Wednesday, May 20, 2015

ট্রাইব্যুনালে মাহিদুর-চুটু, রায়ের অপেক্ষা:আরটিএনএন

ট্রাইব্যুনালে মাহিদুর-চুটু, রায়ের অপেক্ষা নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মাহিদুর রহমান এবং আফসার হোসেন চুটুকে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়েছে। রায় ঘিরে বুধবার সকাল আটটার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় করাগার থেকে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ নেওয়া হয়। সেখানে তাদের ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হ
াসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এই টাইব্যুনালে দিনের আরো কিছু পরে রায় ঘোষণা করা হবে। রায় ঘিরে ট্রাইব্যুনাল, সুপ্রিমকোর্ট ও এর আশপাশের এলাকায় স্বাভাবিক নিরাপত্তা রয়েছে। যেমনটি জামায়াতে ইসলামী নেতাদের রায় ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে দেয়া হয়, তেমনটি চোখে পড়েনি। তবে রমনা বিভাগের পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার শিবলি নোমান সাংবাদিকদের বলেছেন, রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত ২২ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে। আর গতকাল মঙ্গলবার রায়ের জন্য আজকের এই দিন ধার্য করে। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত মাহিদুর ও আফসারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) জেডএম আলতাফুর রহমানসহ প্রসিকিউশনের মোট ১০ জন সাক্ষী। তবে মাহিদুর ও আফসারের পক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষী ছিলেন না। এর আগে মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে গত বছর ১ ডিসেম্বর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠানিক অভিযোগ গত ২৪ নভেম্বর আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুর বিরুদ্ধে গত বছরের ১৬ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান এ অভিযোগ দাখিল করেন। ওইদিন তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় আটক দেখানোর জন্য প্রসিকিউশন আবেদন করেছিল। ২৪ নভেম্বর এ আবেদন মঞ্জুর করে ট্রাইব্যুনাল। তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মাহিদুর রহমান ও মো. আফসার হোসেন চুটুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযোগ তিনটি হলো; প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৬ অক্টোবর সকাল ছয়টা থেকে পরদিন ৭ অক্টোবর সন্ধ্যা পর্যন্ত মো. মাহিদুর রহমান ও মো. আফসার হোসেন চুটুর সহযোগিতায় রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবপুর থানার চাঁদশিকারী, চামাটোলা, বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদশিকারী গ্রাম থেকে ২০০ গজ পশ্চিমে ফিরোজের আম বাগান এবং কবিরাজটোলায় যৌথ আক্রমণ চালায়। তারা এসব গ্রামের ৩৯ জনকে আটক করে। কাউকে কাউকে অপহরণ করে। এক পর্যায়ে নির্যাতনের পর ৩৯ জনের মধ্য থেকে ২৪ জনকে হত্যা করে। দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ১৩ অক্টোবর দুপর একটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মো. মাহিদুর রহমান ও মো. আফসার হোসেন চুটুর সহযোগিতায় রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবপুর থানার এরাদত বিশ্বাসের টোলা এবং কবিরাজটোলা গ্রামে যৌথ আক্রমণ চালায়। এদিন তারা এ দুই গ্রামের ৭০টি বাড়িতে লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করে। আর তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২ নভেম্বর দুপর দুইটা থেকে পরদিন ৩ নভেম্বর রাত পর্যন্ত মো. মাহিদুর রহমান ও মো. আফসার হোসেন চুটুর সহযোগিতায় রাজাকার বাহিনী আক্রমণ চালিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার শেরপুর ভাণ্ডার (লক্ষীপুর), আদিনা ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ, শিবগঞ্জ সিও ডেভ অফিস এবং উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ইয়াকুব বিশ্বাসের আমবাগান এলাকার চার জনকে অপহরণ করে আটকের পর নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে। এছাড়াও বিভিন্ন বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। মন্তব্য      

No comments:

Post a Comment