রাজনৈতিক নানা হিসাব নিকাশ থেকে এবার এই জোট মাঠ গরম করতে মরিয়া। অন্যদিক ক্ষমতাসীন দল চাইছে, ২০ দলের আন্দোলন যাতে কোনোভাবেই শক্তি সঞ্চার না করতে পারে। তবে এবারের আন্দোলনকে লড়াই হিসেবে দেখছে বিএনপি। এমন মনোভাব নিয়েই আন্দোলনের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। দলটির শীর্ষস্থানীয় ও মধ্যম পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে আন্দোলন শুরুর চিন্তা করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। অল্প সময়ের মধ্যে আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন তারা। শিগগিরই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আন্দোলনের একটা রূপরেখা ঘোষণা করতে পারেন। এর মধ্যে কর্মসূচি ও কর্মপন্থা ঠিক করতে গত রবিবার রাতে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় বৈঠক করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের ঢাকা মহানগর কমিটি পুনর্গঠনের সঙ্গে যুক্ত নেতারা। দলীয় সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের দিনকে ‘কালো দিন’ বা ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশে জোটগতভাবে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে ৫ জানুয়ারির আগেই রাজধানী ঢাকায় দুটি বড় জমায়েত করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। সম্ভাব্য দুটি তারিখ হচ্ছে ২৪ ডিসেম্বর ও ৩ জানুয়ারি। এ ছাড়া ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে ২০-দলীয় জোটের জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি থাকবেন। এদিকে ৩ ও ৫ জানুয়ারির জনসভার জন্য সোমবার গণপূর্ত ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে পৃথক আবেদন করেছে বিএনপি। আবেদনে মতিঝিলের শাপলা চত্বর, নয়াপল্টন অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ৩ জানুয়ারির জনসভার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ৫ জানুয়ারির আগাম প্রস্তুতি হিসেবে। আর ২৪ ডিসেম্বরের জমায়েতটি অঘোষিতভাবে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ওই দিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-সংক্রান্ত মামলায় আদালতে খালেদা জিয়ার হাজিরার দিন ধার্য রয়েছে। এ দুটি মামলার জন্য সরকার সম্প্রতি নতুন বিচারক নিয়োগ দিয়েছে। এদিন রাজধানীতে বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নিতে গত রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির সঙ্গে দলের অন্য অঙ্গ সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের যৌথ সভা হয়। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে শুরু হওয়া আন্দোলন দুই-তিন মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করবে। সরকারকে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে এ সময়ে নেয়া হবে বিভিন্নমুখী কৌশল। আন্দোলনের এই পথে কার্যকর কূটনৈতিক সমর্থন পেতেও থাকবে দলীয় তৎপরতা। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনের ধরন কী হবে, তা নিয়ে ইতোমধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে প্রতিদিনই তিনি এ নিয়ে বৈঠক করছেন। এসব বৈঠকে আন্দোলন কিভাবে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়েই তিনি কথা বলেছেন। ঢাকা মহানগরসহ শীর্ষ নেতাদের তিনি বারবার সতর্ক করছেন আন্দোলন যাতে ব্যর্থ না হয়। আদায় করছেন প্রতিশ্রুতি। বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানিয়েছেন, বিএনপির নতুন এ আন্দোলন স্বল্প সময়ের মধ্যে বিগত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগের তিন মাসের মতো অবস্থায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে। ওই তিন মাস টানা হরতাল, অবরোধ পালন করেছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে একটা কথাই বারবার বলা হচ্ছে, তা হলো ঢাকা থেকেই আন্দোলনের প্রথম ধাক্কাটা দিতে হবে। ঢাকায় আন্দোলন অব্যাহত রাখতে পারলে সারা দেশে তার ঢেউ ছড়িয়ে পড়বে। সরকারের পক্ষে জনগণের সেই আন্দোলন কোনোভাবেই আর সামলানো সম্ভব হবে না।’ তিনি আরো বলেন, বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, এবার তার অর্ধেক হলেও সরকার দিশেহারা হয়ে যাবে। প্রস্তুত আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারি নিয়ে সরকার ও আওয়ামী লীগ সতর্ক রয়েছে। এ সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে সরকারবিরোধীরা যাতে বড় ধরনের কোনো আন্দোলন বা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে প্রশাসন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি দিবসটিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ আখ্যা দিয়ে ওই দিন আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে রাজপথ নিজেদের দখলে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ সোমবার আরটিএনএনকে বলেন, ইতিমধ্যে ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করার জন্য ঢাকাসহ সারাদেশে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় বিজয় র্যা লি ও মিছিল করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এইদিন সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীরা আনন্দ উল্লাস আর হইহুল্লোড়ে মেতে উঠবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি সূত্র আরটিএনএনকে নিশ্চিত করেন, এদিন বিএনপি-জামায়াত জোট যেন রাজপথে তেমন কোনো শো-ডাউন করতে না পারে সেই জন্যে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী ঢাকার প্রতিটি পয়েন্টে পয়েনন্ট প্রস্তুত থাকবে দলের নেতাকর্মীরা। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আরটিএনএনকে বলেন, ৫ জানুয়ারি আমরা গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করব। সেখানে পাল্টা কর্মসূচিতে বিএনপি যদি কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তবে তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলার করার শক্তি আওয়ামী লীগের আছে। বড় দুটি দলের এই পল্ট্পাল্টি কর্মসূচি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আরটিএনএনকে বলেন, বাক স্বাধীনতা ও সমাবেশ করার স্বাধীনতা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। কারো সমাবেশকে বাধা দেয়ার এখতিয়ার কারো নেই। তিনি বলেন, উভয় পক্ষ পাশাপাশি সমাবেশ করুক। কেউ কারো সামাবেশে বাধা দেবে না।-এটা আমাদের নাগরিক সমাজের কাম্য। তাহলেই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রতিফলন হবে। তবে একই মাঠে দুই পক্ষ সমাবেশ করলে সেটা হবে অশনি সংকেত। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। মন্তব্য নিজস্ব প্রতিবেদকআরটিএনএনঢাকা: একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনীর পক্ষে গড়ে তোলা কায়সার বাহিনীর প্রধান সৈয়দ মো. কায়সারকে মানবতা . . . বিস্তারিত নিজস্ব প্রতিনিধিআরটিএনএনরংপুর: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ার . . . বিস্তারিত
Tuesday, December 23, 2014
৫ জানুয়ারি ঘিরে ঠাণ্ডা লড়াই শুরু:RTNN
৫ জানুয়ারি ঘিরে ঠাণ্ডা লড়াই শুরু আব্দুল আলীম ও শামছুজ্জামান নাঈম আরটিএনএন ঢাকা: গত বছরের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের প্রথম বার্ষিকী সামনে রেখে উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে রাজনীতির ময়দান। এ নিয়ে বিএনপি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন মুখোমুখি অবস্থানে। কার্যত ৫ জানুয়ারি ঘিরে উভয় শিবিরে ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ২০ দলীয় জোট এক বছর কার্যত ঘরোয়া রাজনীতি করেছে। তবে
রাজনৈতিক নানা হিসাব নিকাশ থেকে এবার এই জোট মাঠ গরম করতে মরিয়া। অন্যদিক ক্ষমতাসীন দল চাইছে, ২০ দলের আন্দোলন যাতে কোনোভাবেই শক্তি সঞ্চার না করতে পারে। তবে এবারের আন্দোলনকে লড়াই হিসেবে দেখছে বিএনপি। এমন মনোভাব নিয়েই আন্দোলনের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। দলটির শীর্ষস্থানীয় ও মধ্যম পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে আন্দোলন শুরুর চিন্তা করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। অল্প সময়ের মধ্যে আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন তারা। শিগগিরই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আন্দোলনের একটা রূপরেখা ঘোষণা করতে পারেন। এর মধ্যে কর্মসূচি ও কর্মপন্থা ঠিক করতে গত রবিবার রাতে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় বৈঠক করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের ঢাকা মহানগর কমিটি পুনর্গঠনের সঙ্গে যুক্ত নেতারা। দলীয় সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের