Monday, June 22, 2015

ছয় দিনেও রাজ্জাককে ফেরত দেয়নি মিয়ানমার:আরটিএনএন

ছয় দিনেও রাজ্জাককে ফেরত দেয়নি মিয়ানমার নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: বাংলাদেশি সীমান্তে ঢুকে গুলি করে বিজিবির একজনকে আহত ও অপরজন আব্দুর রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার সীমান্ত বাহিনী বিজিপি। গত ১৭ জুন কক্সবাজার দমদমিয়া চেকপোস্টের বিপরীতে লালদিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর পার হয়ে গেছে ছয় দিন। এরইমধ্যে মিয়ানমার বিজিবি নায়েক আব্দুর রাজ্জাককে ইউনিফর্ম অবস্থায় হাতে হাতকড়া দিয়ে সন্ত্রাসী সাজিয়ে ছবি গণম
াধ্যমে প্রকাশ করেছে। বিজিবির পক্ষ থেকে তাকে ফেরত পেতে যোগাযোগ করার কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত তাতে সাড়া দেয়নি মিয়ানমার। বারবার আশ্বাস দিয়েও রাজ্জাককে ফেরত দেয়নি তারা। এ নিয়ে সারাদেশে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিশেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের কড়া সমালোচনা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ব্যর্থতার দায়ে বিএনপি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদের পদত্যাগ দাবি করেছেন। অবশ্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সেদিনের ঘটনাকে উভয় দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যকার ভুল বোঝাবুঝি বলে দাবি করেছিলেন। খুব শিগগিরই বিজিবি নায়েক রাজ্জাককে ফেরত দেবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিমন্ত্রীর কথার বাস্তবায়ন এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। উল্টো শোনা যাচ্ছে, মিয়ানমার তাদের দেশের আইনে রাজ্জাকের বিচার করে পরে ফেরত দেবে। এদিকে, বিজিবি টেকনাফ ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ জানান, মিয়ানমারের এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার লিখিত প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, বিজিবির নায়েক আব্দুর রাজ্জাককে ফেরত চেয়ে পতাকা বৈঠক আহ্বান করা হলেও সাজা মেলেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলাপ চলছে বলে জানান আবুজার আল জাহিদ। বিজিবি সূত্র জানায়, ১৭ জুন নায়েক আব্দুর রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর বিজিপিকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছিল। পরদিন টেকনাফ স্থলবন্দর রেস্ট হাউসে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওপরের সম্মতি না পাওয়ার কথা বলে বিজিপি তা বাতিল করে দেয়। এরপর থেকে বারবার পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হলেও রাজ্জাকের বিষয়ে এখনো পতাকা বৈঠকে বসেনি মিয়ানমার। গত শুক্রবার মিয়ানমারের ঢেকুবনিয়ায় ৩৭ বাংলাদেশি ফেরত বিষয়ে পতাকা বৈঠকেও নায়েক আব্দুর রাজ্জাকের বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় হয়। বৈঠক শেষে ৩৭ জন বাংলাদেশি আসলেও রাজ্জাকের বিষয় আর এগোয়নি। উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন বিজিবির সদস্যরা দমদমিয়া চেকপোস্টের বিপরীতে লালদিয়ায় নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। এ সময় একদল চোরাকারবারিকে ধাওয়া করে বিজিবি সদস্যরা। একপর্যায়ে চোরাকারবারিরা বিজিবির আওতার বাইরে চলে যায়। এ সময় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা বিজিবির টহল দলের ওপর গুলি চালায়। এতে বিপ্লব নামের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক নাফ নদীতে পড়ে গেলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর সম্প্রতি রাজ্জাককে হাতকড়া পরিয়ে গণমাধ্যমে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে ছবি প্রকাশ করেছে মিয়ানমার। সেখানে রাজ্জাককে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি পরিত্যক্ত ঘরে দেখা গেছে। মন্তব্য      

No comments:

Post a Comment