সিটি নির্বাচন গণতন্ত্রের মজবুত ভিত্তির প্রমাণ: প্রধানমন্ত্রী নিউজ ডেস্ক আরটিএনএন ঢাকা: সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের মজবুত ভিত্তি প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সন্ধ্যায় হাজারীবাগে ফায়ার সার্ভিসের সিভিল ডিফেন্স স্টেশন উদ্বোধন এবং শহীদ শামসুন্নেছা আরজু মনি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এমন দাবি করেন
। বিএনপি মোটেও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের ভিত্তি যে মজবুত তা প্রমাণিত হয়েছে।’ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘মানুষ ধ্বংস চায় না। তারা শান্তি চায়, সুন্দরভাবে বাঁচতে চায়। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকুক, তা চায়। এতো অত্যাচার-নির্যাতন করলে মানুষ কেন তাদের ভোট দেবে?’ সতর্ক থাকার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মনে হতে পারে যে দুর্যোগ শেষ হয়ে গেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশের জনগণ মানবসৃষ্ট যে দুর্যোগের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে, তা আবার আসবে না তা মোটেও নিশ্চিত নয়।’ বিএনপি চেয়ারপারসনকে তার বাড়িতে ফিরে যেতে এবং দুর্নীতি মামলায় আদালতে উপস্থিত হতে বাধ্য করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের সমর্থন লাভে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অগণতান্ত্রিক প্রচেষ্টা চালিয়ে ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দেশের উন্নয়নের জন্য কিছুই করেনি। আমরা যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছি তখন তারা সমস্যার সৃষ্টি করছে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের সেবা করার জন্য ক্ষমতায় এসেছে। এ লক্ষ্যেই সকল উন্নয়ন কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের সরকার দেশের জনগণকে একটি সমৃদ্ধ জীবন দেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ হাজারীবাগে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই এলাকাটি লুটেরা ও অপরাধীদের ঘাঁটি ছিল। প্রকল্পের নামে তারা সরকারি অর্থ লুট এবং নির্বিচারে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাঈদ খোকনকে নির্বাচিত করায় হাজারীবাগের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মেয়র নির্বাচনে জনগণের এই রায় ভাঙচুর, হত্যা ও অগ্নিসংযোগের রাজনীতির একটি সমুচিত জবাব।’ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস। স্বরাষ্ট্র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান, স্বাস্থ্য সচিব মঞ্জুরুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল আলী আহমদ খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। মন্তব্য
No comments:
Post a Comment