শের সাহারানপুরে। উদ্দেশ্য ছিল ভারতে নাশকতা ও জেহাদি ভাবধারা প্রচার। ঠিক ছিল সেই কাজে সাহায্য করতে দিল্লির কাছে নয়ডায় এসে তার সঙ্গে দেখা করবে আর এক বাংলাদেশি মুহম্মদ বরকাতুল্লাহ। প্রতিবেদনে বলা হয়, বরকাতুল্লাহ যে প্রথম থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে, তা একেবারেই বুঝতে পারেননি আব্দুল আজিজ। ঠিক ছিল, ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে নয়ডায় আজিজের সঙ্গে দেখা করবেন বরকাতুল্লাহ। বাংলাদেশ থেকে সেই নির্দেশ দিয়েই পাঠানো হয়েছিল বরকাতুল্লাহকে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার সময়েই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় সে। তার কাছে একটি ল্যাপটপ ও কিছু ‘জেহাদি’ লিফলেট মেলে। জেরায় বরকাতুল্লাহ জানান, নয়ডায় গিয়ে আজিজের হাতে ল্যাপটপটি তুলে দিতেই তিনি ভারতে এসেছেন। ৩০ ডিসেম্বর বরক্তুল্লাহকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশও করে পুলিশ। কেন্দ্রীয় ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) এক অফিসারের কথায়, ‘সন্দেহজনক সরঞ্জাম ও তথ্যসম্ভার নিয়ে এক বাংলাদেশি ধরা পড়ে বনগাঁয়। তাকে জেরা করে উত্তরপ্রদেশের আর এক জনের হদিস মিলেছে। সে বাংলাদেশের নাগরিক হলেও ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এ দেশে বসবাস করছে।’ এ দিকে বরকাতুল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যকে হাতিয়ার করেই আজিজকে ফাঁদে ফেলার পরিকল্পনা নেন গোয়েন্দারা। যৌথভাবে পরিকল্পনা রচনায় নামে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা জানান, সিদ্ধান্ত হয়, দু’জনের যেভাবে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তা হবে। পরিকল্পনা মাফিক পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বরকতুল্লাকে নিয়ে আসে নয়ডায়। তাকে দিয়ে ফোন করানো হয় আজিজকে। ঠিক হয় নয়ডার একটি বিশেষ জায়গায় বরকাতুল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন আজিজ। এর পর আজিজ দেখা করতে এলে আটক করা হয় তাকেও। বরকাতুল্লাহর বাড়ি ফরিদপুরের শালথা থানার কানাইর গ্রামে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ জানিয়েছে, তার সঙ্গে থাকা ল্যাপটপে প্রচুর ফাইল রয়েছে। রয়েছে জঙ্গি প্রশিক্ষণের নানা নথিপত্রও। উর্দুতে জেহাদি বক্তৃতার বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজও মিলেছে। তবে অনেক ফাইলই পুলিশ খুলতে পারেনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বক্তব্য, এ দেশে জেহাদি ভাবধারা প্রচারের দায়িত্বে ছিল তারা। ধৃত ব্যক্তিদের ভারতে পাঠানোর পিছনে মূল চক্রী কারা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে। তবে ধৃতরা কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এখনই তা জানাতে চাইছে না। তাদের বক্তব্য, তদন্ত চলছে। একটি বিষয় স্পষ্ট, ওই দুই ব্যক্তি কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর স্লিপার সেলের সদস্য, যাদের কাজ ভারতে জেহাদি নিয়োগ করে সংগঠন বাড়ানো। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জেনেছেন, কেবল পশ্চিমবঙ্গেই অন্তত ৫০টি সন্ত্রাসের মডিউল কাজ করছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বক্তব্য, এমনকি খাগড়াগড় কাণ্ডের সঙ্গেও ওই দুই যুবকের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মন্তব্য
Saturday, January 3, 2015
পশ্চিমবঙ্গে ‘দুই বাংলাদেশি জেহাদি’ আটক:RTNN
