ইমাম লণ্ডনে লতিফ দেশে কেউ আসে কেউ যায়: সুরঞ্জিত স্টাপ রিপোটার টাইম নিউজ বিডি, ২৪ নভেম্বর, ২০১৪ ১৩:৩৪:২৭ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম লণ্ডনে আর লতিফ সিদ্দিকী দেশে। কেউ আসে কেউ যায়। ইমাম ইমামতি করতে লণ্ডনে গেছেন আর লতিফ সিদ্দিকী দেশে এসেছেন । সোমবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনষ্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মি
লনায়তনে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠি আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রসঙ্গ, লতিফ সিদ্দিকী গত ২৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পবিত্র হজ, মহানবী (সা.), তাবলিগ জামাত ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায় মন্ত্রিসভা ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে তাঁকে অপসারণ করা হয়। এরপর আর তিনি দেশে ফেরেন নি। তবে গতকাল রাত ৮ টা ৪০ মিনিটি ইন্ডিয়ান এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি বংলাদেশে আসেন। তিনি এখন কোথায় অবস্থান করছেন তা কেউ নিশ্চিত করতে পারে নি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম গত ১২ নভেম্বর টিএসসিতে ছাত্রলীগের এক আলোচনা ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়ে তিনি এখন লণ্ডনে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, এইচ টি ইমাম গেছেন আর এরই মধ্যে লতিফি সিদ্দিকীর আগমন।কেউ যায় কেউ আসে।যাই হোক তাদের যাওয়া চলুক।তবে আমি বলব, রাষ্ট্র লতিফকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেনি।আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।আদালত আইন অনুযায়ী কি ব্যবস্থা নিবে সে ব্যাপারে সরকার কোন ডিরেকশন দিতে পারে না। এখানে কোন পক্ষপতিত্ব হবে না।ধর্মেরও একটি বিচার আছে। ধর্মের বিচার ধর্ম করবে।যেহেতু প্রত্যেকের বিচার পাওয়ার অধিকার আছে সেহেতু্ এটা নিয়ে আপনারা ঘোলাপনিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করবেন না।এটা করে কোন লাভ হবে না। সুরঞ্জিত বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং ধর্ম ও ধর্মীয় সংস্কতি মেনেই রাজনীতি করে বলে লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে যা করার ছিল তার চেয়ে অনেক বেশী করেছেন। হক্কানী আলেম ওলামাদেরকে বলি আপনারা যে ধর্মীয় অনুভূতি থেকে কথা বলছেন। আপনাদের চেয়ে আওয়ামী লীগের অনুভূতি কোন অংশে কম নয়।যে কারণে তাকে দলীয় সভাপতিমন্ডলির পদ থেকে বাদ দিয়েছে।কোন ধরণের নোটিস ছাড়া মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।পদত্যাগ ও অপসারণ এক নয়। ছাত্রলীগের বিষয়ে তিনি বলেন, সিলেটে আমার এলাকার ছেলে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে খুন হয়েছে। আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। সে অদম্য মেধাবী ও নিরেট বঙ্গবন্ধুর সৈনিক।অন্তর কলহ, অন্তর বিদ্রোহ থাকতেই পারে।কিন্তু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ভাবে বলে দেয়া হল সে ছাত্রলীগের কেউ না। এই ব্যপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো। এই ব্যপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক।দেখা হোক এখানে ভর্তি বাণিজ্যের মত কতটা কমিটি বাণিজ্য হয়েছে। আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জাকির আহমেদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি মন্ডলির সদস্য সতিশ চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, কৃষক লীগের সদস্য আব্দুল হাই কানু, বঙ্গবন্ধু একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ। এমআর/এসএইচ
No comments:
Post a Comment