দিনকে ‘কালো দিন’ বা ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশে জোটগতভাবে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে ৫ জানুয়ারির আগেই রাজধানী ঢাকায় দুটি বড় জমায়েত করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। সম্ভাব্য দুটি তারিখ হচ্ছে ২৪ ডিসেম্বর ও ৩ জানুয়ারি। এ ছাড়া ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে ২০-দলীয় জোটের জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি থাকবেন। এদিকে ৩ ও ৫ জানুয়ারির জনসভার জন্য সোমবার গণপূর্ত ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে পৃথক আবেদন করেছে বিএনপি। আবেদনে মতিঝিলের শাপলা চত্বর, নয়াপল্টন অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ৩ জানুয়ারির জনসভার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ৫ জানুয়ারির আগাম প্রস্তুতি হিসেবে। আর ২৪ ডিসেম্বরের জমায়েতটি অঘোষিতভাবে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ওই দিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-সংক্রান্ত মামলায় আদালতে খালেদা জিয়ার হাজিরার দিন ধার্য রয়েছে। এ দুটি মামলার জন্য সরকার সম্প্রতি নতুন বিচারক নিয়োগ দিয়েছে। এদিন রাজধানীতে বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নিতে গত রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির সঙ্গে দলের অন্য অঙ্গ সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের যৌথ সভা হয়। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে শুরু হওয়া আন্দোলন দুই-তিন মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করবে। সরকারকে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে এ সময়ে নেয়া হবে বিভিন্নমুখী কৌশল। আন্দোলনের এই পথে কার্যকর কূটনৈতিক সমর্থন পেতেও থাকবে দলীয় তৎপরতা। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনের ধরন কী হবে, তা নিয়ে ইতোমধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে প্রতিদিনই তিনি এ নিয়ে বৈঠক করছেন। এসব বৈঠকে আন্দোলন কিভাবে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়েই তিনি কথা বলেছেন। ঢাকা মহানগরসহ শীর্ষ নেতাদের তিনি বারবার সতর্ক করছেন আন্দোলন যাতে ব্যর্থ না হয়। আদায় করছেন প্রতিশ্রুতি। বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানিয়েছেন, বিএনপির নতুন এ আন্দোলন স্বল্প সময়ের মধ্যে বিগত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগের তিন মাসের মতো অবস্থায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে। ওই তিন মাস টানা হরতাল, অবরোধ পালন করেছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে একটা কথাই বারবার বলা হচ্ছে, তা হলো ঢাকা থেকেই আন্দোলনের প্রথম ধাক্কাটা দিতে হবে। ঢাকায় আন্দোলন অব্যাহত রাখতে পারলে সারা দেশে তার ঢেউ ছড়িয়ে পড়বে। সরকারের পক্ষে জনগণের সেই আন্দোলন কোনোভাবেই আর সামলানো সম্ভব হবে না।’ তিনি আরো বলেন, বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, এবার তার অর্ধেক হলেও সরকার দিশেহারা হয়ে যাবে। প্রস্তুত আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারি নিয়ে সরকার ও আওয়ামী লীগ সতর্ক রয়েছে। এ সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে সরকারবিরোধীরা যাতে বড় ধরনের কোনো আন্দোলন বা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে প্রশাসন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি দিবসটিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ আখ্যা দিয়ে ওই দিন আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে রাজপথ নিজেদের দখলে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ সোমবার আরটিএনএনকে বলেন, ইতিমধ্যে ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করার জন্য ঢাকাসহ সারাদেশে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় বিজয় র্যা লি ও মিছিল করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এইদিন সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীরা আনন্দ উল্লাস আর হইহুল্লোড়ে মেতে উঠবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি সূত্র আরটিএনএনকে নিশ্চিত করেন, এদিন বিএনপি-জামায়াত জোট যেন রাজপথে তেমন কোনো শো-ডাউন করতে না পারে সেই জন্যে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী ঢাকার প্রতিটি পয়েন্টে পয়েনন্ট প্রস্তুত থাকবে দলের নেতাকর্মীরা। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আরটিএনএনকে বলেন, ৫ জানুয়ারি আমরা গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করব। সেখানে পাল্টা কর্মসূচিতে বিএনপি যদি কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তবে তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলার করার শক্তি আওয়ামী লীগের আছে। বড় দুটি দলের এই পল্ট্পাল্টি কর্মসূচি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আরটিএনএনকে বলেন, বাক স্বাধীনতা ও সমাবেশ করার স্বাধীনতা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। কারো সমাবেশকে বাধা দেয়ার এখতিয়ার কারো নেই। তিনি বলেন, উভয় পক্ষ পাশাপাশি সমাবেশ করুক। কেউ কারো সামাবেশে বাধা দেবে না।-এটা আমাদের নাগরিক সমাজের কাম্য। তাহলেই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রতিফলন হবে। তবে একই মাঠে দুই পক্ষ সমাবেশ করলে সেটা হবে অশনি সংকেত। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। মন্তব্য নিজস্ব প্রতিবেদকআরটিএনএনঢাকা: একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনীর পক্ষে গড়ে তোলা কায়সার বাহিনীর প্রধান সৈয়দ মো. কায়সারকে মানবতা . . . বিস্তারিত নিজস্ব প্রতিনিধিআরটিএনএনরংপুর: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ার . . . বিস্তারিত
রাজনৈতিক নানা হিসাব নিকাশ থেকে এবার এই জোট মাঠ গরম করতে মরিয়া। অন্যদিক ক্ষমতাসীন দল চাইছে, ২০ দলের আন্দোলন যাতে কোনোভাবেই শক্তি সঞ্চার না করতে পারে। তবে এবারের আন্দোলনকে লড়াই হিসেবে দেখছে বিএনপি। এমন মনোভাব নিয়েই আন্দোলনের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। দলটির শীর্ষস্থানীয় ও মধ্যম পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে আন্দোলন শুরুর চিন্তা করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। অল্প সময়ের মধ্যে আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন তারা। শিগগিরই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আন্দোলনের একটা রূপরেখা ঘোষণা করতে পারেন। এর মধ্যে কর্মসূচি ও কর্মপন্থা ঠিক করতে গত রবিবার রাতে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় বৈঠক করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের ঢাকা মহানগর কমিটি পুনর্গঠনের সঙ্গে যুক্ত নেতারা। দলীয় সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের দিনকে ‘কালো দিন’ বা ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশে জোটগতভাবে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে ৫ জানুয়ারির আগেই রাজধানী ঢাকায় দুটি বড় জমায়েত করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। সম্ভাব্য দুটি তারিখ হচ্ছে ২৪ ডিসেম্বর ও ৩ জানুয়ারি। এ ছাড়া ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে ২০-দলীয় জোটের জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি থাকবেন। এদিকে ৩ ও ৫ জানুয়ারির জনসভার জন্য সোমবার গণপূর্ত ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে পৃথক আবেদন করেছে বিএনপি। আবেদনে মতিঝিলের শাপলা চত্বর, নয়াপল্টন অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ৩ জানুয়ারির জনসভার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ৫ জানুয়ারির আগাম প্রস্তুতি হিসেবে। আর ২৪ ডিসেম্বরের জমায়েতটি অঘোষিতভাবে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ওই দিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-সংক্রান্ত মামলায় আদালতে খালেদা জিয়ার হাজিরার দিন ধার্য রয়েছে। এ দুটি মামলার জন্য সরকার সম্প্রতি নতুন বিচারক নিয়োগ দিয়েছে। এদিন রাজধানীতে বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নিতে গত রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটির সঙ্গে দলের অন্য অঙ্গ সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের যৌথ সভা হয়। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে শুরু হওয়া আন্দোলন দুই-তিন মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করবে। সরকারকে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে এ সময়ে নেয়া হবে বিভিন্নমুখী কৌশল। আন্দোলনের এই পথে কার্যকর কূটনৈতিক সমর্থন পেতেও থাকবে দলীয় তৎপরতা। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনের ধরন কী হবে, তা নিয়ে ইতোমধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে প্রতিদিনই তিনি এ নিয়ে বৈঠক করছেন। এসব বৈঠকে আন্দোলন কিভাবে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়েই তিনি কথা বলেছেন। ঢাকা মহানগরসহ শীর্ষ নেতাদের তিনি বারবার সতর্ক করছেন আন্দোলন যাতে ব্যর্থ না হয়। আদায় করছেন প্রতিশ্রুতি। বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানিয়েছেন, বিএনপির নতুন এ আন্দোলন স্বল্প সময়ের মধ্যে বিগত ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগের তিন মাসের মতো অবস্থায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে। ওই তিন মাস টানা হরতাল, অবরোধ পালন করেছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। বিএনপির প্রভাবশালী এক নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে একটা কথাই বারবার বলা হচ্ছে, তা হলো ঢাকা থেকেই আন্দোলনের প্রথম ধাক্কাটা দিতে হবে। ঢাকায় আন্দোলন অব্যাহত রাখতে পারলে সারা দেশে তার ঢেউ ছড়িয়ে পড়বে। সরকারের পক্ষে জনগণের সেই আন্দোলন কোনোভাবেই আর সামলানো সম্ভব হবে না।’ তিনি আরো বলেন, বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, এবার তার অর্ধেক হলেও সরকার দিশেহারা হয়ে যাবে। প্রস্তুত আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারি নিয়ে সরকার ও আওয়ামী লীগ সতর্ক রয়েছে। এ সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তির দিনে সরকারবিরোধীরা যাতে বড় ধরনের কোনো আন্দোলন বা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে প্রশাসন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি দিবসটিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ আখ্যা দিয়ে ওই দিন আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে রাজপথ নিজেদের দখলে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ সোমবার আরটিএনএনকে বলেন, ইতিমধ্যে ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করার জন্য ঢাকাসহ সারাদেশে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় বিজয় র্যা লি ও মিছিল করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এইদিন সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীরা আনন্দ উল্লাস আর হইহুল্লোড়ে মেতে উঠবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি সূত্র আরটিএনএনকে নিশ্চিত করেন, এদিন বিএনপি-জামায়াত জোট যেন রাজপথে তেমন কোনো শো-ডাউন করতে না পারে সেই জন্যে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী ঢাকার প্রতিটি পয়েন্টে পয়েনন্ট প্রস্তুত থাকবে দলের নেতাকর্মীরা। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আরটিএনএনকে বলেন, ৫ জানুয়ারি আমরা গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন করব। সেখানে পাল্টা কর্মসূচিতে বিএনপি যদি কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তবে তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলার করার শক্তি আওয়ামী লীগের আছে। বড় দুটি দলের এই পল্ট্পাল্টি কর্মসূচি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার আরটিএনএনকে বলেন, বাক স্বাধীনতা ও সমাবেশ করার স্বাধীনতা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। কারো সমাবেশকে বাধা দেয়ার এখতিয়ার কারো নেই। তিনি বলেন, উভয় পক্ষ পাশাপাশি সমাবেশ করুক। কেউ কারো সামাবেশে বাধা দেবে না।-এটা আমাদের নাগরিক সমাজের কাম্য। তাহলেই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রতিফলন হবে। তবে একই মাঠে দুই পক্ষ সমাবেশ করলে সেটা হবে অশনি সংকেত। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। মন্তব্য নিজস্ব প্রতিবেদকআরটিএনএনঢাকা: একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনীর পক্ষে গড়ে তোলা কায়সার বাহিনীর প্রধান সৈয়দ মো. কায়সারকে মানবতা . . . বিস্তারিত নিজস্ব প্রতিনিধিআরটিএনএনরংপুর: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ার . . . বিস্তারিত
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment