Tuesday, May 5, 2015

আসামকে নিয়েই সীমান্ত চুক্তি:টাইমনিউজ

আসামকে নিয়েই সীমান্ত চুক্তি স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ০৫ মে, ২০১৫ ০৭:৩৯:২০ অবশেষে বিরোধী দল কগ্রেসের চাপে আসামকে রেখেই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি বিল বুধবার রাজ্যসভায় তোলা হচ্ছে। সোমবার রাতে রাজধানী নয়া দিল্লিতে ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে দলটির নেতাদের দীর্ঘ বৈঠকে আসামকে রেখেই সংবিধান সংশোধনের বিলটি পার্লামেন্টে তোলার ব্যাপারে একমত হয়েছেন তারা।   ১৯৭৪ সালে তৎকালীন ভারতের প্র
ধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থল সীমান্ত চুক্তিকে সই করেন। চুক্তিটি পুরোপুরি বাস্তবায়নে ২০১১ সালে একটি প্রটোকল সই করেছিল দেশ দুটি। এতে আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গে ছিটমহল ও অপদখলীয় ভূমি বিনিময় এবং সাড়ে ছয় কিলোমিটার সীমান্ত চিহ্নিত করাই ছিল এর লক্ষ্য। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপ্যাধ্যায়ের সরকারের আপত্তির কারণে ভারতের বিগত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকার বিলটি পাস করতে পারেনি। কিন্তু বিজেপি সরকার বিলটি পাস করতে চাইলে মমতা এর পক্ষে রায় দেন। কিন্তু সমস্যা বাঁধে আসামকে নিয়ে। রাজ্যের বিজেপির নেতারা ওই চুক্তিতে আসামকে অন্তর্ভুক্তি রাখার তীব্র বিরোধিতা করেন। তাদের অভিযোগ, ওই চুক্তি করলে আসামের অনেক সম্পত্তি বাংলাদেশের কাছে চলে যাবে। আর এই কারণেই চুক্তিটি বাস্তবায়নে ভারতের সংসদে উত্থাপনের জন্য সংবিধান সংশোধনী বিল থেকে আসামকে বাদ দেওয়ার কথা উঠেছিল। বিজেপি সরকার আসামকে বাদ দিয়ে সীমান্ত বিলটি বাস্তবায়ন করতেও এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু বিরোধী কংগ্রেস এ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করায় চুক্তিটি নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। কংগ্রেস বলছে, রাজ্যসভায় পেশ করা মূল বিলে আসামকে অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে। এখন আসামকে বাদ দেওয়া দলটি মেনে নেবে না। আর এই সিদ্ধান্ত সীমান্ত চুক্তি নিয়ে জটিলতা কমবে না বরং আরো বাড়বে বলে দলটির মত। কংগ্রেসের চাপে শেষ পর্যন্ত আসামকে রেখেই কাল বুধবার রাজ্যসভায় সীমান্ত বিল উঠছে। সোমবার রাতে বিজেপির সভাপতি অমিত শাহর সভাপতিত্বে নয়া দিল্লির তার বাসায় দলের আসাম রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত হয়। লোকসভায় বিজেপির সদস্য রমেন ডেকা গত রাতে ভারতীয় সংবাদকে বলেন, সীমান্ত বিল থেকে আসামকে বাদ দেওয়া হলে কংগ্রেস বিরোধিতা করবে বলে জানিয়েছিল। তাই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আসামকে রেখেই বিলটি উত্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যসভায় পাস হলে বিলটি লোকসভায় আনা হবে। লোকসভার অধিবেশন শেষ হবে ৮ মে। সরকারি সূত্র বলছে, বিলটি নিয়ে জটিলতা থাকলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এদিকে সীমান্ত বিলে পরিবর্তন নিয়ে সরব রয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। গত রোববার গুয়াহাটিতে নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে গগৈ বলেন, ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে দ্বিমুখী আচরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। গত বছর প্রধানমন্ত্রী চুক্তিটি আসামের জন্য ভালো হবে বলেছিলেন। তবে এখন কেন তিনি চুক্তি থেকে আসামকে বাদ দিতে চাইছেন? কেএইচ

No comments:

Post a Comment