পশ্চিমবঙ্গে ‘দুই বাংলাদেশি জেহাদি’ আটক আন্তর্জাতিক ডেস্ক আরটিএনএন কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে কথিত দুই বাংলাদেশি জেহাদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশের বরাত দিয়ে দাবি করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা। পত্রিকাটির দাবি, এদের একজনের নাম আব্দুল আজিজ এবং অন্যজন মুহম্মদ বরকাতুল্লাহ। শনিবার আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের বাসিন্দা’ আব্দুল আজিজ ভারতে ঢুকেছিল মাস কয়েক আগে। ঘাঁটি গেড়েছিলেন উত্তরপ্রদে
শের সাহারানপুরে। উদ্দেশ্য ছিল ভারতে নাশকতা ও জেহাদি ভাবধারা প্রচার। ঠিক ছিল সেই কাজে সাহায্য করতে দিল্লির কাছে নয়ডায় এসে তার সঙ্গে দেখা করবে আর এক বাংলাদেশি মুহম্মদ বরকাতুল্লাহ। প্রতিবেদনে বলা হয়, বরকাতুল্লাহ যে প্রথম থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে, তা একেবারেই বুঝতে পারেননি আব্দুল আজিজ। ঠিক ছিল, ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে নয়ডায় আজিজের সঙ্গে দেখা করবেন বরকাতুল্লাহ। বাংলাদেশ থেকে সেই নির্দেশ দিয়েই পাঠানো হয়েছিল বরকাতুল্লাহকে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার সময়েই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় সে। তার কাছে একটি ল্যাপটপ ও কিছু ‘জেহাদি’ লিফলেট মেলে। জেরায় বরকাতুল্লাহ জানান, নয়ডায় গিয়ে আজিজের হাতে ল্যাপটপটি তুলে দিতেই তিনি ভারতে এসেছেন। ৩০ ডিসেম্বর বরক্তুল্লাহকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশও করে পুলিশ। কেন্দ্রীয় ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) এক অফিসারের কথায়, ‘সন্দেহজনক সরঞ্জাম ও তথ্যসম্ভার নিয়ে এক বাংলাদেশি ধরা পড়ে বনগাঁয়। তাকে জেরা করে উত্তরপ্রদেশের আর এক জনের হদিস মিলেছে। সে বাংলাদেশের নাগরিক হলেও ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এ দেশে বসবাস করছে।’ এ দিকে বরকাতুল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যকে হাতিয়ার করেই আজিজকে ফাঁদে ফেলার পরিকল্পনা নেন গোয়েন্দারা। যৌথভাবে পরিকল্পনা রচনায় নামে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা জানান, সিদ্ধান্ত হয়, দু’জনের যেভাবে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তা হবে। পরিকল্পনা মাফিক পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বরকতুল্লাকে নিয়ে আসে নয়ডায়। তাকে দিয়ে ফোন করানো হয় আজিজকে। ঠিক হয় নয়ডার একটি বিশেষ জায়গায় বরকাতুল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন আজিজ। এর পর আজিজ দেখা করতে এলে আটক করা হয় তাকেও। বরকাতুল্লাহর বাড়ি ফরিদপুরের শালথা থানার কানাইর গ্রামে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ জানিয়েছে, তার সঙ্গে থাকা ল্যাপটপে প্রচুর ফাইল রয়েছে। রয়েছে জঙ্গি প্রশিক্ষণের নানা নথিপত্রও। উর্দুতে জেহাদি বক্তৃতার বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজও মিলেছে। তবে অনেক ফাইলই পুলিশ খুলতে পারেনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বক্তব্য, এ দেশে জেহাদি ভাবধারা প্রচারের দায়িত্বে ছিল তারা। ধৃত ব্যক্তিদের ভারতে পাঠানোর পিছনে মূল চক্রী কারা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে। তবে ধৃতরা কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এখনই তা জানাতে চাইছে না। তাদের বক্তব্য, তদন্ত চলছে। একটি বিষয় স্পষ্ট, ওই দুই ব্যক্তি কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর স্লিপার সেলের সদস্য, যাদের কাজ ভারতে জেহাদি নিয়োগ করে সংগঠন বাড়ানো। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জেনেছেন, কেবল পশ্চিমবঙ্গেই অন্তত ৫০টি সন্ত্রাসের মডিউল কাজ করছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বক্তব্য, এমনকি খাগড়াগড় কাণ্ডের সঙ্গেও ওই দুই যুবকের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মন্তব্য
শের সাহারানপুরে। উদ্দেশ্য ছিল ভারতে নাশকতা ও জেহাদি ভাবধারা প্রচার। ঠিক ছিল সেই কাজে সাহায্য করতে দিল্লির কাছে নয়ডায় এসে তার সঙ্গে দেখা করবে আর এক বাংলাদেশি মুহম্মদ বরকাতুল্লাহ। প্রতিবেদনে বলা হয়, বরকাতুল্লাহ যে প্রথম থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে, তা একেবারেই বুঝতে পারেননি আব্দুল আজিজ। ঠিক ছিল, ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে নয়ডায় আজিজের সঙ্গে দেখা করবেন বরকাতুল্লাহ। বাংলাদেশ থেকে সেই নির্দেশ দিয়েই পাঠানো হয়েছিল বরকাতুল্লাহকে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার সময়েই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় সে। তার কাছে একটি ল্যাপটপ ও কিছু ‘জেহাদি’ লিফলেট মেলে। জেরায় বরকাতুল্লাহ জানান, নয়ডায় গিয়ে আজিজের হাতে ল্যাপটপটি তুলে দিতেই তিনি ভারতে এসেছেন। ৩০ ডিসেম্বর বরক্তুল্লাহকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশও করে পুলিশ। কেন্দ্রীয় ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) এক অফিসারের কথায়, ‘সন্দেহজনক সরঞ্জাম ও তথ্যসম্ভার নিয়ে এক বাংলাদেশি ধরা পড়ে বনগাঁয়। তাকে জেরা করে উত্তরপ্রদেশের আর এক জনের হদিস মিলেছে। সে বাংলাদেশের নাগরিক হলেও ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এ দেশে বসবাস করছে।’ এ দিকে বরকাতুল্লাহর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যকে হাতিয়ার করেই আজিজকে ফাঁদে ফেলার পরিকল্পনা নেন গোয়েন্দারা। যৌথভাবে পরিকল্পনা রচনায় নামে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা জানান, সিদ্ধান্ত হয়, দু’জনের যেভাবে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তা হবে। পরিকল্পনা মাফিক পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বরকতুল্লাকে নিয়ে আসে নয়ডায়। তাকে দিয়ে ফোন করানো হয় আজিজকে। ঠিক হয় নয়ডার একটি বিশেষ জায়গায় বরকাতুল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন আজিজ। এর পর আজিজ দেখা করতে এলে আটক করা হয় তাকেও। বরকাতুল্লাহর বাড়ি ফরিদপুরের শালথা থানার কানাইর গ্রামে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ জানিয়েছে, তার সঙ্গে থাকা ল্যাপটপে প্রচুর ফাইল রয়েছে। রয়েছে জঙ্গি প্রশিক্ষণের নানা নথিপত্রও। উর্দুতে জেহাদি বক্তৃতার বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজও মিলেছে। তবে অনেক ফাইলই পুলিশ খুলতে পারেনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বক্তব্য, এ দেশে জেহাদি ভাবধারা প্রচারের দায়িত্বে ছিল তারা। ধৃত ব্যক্তিদের ভারতে পাঠানোর পিছনে মূল চক্রী কারা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে। তবে ধৃতরা কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এখনই তা জানাতে চাইছে না। তাদের বক্তব্য, তদন্ত চলছে। একটি বিষয় স্পষ্ট, ওই দুই ব্যক্তি কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর স্লিপার সেলের সদস্য, যাদের কাজ ভারতে জেহাদি নিয়োগ করে সংগঠন বাড়ানো। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জেনেছেন, কেবল পশ্চিমবঙ্গেই অন্তত ৫০টি সন্ত্রাসের মডিউল কাজ করছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বক্তব্য, এমনকি খাগড়াগড় কাণ্ডের সঙ্গেও ওই দুই যুবকের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment