সাগরে বিপন্ন মানবতা: কুয়ালালামপুরে জরুরী বৈঠক বুধবার মো: কামরুজ্জামান বাবলু টাইম নিউজ বিডি, ১৯ মে, ২০১৫ ১৩:১২:৩৫ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সাগর পথে মানবপাচার ও অভিবাসী সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে ২০ মে বুধবার কুয়ালালামপুরে অভিবাসী ইস্যুতে অলোচনায় বসছে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। আগামী ২৯ মে এ বিষয়ে ব্যাংককে বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করছে থাইল্যান্ড। এর আগেই কুয়ালালাপুরে দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশের মধ্যে
এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ আলোচনায় অংশ নেবেন। থাই গণমাধ্যম ব্যাংক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবপাচার রোধে সম্ভাব্য সমাধান পেতে তিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুখোমুখি হচ্ছেন মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে। ওই খবরে বলা হয়, বৈঠকটি সোমবার হওয়ার কথা ছিল। সেখানে শুধু মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া- দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অংশ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বৈঠকে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে বৈঠকটি দিন পরিবর্তন করে বুধবার নির্ধারণ করা হয়। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে এ তথ্য দেন। এতে বলা হয়, মানবপাচার ইস্যুতে সমাধান পাওয়ার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখবে মালয়েশিয়া। যেসব দেশ মানবপাচারের উৎস, পথ ও গন্তব্য- তাদের সঙ্গে একযোগে সব উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ বলেছে, মিয়ানমার বৈষ্যম-বিদ্বেষ দূর করতে না পারলে বঙ্গোপসাগরে মর্মান্তুদ অভিবাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশী ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম মিলে প্রায় আড়াই হাজার অবৈধ অভিবাসীকে সাগর থেকে উদ্ধার করেছে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের তথ্যমতে অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নৌকা যোগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে উন্নত জীবন ও কাজের সন্ধানে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়েছেন। এদের মধ্যে অবশ্য কেউ কেউ তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে সক্ষম হলেও হাজার হাজার মানুষ এখনও পর্যন্ত সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছেন। কারণ নৌকাযোগে অবৈধপথে আসা শ্রমিকদের মোটেই আশ্রয় দিচ্ছে না ওইসব দেশ। অপর এক সূত্রে জানা যায়, এখনও কম করে পাঁচ হাজার অভিবাসী সাগরে রয়েছেন। খাবার ও জলের সংকটে ভুগছেন তারা। এসব বিষয় নিয়েই ২৯ মে ব্যাংককে বৈঠক হতে যাচ্ছে। ওই বৈঠকে ১৫টি দেশের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।এর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, কম্বডিয়া, লাওস, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম এবং বাংলাদেশ। এর আগে, রোববার (১৭ মে ’১৫) সাগরে ভাসমান অসহায় রোহিঙ্গা মুসলমান ও বাংলাদেশীদের প্রতি যথাযথ মানবিক সম্মান প্রদান ও তাদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে থাই সরকারের প্রতি আহবান জানান জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব বান কী মুন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রাউত চান ওচা-র প্রতি এই আহবান জানান। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও আশ্রয় না পেয়ে সাগরে ভাসমান হাজার হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশীকে মানবেতর জীবন থেকে রক্ষা করতে থাইল্যান্ড ও এশিয়ার অন্যান্য দেশের প্রতি আহবান জানিয়েছে। কেবি
No comments:
Post a Comment