Monday, May 25, 2015

নিউইয়র্কে তোপের মুখে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ:টাইমনিউজ

নিউইয়র্কে তোপের মুখে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ নিউইয়র্ক করেসপন্ডেন্ট টাইম নিউজ বিডি, ২৫ মে, ২০১৫ ১২:২৯:৫৪ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সংবিধান নিয়ে সমালোচনামূলক বক্তব্য রাখতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। নিউইয়র্কে ‘আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব ও বইমেলা’র ২৪তম আসরের শেষ দিনে আয়োজিত এক আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। মেলা সমাপ্তির ঘোষণার ঠিক আগ মুহূ
র্তে স্থানীয় সময় রাত ৮টায় মুক্ত আলোচনায় অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, যেভাবে দেশ এগুবে বলে আমরা আশা করেছিলাম বস্তুত সেভাবে এগোয়নি। যে ব্যর্থতার জন্য দেশ এগুতে পারছে না সেটা হচ্ছে রাজনীতি। আর পরের সমস্যাটা হচ্ছে সংবিধান। যে সংবিধানের শিকার হয়ে রাজনীতি বিপাকে পড়ে গেছে। রাজনীতি এর থেকে বেরুতে পারছে না। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ যখন এসব কথাগুলো বলছিলেন তখন অনুষ্ঠানের আয়োজকরা তাকে বারবার থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা এবং রাজনৈতিক কথা না বলতে অনুরোধ করেন। বক্তৃতার সময় বার বার চিরকুট দিয়ে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদকে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করতে তাগিদ দেয়ায় তিনি প্রচণ্ড বিরক্তি প্রকাশ করেন। এসময় আবু সায়ীদ বলেন, আমাদের রাজনৈতিক নেতারা কখনোই খারাপ ছিলেন না। কিন্তু তারা খারাপ হয়ে পড়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোকে সংবিধানের একটি ধারা একের বিরুদ্ধে অন্যকে সংঘর্ষে লিপ্ত করে দিয়েছে। এটা করতে গিয়েই পুরোপুরি সংঘাতের দিকে চলে গেছে দেশের রাজনীতি। এর থেকে মুক্তির পথ আমি আজকে বলতে পারছি না। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনি বলেন কারা দেশ চালাবে? সরকার সেই ধরনের মানুষ গড়ে তুলতে হবে না? সবগুলো ইউনিভার্সিটির অবস্থা কী? সরকার হচ্ছে সবচেয়ে বড় ‘বেড ইনভেস্টর ফর ইউনিভার্সিটি’। টাকা দিচ্ছে কিন্তু ইউনিভার্সিটির কাছ থেকে প্রাপ্য কাজ (মেধা) বের করে আনতে পারছে না। আর এসব কাজ আদায় করতে পারছে না সরকার নিজের কারণে। কারণ রাজনীতি এখন সব কিছুর মধ্যেই ঢুকে গেছে। আজকে সব কিছু দ্বিখণ্ডিত। যাইহোক আজকের এই অশিক্ষাই গণতন্ত্রের বড় শত্রু। বাংলাদেশের জনগণকে অসহায় দাবি করে আলোকিত মানুষ গড়ার এই কারিগর আরও বলেন, জনগণ বর্তমানের দু’দলকে হাতবদল করে নির্বাচিত করছেন। একবার এ দলকে, ফের অন্য দলকে। এর কারণ কী? হতাশা। যখন দেখছে যে আর কোনো আশা নেই তখন ওই আগের স্বৈরচারী সরকারকে ভোট দিচ্ছে। তার পরের বার একইভাবে বিপরীত দলকে ভোটে নির্বাচিত করছেন। আর এভাবেই হাত বদল করে স্বৈরতন্ত্র আমাদের গণতন্ত্রের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। যা এখন স্থায়ী হয়ে গেছে। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, আমি মনে করি সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদকে একটু সংশোধন করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এ ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়েও কথা বলেন তিনি। হাসান ফেরদৌসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও অংশ নেন পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ব ভারতীর পরিচালক রামকুমার মুখোপাধ্যায়। মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এবারের বইমেলা শেষ হয় ২৪ মে রোববার স্থানীয় সময় রাত ১১টায় (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৯টা)। মেলার দ্বিতীয় শেষ দিন শনিবার ও রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় প্রাঙ্গনে ছিল পাঠকের উপচেপড়া ঢল। এবারের মেলায় বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২০টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের কন্যা শারমিন আহমেদ ওনাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারসহ প্রবাসী বিশিষ্টজনেরা। এআর

No comments:

Post a Comment