
সভানেত্রীর উদ্দেশ্যে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, খালেদা জিয়া তিন মাস কার্যালয়ে বসে হুকুম দিয়ে এত মানুষ মারার পরও তার প্রার্থীদের জন্য ভোট চাইতে নামছেন এটা মানা যায় না। তিনি যে স্থানেই নির্বাচনী পথসভা করবেন সেখানেই তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে। তার পথসভাস্থলে আমাদের পথসভা করতে হবে। মানুষ হত্যার পর কোন লজ্জায় তিনি ভোট চাইতে আসেন- সে বিষয়ে স্লোগান তুলতে হবে। নির্বাচনী প্রচারণায় তিন মাসের মানুষ হত্যার চিত্রগুলো তুলে ধরতে হবে। অধ্যাপক ড. আব্দুল খালেক বলেন, নির্বাচনে জিতব এমন আত্মবিশ্বাস থাকা ভাল। কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ক্ষতির কারণ হতে পারে। আমাদের প্রার্থীদের প্রচারণায় রাজপথে গণসংযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শুধু রাজপথে ঘুরলে হবে না, ভোটারদের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে। এ সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে বলেন। অধ্যাপিকা ড. সুলতানা শফি বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীদের ‘শত নাগরিক কমিটি’র অনুরূপ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিকে নিয়ে ‘সহস্র নাগরিক কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব দিলে তা গৃহীত হয়। এ প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, এ বিষয়ে দুই-একদিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। বৈঠক সূত্র জানায়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বিলম্ব ঠিক হচ্ছে না বলে মত দেন একজন উপদেষ্টা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচারের বিলম্বের কারণ জানতে চান। এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাই তো বিচার করছি। অন্য কেউ তো করেনি। অনেক বছর পর বিচার হচ্ছে। এটা অনেক কষ্টসাধ্য। যে সময় লাগছে তা দিতে হবে, যেন বিচার প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। সবার বক্তব্যে শেষে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, যারা মানুষ হত্যা করল তারা যদি নির্বাচনে ভাল ফল করে তবে বিশ্ববাসীর সামনে তা একটি ভিন্ন বার্তা দেবে। এর মধ্যে দিয়ে বার্তা যায়- আমরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যে কঠোর অবস্থান নিয়েছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি এর প্রতি জনগণের সমর্থন নেই। এজন্য দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। দলের উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, যার যার অবস্থানে থেকে নির্বাচনের কাজ করুন। প্রার্থীদের সহযোগিতা করুন। বুদ্ধিজীবী ফোরামে আপনাদের সক্রিয় থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, এইচ টি ইমাম, ড. মশিউর রহমান, অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক, একেএম শফিউল্লাহ, ড. হোসেন মুনসুর, অধ্যাপক ডা. এম এ মান্নান, এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সি প্রমুখ। এএইচ
No comments:
Post a Comment