুনাল বলে, ‘ধর্ষণের যন্ত্রণা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়। সামাজিকভাবেও এ যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়।’ এজন্য রায়ের পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল একাত্তরে যুদ্ধশিশু, ধর্ষিত নারী এবং যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের তালিকা করে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদানে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া নির্যাতনের শিকার এমন ব্যক্তিদের জাতীয় বীর উল্লেখ করে তাদের স্যালুট করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছে ট্রাইব্যুনাল। এদিকে, সৈয়দ কায়সারের রায়কে ব্যতিক্রমী রায় উল্লেক করে রাষ্ট্রপক্ষ প্রসিকিউশন এ রায়কে বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধশিশুদের প্রতি উৎসর্গ করেছে। প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, ‘এ রায়টিকে আমাদের দেশের বীরাঙ্গনা এবং যুদ্ধশিশুদের প্রতি উৎসর্গ করা উচিত।’ আরেক প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত বলেন, ‘এ রায়ে আমরা খুশি। এতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’ এর আগে ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। কায়সারের বিরুদ্ধে গণহত্যার একটি, হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি এবং ধর্ষণের দুটিসহ মোট ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ১৪টি প্রমাণিত হয়েছে। প্রমাণিত অভিযোগের মধ্যে ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া ১, ৯, ১৩ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বরে সাত বছর ও ১১ নম্বরে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। এছাড়া কায়সারের বিরুদ্ধে ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে এ অভিযোগগুলোতে তাকে কোনো শাস্তি দেয়া হয়নি। মন্তব্য
যন্ত্রণাদায়ক হলো যারা ওই সময়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।’ ট্রাইব্যুনাল বলে, ‘ধর্ষণের যন্ত্রণা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়। সামাজিকভাবেও এ যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়।’ এজন্য রায়ের পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল একাত্তরে যুদ্ধশিশু, ধর্ষিত নারী এবং যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের তালিকা করে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদানে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া নির্যাতনের শিকার এমন ব্যক্তিদের জাতীয় বীর উল্লেখ করে তাদের স্যালুট করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছে ট্রাইব্যুনাল। এদিকে, সৈয়দ কায়সারের রায়কে ব্যতিক্রমী রায় উল্লেক করে রাষ্ট্রপক্ষ প্রসিকিউশন এ রায়কে বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধশিশুদের প্রতি উৎসর্গ করেছে। প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, ‘এ রায়টিকে আমাদের দেশের বীরাঙ্গনা এবং যুদ্ধশিশুদের প্রতি উৎসর্গ করা উচিত।’ আরেক প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত বলেন, ‘এ রায়ে আমরা খুশি। এতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’ এর আগে ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। কায়সারের বিরুদ্ধে গণহত্যার একটি, হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি এবং ধর্ষণের দুটিসহ মোট ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ১৪টি প্রমাণিত হয়েছে। প্রমাণিত অভিযোগের মধ্যে ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া ১, ৯, ১৩ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বরে সাত বছর ও ১১ নম্বরে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। এছাড়া কায়সারের বিরুদ্ধে ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে এ অভিযোগগুলোতে তাকে কোনো শাস্তি দেয়া হয়নি। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment