িনি মধ্যযুগের ধর্মীয়প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করার পাশাপাশি কবিতায়ও তার প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলেন। গবেষক দেবশ্রী ভট্টাচার্যের মতে—‘হিন্দু কলেজে ইংরেজি শিক্ষা, পাশ্চাত্য যুক্তিবাদের অনুষঙ্গ, ধর্মসংস্কার আচ্ছন্নতার ঊর্ধ্বে উঠে বিজ্ঞানমনস্কতার প্রসার, অন্যদিকে ইতিহাসের বিপ্রতীপ অনুসন্ধান এবং ঐতিহ্যের পুনর্নির্মাণের মধ্যে দিয়ে মধুসূদন বাংলা কাব্যের ক্ষেত্রে প্রকৃত আধুনিকতার সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন।’ এই আধুনিকতা ব্যক্তি জীবন ছাপিয়ে মধুসূদনের কাব্যেও সমভাবে প্রতিফলিত। ‘ক্লাসিকতার পুনর্জাগরণ’-কে ঊনিশ শতকীয় রেনেসাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে শনাক্ত করেন কাব্যবোদ্ধারা। সে সময় বাংলা সাহিত্যে ‘রামায়ণ’-’মহাভারত’আর পাশ্চাত্যসাহিত্যে ‘ইলিয়ড’-‘ওডিসি’র জয়জয়কার। কালিদাস-ভবভূতি-শূদ্রক-এর বিপরীতে মিল্টন-ভার্জিল-ট্যাসোর গুরুগম্ভীর রচনা, অন্যদিকে চণ্ডীদাস-বিদ্যাপতি-গোবিন্দদাস-কবিকঙ্কন-ভারতচন্দ্রের রচনার পাশে শেক্সপীয়র-প্রেত্রার্ক-এর সাহিত্যকর্ম। ফলে নিঃসঙ্কোচে বলা যায়, ঊনিশ শতকের এই রেনেসাঁর অভিজ্ঞতা মধুসূদনের কবিমানস গঠনে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করে। রেনেসাঁয় প্রভাবিত হয়ে তিনি নতুন কাব্যরীতির সন্ধান করেন। যে কারণে মঙ্গলকাব্য ও মধ্যযুগের সাহিত্যের পর বাংলা কাব্য-সাহিত্যে ঐতিহ্যের পুনর্নির্মাণ তার হাতেই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। যুগপ্রেক্ষিত ও পটভূমি কীভাবে মধুকবিকে প্রভাবিত করেছিল তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ কবির রচনাবলীতে ছড়িয়ে রয়েছে। বক্ষ্যমাণ সংক্ষিপ্ত এ নিবন্ধে রেনেসাঁসের মূল লক্ষণগুলোর সঙ্গে ‘মধুসূদনের জীবন’ও ‘কাব্য নিরীক্ষণের’মধ্যদিয়ে তার সাহিত্যদর্শন অন্বেষণের চেষ্টা করা হয়েছে। মহান এই কবি ২৯জুন ১৮৭৩ সালে (৪৯ বছর বয়সে) কলকাতায় মৃত্যু বরণ করেন। এমকে
Sunday, January 25, 2015
মাইকেল মধুসূদনের জন্মজয়ন্তি আজ:Time News
মাইকেল মধুসূদনের জন্মজয়ন্তি আজ স্টাফ রিপোটার টাইম নিউজ বিডি, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০:০০ মাইকেল মধুসূদন দত্ত ঊনিশ শতকের জনপ্রিয় বাংলা কবি ও নাট্যকার। তিনি ২৫ জানুয়ারি ১৮২৪ সালে যশোরের কেশবপুর উপজেলায় সাগরদাড়িঁ নামক একটি গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম রাজনারায়ন দত্ত, তিনি একজন আইনজীবী এবং মাতা জাহনাবি দেবী। ঊনিশ শতকের পর বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতা নির্মাণে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ভূমিকা অপরিসীম। ত
িনি মধ্যযুগের ধর্মীয়প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করার পাশাপাশি কবিতায়ও তার প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলেন। গবেষক দেবশ্রী ভট্টাচার্যের মতে—‘হিন্দু কলেজে ইংরেজি শিক্ষা, পাশ্চাত্য যুক্তিবাদের অনুষঙ্গ, ধর্মসংস্কার আচ্ছন্নতার ঊর্ধ্বে উঠে বিজ্ঞানমনস্কতার প্রসার, অন্যদিকে ইতিহাসের বিপ্রতীপ অনুসন্ধান এবং ঐতিহ্যের পুনর্নির্মাণের মধ্যে দিয়ে মধুসূদন বাংলা কাব্যের ক্ষেত্রে প্রকৃত আধুনিকতার সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন।’ এই আধুনিকতা ব্যক্তি জীবন ছাপিয়ে মধুসূদনের কাব্যেও সমভাবে প্রতিফলিত। ‘ক্লাসিকতার পুনর্জাগরণ’-কে ঊনিশ শতকীয় রেনেসাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে শনাক্ত করেন কাব্যবোদ্ধারা। সে সময় বাংলা সাহিত্যে ‘রামায়ণ’-’মহাভারত’আর পাশ্চাত্যসাহিত্যে ‘ইলিয়ড’-‘ওডিসি’র জয়জয়কার। কালিদাস-ভবভূতি-শূদ্রক-এর বিপরীতে মিল্টন-ভার্জিল-ট্যাসোর গুরুগম্ভীর রচনা, অন্যদিকে চণ্ডীদাস-বিদ্যাপতি-গোবিন্দদাস-কবিকঙ্কন-ভারতচন্দ্রের রচনার পাশে শেক্সপীয়র-প্রেত্রার্ক-এর সাহিত্যকর্ম। ফলে নিঃসঙ্কোচে বলা যায়, ঊনিশ শতকের এই রেনেসাঁর অভিজ্ঞতা মধুসূদনের কবিমানস গঠনে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করে। রেনেসাঁয় প্রভাবিত হয়ে তিনি নতুন কাব্যরীতির সন্ধান করেন। যে কারণে মঙ্গলকাব্য ও মধ্যযুগের সাহিত্যের পর বাংলা কাব্য-সাহিত্যে ঐতিহ্যের পুনর্নির্মাণ তার হাতেই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। যুগপ্রেক্ষিত ও পটভূমি কীভাবে মধুকবিকে প্রভাবিত করেছিল তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ কবির রচনাবলীতে ছড়িয়ে রয়েছে। বক্ষ্যমাণ সংক্ষিপ্ত এ নিবন্ধে রেনেসাঁসের মূল লক্ষণগুলোর সঙ্গে ‘মধুসূদনের জীবন’ও ‘কাব্য নিরীক্ষণের’মধ্যদিয়ে তার সাহিত্যদর্শন অন্বেষণের চেষ্টা করা হয়েছে। মহান এই কবি ২৯জুন ১৮৭৩ সালে (৪৯ বছর বয়সে) কলকাতায় মৃত্যু বরণ করেন। এমকে
িনি মধ্যযুগের ধর্মীয়প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করার পাশাপাশি কবিতায়ও তার প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলেন। গবেষক দেবশ্রী ভট্টাচার্যের মতে—‘হিন্দু কলেজে ইংরেজি শিক্ষা, পাশ্চাত্য যুক্তিবাদের অনুষঙ্গ, ধর্মসংস্কার আচ্ছন্নতার ঊর্ধ্বে উঠে বিজ্ঞানমনস্কতার প্রসার, অন্যদিকে ইতিহাসের বিপ্রতীপ অনুসন্ধান এবং ঐতিহ্যের পুনর্নির্মাণের মধ্যে দিয়ে মধুসূদন বাংলা কাব্যের ক্ষেত্রে প্রকৃত আধুনিকতার সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন।’ এই আধুনিকতা ব্যক্তি জীবন ছাপিয়ে মধুসূদনের কাব্যেও সমভাবে প্রতিফলিত। ‘ক্লাসিকতার পুনর্জাগরণ’-কে ঊনিশ শতকীয় রেনেসাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে শনাক্ত করেন কাব্যবোদ্ধারা। সে সময় বাংলা সাহিত্যে ‘রামায়ণ’-’মহাভারত’আর পাশ্চাত্যসাহিত্যে ‘ইলিয়ড’-‘ওডিসি’র জয়জয়কার। কালিদাস-ভবভূতি-শূদ্রক-এর বিপরীতে মিল্টন-ভার্জিল-ট্যাসোর গুরুগম্ভীর রচনা, অন্যদিকে চণ্ডীদাস-বিদ্যাপতি-গোবিন্দদাস-কবিকঙ্কন-ভারতচন্দ্রের রচনার পাশে শেক্সপীয়র-প্রেত্রার্ক-এর সাহিত্যকর্ম। ফলে নিঃসঙ্কোচে বলা যায়, ঊনিশ শতকের এই রেনেসাঁর অভিজ্ঞতা মধুসূদনের কবিমানস গঠনে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করে। রেনেসাঁয় প্রভাবিত হয়ে তিনি নতুন কাব্যরীতির সন্ধান করেন। যে কারণে মঙ্গলকাব্য ও মধ্যযুগের সাহিত্যের পর বাংলা কাব্য-সাহিত্যে ঐতিহ্যের পুনর্নির্মাণ তার হাতেই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। যুগপ্রেক্ষিত ও পটভূমি কীভাবে মধুকবিকে প্রভাবিত করেছিল তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ কবির রচনাবলীতে ছড়িয়ে রয়েছে। বক্ষ্যমাণ সংক্ষিপ্ত এ নিবন্ধে রেনেসাঁসের মূল লক্ষণগুলোর সঙ্গে ‘মধুসূদনের জীবন’ও ‘কাব্য নিরীক্ষণের’মধ্যদিয়ে তার সাহিত্যদর্শন অন্বেষণের চেষ্টা করা হয়েছে। মহান এই কবি ২৯জুন ১৮৭৩ সালে (৪৯ বছর বয়সে) কলকাতায় মৃত্যু বরণ করেন। এমকে
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment