ীদের ঢাকার রাজপথ নামাতে পারলে সরকার দাবি মানতে বাধ্য। আর এজন্য রাজধানীতে বড় রকমের শোডাউন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃত্ব। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট আন্দোলন করছে। সংলাপের মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসন করার জন্য গত ৬ জানুয়ারি থেকে নদী ও সড়কপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অবরোধের পাশাপাশি চলছে পুরো সপ্তাহ জুড়ে কয়েক দফা টানা হরতাল কর্মসূচি। কিন্তু ২ মাসব্যাপী চলমান কর্মসূচিতে সারা দেশে বিশেষ করে রাজধানীতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে রাজপথে নামাতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে ২০ দলীয় জোট। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃত্বকে। আর তাই এবার আঁটঘাট বেঁধে মাঠে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঠে নামানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রমতে, সারাদেশে বিভাগীয় ও জেলা শহরে আন্দোলন চাঙ্গা হলেও রাজধানীতে আন্দোলন এখনও আশানুরূপ হয়নি। যদিও ঢাকা মহানগরের কিছু কিছু এলাকায় ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জামায়াত-শিবির প্রতিদিনই কয়েকটি স্পটে পিকেটিং করার চেষ্টা করে। কিন্তু সেগুলো আন্দোলনের ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না। এমনকি দীর্ঘদিনের চলা এই আন্দোলনে দল ও জোটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির কোনো নেতাকেও রাজপথে সক্রিয় দেখা যায়নি। যদিও আন্দোলন শুরুর আগে এসব দল ও জোটের এসব নেতারা রাজপথে থাকতে জোট নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে মৌখিক অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু আন্দোলন শুরু হওয়ার পর সেই নেতাদের অধিকাংশই চলে গেছেন আত্মগোপনে। ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের মধ্যে একমাত্র সদস্য সচিব হাবীব-উন নবী খান সোহেলকে রাজপথে দেখা গেছে। তাও মাত্র দুটি মিছিলে তিনি উপস্থিত ছিলেন। এসব নেতাদের কথা বাদ দিলেও যেসব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অতীতে আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিত সেইসব সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বও মাঠে নেই। যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জেলে থাকলেও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরবকে মাঠে দেখা যায়নি। একই অবস্থা স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান টা্ইমনিউজবিডি'কে বলেন, ২০ দলীয় জোটের ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি ঢাকাসহ সারাদেশেই পালিত হচ্ছে। আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়েই আমাদের দাবি আদায় করতে চাই। তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের কৌশল যে কোনো সময়ই পরিবর্তন হতে পারে। সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই জোট ও জোটের নেত্রী খালেদা জিয়া যে কোনো কর্মসূচি বা পদক্ষেপ নিতে পারেন। বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহদী টাইমনিউজবিডি'কে বলেন, ২০ দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমরা রাজপথে আছি। আমাদের দলের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে মিছিল করার সময় রাজপথ থেকেই পুলিশ আটক করেছে। তারপরেও আমরা রাজপথে আছি, থাকব। গণতন্ত্রের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থেকেই আন্দোলন করে যাব। এসব বিষয়ে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সহ-সভাপতি নাম প্রকাশে অপরগতা জানিয়ে টাইমনিউজবিডি'কে বলেন, সারা দেশের পাশাপশি ঢাকার রাজপথেও বিএনপির নেতাকর্মীরা সক্রিয় রয়েছেন। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেয় সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজন যুবদলের কর্মীকে পুলিশের কথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়েছে। তবে চলমান আন্দোলনে রাজপথে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের বিশেষভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী দিনে রাজপথে তার প্রতিফলন ঘটানো হবে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান টাইমনিউজবিডি'কে বলেন, অতীতের যে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মত এবারেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজপথে সক্রিয় রয়েছে। এরইমধ্যে চলমান্ আন্দোলনে সারা দেশে প্রায় ছাত্রদলের ১৫ জন নেতাকে জীবন দিতে হয়েছে। গুম করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।পুলিশের গুলিতে পঙ্গুত্ব বরণ করছে এমন নেতাকর্মীর সংখ্যাও কম নয়। সারাদেশে আটক করা হয়েছে কয়েকশ নেতাকর্মী। এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বিজয় মিছিল করতে গিয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক হাসানুল বান্নাসহ ৩ জনকে পুলিশ আটক করেছে। তারপরেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা যে কোনো ত্যাগের বিনিময়ে চলমান আন্দোলনকে সফল করতে প্রস্তুত রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে কয়েকদিন ধরেই রাজপথে নামাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। যার অংশ হিসেবে অবরোধ ও হরতালের মাঝে গত কয়েকদিন গণমিছিলের কর্মসূচি দেয়া হয়েছিল। তবে এবার ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে ঢাকায় একটি বড় ধরণের কেনো সমাবেশ করা যায় কিনা সেই বিষয়টিই ভাবছেন দলের হাইকমান্ড। সম্ভাব্য এ সমাবেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনসম্পৃক্ততা জানান দিতে চায় ২০ দল। এ জন্য বিএনপির পাশাপাশি জোটের অন্যান্য দলকেও প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সমাবেশ করার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি অথবা কৌশলে বাধা দেয়ার চেষ্টা করা হলে সঙ্গে সঙ্গেই ‘ঘেরাও কর্মসূচি’ দিতে পারে ২০ দল। যা পর্যায়ক্রমে অসহযোগ আন্দোলনে রূপ নেবে মনে করছে আন্দোলনরত এ জোটের নীতিনির্ধারকরা। এমএইচ/ এআর
Thursday, March 12, 2015
রাজপথ দখলের নয়া কৌশলের সন্ধানে বিরোধী জোট:Time News
রাজপথ দখলের নয়া কৌশলের সন্ধানে বিরোধী জোট মোজাম্মেল হক তুহিন টাইম নিউজ বিডি, ১২ মার্চ, ২০১৫ ১৬:০৪:১৬ চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে চূড়ান্ত সাফল্যের জন্য এবার রাজপথ দখলের জন্য রণকৌশল পরিবর্তনের চিন্তা করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। বিরোধী জোটের শীর্ষ নেতারা মনে করছে বর্তমানে দেশী-বিদেশী গণতন্ত্রকামী জনমতের চাপে সরকার অনেকটাই নাজেহাল। এই অবস্থায় আন্দোলনের সফল পরিণতির জন্য যে কোনো মূল্যে নেতাকর্ম
ীদের ঢাকার রাজপথ নামাতে পারলে সরকার দাবি মানতে বাধ্য। আর এজন্য রাজধানীতে বড় রকমের শোডাউন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃত্ব। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট আন্দোলন করছে। সংলাপের মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসন করার জন্য গত ৬ জানুয়ারি থেকে নদী ও সড়কপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অবরোধের পাশাপাশি চলছে পুরো সপ্তাহ জুড়ে কয়েক দফা টানা হরতাল কর্মসূচি। কিন্তু ২ মাসব্যাপী চলমান কর্মসূচিতে সারা দেশে বিশেষ করে রাজধানীতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে রাজপথে নামাতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে ২০ দলীয় জোট। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃত্বকে। আর তাই এবার আঁটঘাট বেঁধে মাঠে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঠে নামানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রমতে, সারাদেশে বিভাগীয় ও জেলা শহরে আন্দোলন চাঙ্গা হলেও রাজধানীতে আন্দোলন এখনও আশানুরূপ হয়নি। যদিও ঢাকা মহানগরের কিছু কিছু এলাকায় ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জামায়াত-শিবির প্রতিদিনই কয়েকটি স্পটে পিকেটিং করার চেষ্টা করে। কিন্তু সেগুলো আন্দোলনের ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না। এমনকি দীর্ঘদিনের চলা এই আন্দোলনে দল ও জোটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির কোনো নেতাকেও রাজপথে সক্রিয় দেখা যায়নি। যদিও আন্দোলন শুরুর আগে এসব দল ও জোটের এসব নেতারা রাজপথে থাকতে জোট নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে মৌখিক অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু আন্দোলন শুরু হওয়ার পর সেই নেতাদের অধিকাংশই চলে গেছেন আত্মগোপনে। ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের মধ্যে একমাত্র সদস্য সচিব হাবীব-উন নবী খান সোহেলকে রাজপথে দেখা গেছে। তাও মাত্র দুটি মিছিলে তিনি উপস্থিত ছিলেন। এসব নেতাদের কথা বাদ দিলেও যেসব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অতীতে আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিত সেইসব সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বও মাঠে নেই। যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জেলে থাকলেও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরবকে মাঠে দেখা যায়নি। একই অবস্থা স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান টা্ইমনিউজবিডি'কে বলেন, ২০ দলীয় জোটের ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি ঢাকাসহ সারাদেশেই পালিত হচ্ছে। আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়েই আমাদের দাবি আদায় করতে চাই। তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের কৌশল যে কোনো সময়ই পরিবর্তন হতে পারে। সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই জোট ও জোটের নেত্রী খালেদা জিয়া যে কোনো কর্মসূচি বা পদক্ষেপ নিতে পারেন। বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহদী টাইমনিউজবিডি'কে বলেন, ২০ দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমরা রাজপথে আছি। আমাদের দলের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে মিছিল করার সময় রাজপথ থেকেই পুলিশ আটক করেছে। তারপরেও আমরা রাজপথে আছি, থাকব। গণতন্ত্রের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থেকেই আন্দোলন করে যাব। এসব বিষয়ে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সহ-সভাপতি নাম প্রকাশে অপরগতা জানিয়ে টাইমনিউজবিডি'কে বলেন, সারা দেশের পাশাপশি ঢাকার রাজপথেও বিএনপির নেতাকর্মীরা সক্রিয় রয়েছেন। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেয় সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজন যুবদলের কর্মীকে পুলিশের কথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়েছে। তবে চলমান আন্দোলনে রাজপথে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের বিশেষভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী দিনে রাজপথে তার প্রতিফলন ঘটানো হবে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান টাইমনিউজবিডি'কে বলেন, অতীতের যে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মত এবারেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজপথে সক্রিয় রয়েছে। এরইমধ্যে চলমান্ আন্দোলনে সারা দেশে প্রায় ছাত্রদলের ১৫ জন নেতাকে জীবন দিতে হয়েছে। গুম করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।পুলিশের গুলিতে পঙ্গুত্ব বরণ করছে এমন নেতাকর্মীর সংখ্যাও কম নয়। সারাদেশে আটক করা হয়েছে কয়েকশ নেতাকর্মী। এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বিজয় মিছিল করতে গিয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক হাসানুল বান্নাসহ ৩ জনকে পুলিশ আটক করেছে। তারপরেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা যে কোনো ত্যাগের বিনিময়ে চলমান আন্দোলনকে সফল করতে প্রস্তুত রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে কয়েকদিন ধরেই রাজপথে নামাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। যার অংশ হিসেবে অবরোধ ও হরতালের মাঝে গত কয়েকদিন গণমিছিলের কর্মসূচি দেয়া হয়েছিল। তবে এবার ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে ঢাকায় একটি বড় ধরণের কেনো সমাবেশ করা যায় কিনা সেই বিষয়টিই ভাবছেন দলের হাইকমান্ড। সম্ভাব্য এ সমাবেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনসম্পৃক্ততা জানান দিতে চায় ২০ দল। এ জন্য বিএনপির পাশাপাশি জোটের অন্যান্য দলকেও প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সমাবেশ করার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি অথবা কৌশলে বাধা দেয়ার চেষ্টা করা হলে সঙ্গে সঙ্গেই ‘ঘেরাও কর্মসূচি’ দিতে পারে ২০ দল। যা পর্যায়ক্রমে অসহযোগ আন্দোলনে রূপ নেবে মনে করছে আন্দোলনরত এ জোটের নীতিনির্ধারকরা। এমএইচ/ এআর
ীদের ঢাকার রাজপথ নামাতে পারলে সরকার দাবি মানতে বাধ্য। আর এজন্য রাজধানীতে বড় রকমের শোডাউন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃত্ব। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট আন্দোলন করছে। সংলাপের মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসন করার জন্য গত ৬ জানুয়ারি থেকে নদী ও সড়কপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অবরোধের পাশাপাশি চলছে পুরো সপ্তাহ জুড়ে কয়েক দফা টানা হরতাল কর্মসূচি। কিন্তু ২ মাসব্যাপী চলমান কর্মসূচিতে সারা দেশে বিশেষ করে রাজধানীতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে রাজপথে নামাতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে ২০ দলীয় জোট। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃত্বকে। আর তাই এবার আঁটঘাট বেঁধে মাঠে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঠে নামানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। দলীয় সূত্রমতে, সারাদেশে বিভাগীয় ও জেলা শহরে আন্দোলন চাঙ্গা হলেও রাজধানীতে আন্দোলন এখনও আশানুরূপ হয়নি। যদিও ঢাকা মহানগরের কিছু কিছু এলাকায় ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জামায়াত-শিবির প্রতিদিনই কয়েকটি স্পটে পিকেটিং করার চেষ্টা করে। কিন্তু সেগুলো আন্দোলনের ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না। এমনকি দীর্ঘদিনের চলা এই আন্দোলনে দল ও জোটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির কোনো নেতাকেও রাজপথে সক্রিয় দেখা যায়নি। যদিও আন্দোলন শুরুর আগে এসব দল ও জোটের এসব নেতারা রাজপথে থাকতে জোট নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে মৌখিক অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু আন্দোলন শুরু হওয়ার পর সেই নেতাদের অধিকাংশই চলে গেছেন আত্মগোপনে। ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের মধ্যে একমাত্র সদস্য সচিব হাবীব-উন নবী খান সোহেলকে রাজপথে দেখা গেছে। তাও মাত্র দুটি মিছিলে তিনি উপস্থিত ছিলেন। এসব নেতাদের কথা বাদ দিলেও যেসব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অতীতে আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিত সেইসব সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বও মাঠে নেই। যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জেলে থাকলেও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরবকে মাঠে দেখা যায়নি। একই অবস্থা স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান টা্ইমনিউজবিডি'কে বলেন, ২০ দলীয় জোটের ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি ঢাকাসহ সারাদেশেই পালিত হচ্ছে। আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়েই আমাদের দাবি আদায় করতে চাই। তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের কৌশল যে কোনো সময়ই পরিবর্তন হতে পারে। সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই জোট ও জোটের নেত্রী খালেদা জিয়া যে কোনো কর্মসূচি বা পদক্ষেপ নিতে পারেন। বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহদী টাইমনিউজবিডি'কে বলেন, ২০ দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমরা রাজপথে আছি। আমাদের দলের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে মিছিল করার সময় রাজপথ থেকেই পুলিশ আটক করেছে। তারপরেও আমরা রাজপথে আছি, থাকব। গণতন্ত্রের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থেকেই আন্দোলন করে যাব। এসব বিষয়ে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সহ-সভাপতি নাম প্রকাশে অপরগতা জানিয়ে টাইমনিউজবিডি'কে বলেন, সারা দেশের পাশাপশি ঢাকার রাজপথেও বিএনপির নেতাকর্মীরা সক্রিয় রয়েছেন। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেয় সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজন যুবদলের কর্মীকে পুলিশের কথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়েছে। তবে চলমান আন্দোলনে রাজপথে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের বিশেষভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী দিনে রাজপথে তার প্রতিফলন ঘটানো হবে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান টাইমনিউজবিডি'কে বলেন, অতীতের যে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মত এবারেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজপথে সক্রিয় রয়েছে। এরইমধ্যে চলমান্ আন্দোলনে সারা দেশে প্রায় ছাত্রদলের ১৫ জন নেতাকে জীবন দিতে হয়েছে। গুম করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।পুলিশের গুলিতে পঙ্গুত্ব বরণ করছে এমন নেতাকর্মীর সংখ্যাও কম নয়। সারাদেশে আটক করা হয়েছে কয়েকশ নেতাকর্মী। এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বিজয় মিছিল করতে গিয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক হাসানুল বান্নাসহ ৩ জনকে পুলিশ আটক করেছে। তারপরেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা যে কোনো ত্যাগের বিনিময়ে চলমান আন্দোলনকে সফল করতে প্রস্তুত রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে কয়েকদিন ধরেই রাজপথে নামাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। যার অংশ হিসেবে অবরোধ ও হরতালের মাঝে গত কয়েকদিন গণমিছিলের কর্মসূচি দেয়া হয়েছিল। তবে এবার ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে ঢাকায় একটি বড় ধরণের কেনো সমাবেশ করা যায় কিনা সেই বিষয়টিই ভাবছেন দলের হাইকমান্ড। সম্ভাব্য এ সমাবেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনসম্পৃক্ততা জানান দিতে চায় ২০ দল। এ জন্য বিএনপির পাশাপাশি জোটের অন্যান্য দলকেও প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সমাবেশ করার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি অথবা কৌশলে বাধা দেয়ার চেষ্টা করা হলে সঙ্গে সঙ্গেই ‘ঘেরাও কর্মসূচি’ দিতে পারে ২০ দল। যা পর্যায়ক্রমে অসহযোগ আন্দোলনে রূপ নেবে মনে করছে আন্দোলনরত এ জোটের নীতিনির্ধারকরা। এমএইচ/ এআর
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment