
নারীও রয়েছেন। এ সময় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন সাতজন।’ সংস্থাটি স্পষ্ট করেই বলেছে যে পুলিশের ডিবি, র্যাব ও যৌথবাহিনী এই ১৬ জনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তারা নিখোঁজ কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। বিবৃতিতে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার সাতজন বেশ কিছুদিন নিখোঁজ থাকার পর তাদের লাশ পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য ‘বন্দুকযুদ্ধের’ কথা বলেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এএইচআরসি জানতে পেরেছে যে উপরের ১৬ জন ছাড়াও আরো সাতজনকে জানুয়ারি মাসে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যাদেরকে অনেক দিন পর মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এখনো আল-আমিন কবির (৩৫), মিসেস বিউটি বেগম (৩২) এবং মৌসুমী বেগম (৩০) কোথায় আছে তা জানা যায়নি। যৌথবাহিনী তাদের ধরে নিয়ে যায়। আল-আমিনকে গ্রেপ্তারের পর লোকজনের সামনেই বর্বর নির্যাতন করা হয়। তাদের জীবন নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের হেফাজতে থাকা নারীদের ধর্ষণ করে বলে কুখ্যাতি আছে। বিরোধী দলের কর্মীদের নারী আত্মীয়রা এভাবে স্বেচ্ছাচারী গ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছেন। নারীদের এভাবে নিখোঁজ হওয়ায় ঘটনায় সমাজে ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে। এতে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের সাম্প্রতিক বক্তৃতা তুলে ধরে বলা হয় যে তিনি বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অস্ত্র দেয়া হয়েছে কেন? হাডুডু কিংবা ডাঙ্গুলি খেলার জন্য? অস্ত্রের কাজ কি? এটা একটা বিপজ্জনক জিনিস। এর কাজ মানুষ মারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পুলিশকে অস্ত্র দেয়া হয়েছে লোকদের হত্যার জন্য। লোকজনের নিরাপত্তায় কোনো সমস্যা হলে তারা (পুলিশ) গুলি করবে। তাহলে কি ঘটবে? কিছু লোক নিশ্চয়ই মারা যাবে।’ এতে বলা হয়, বেনজীরের এই বক্তব্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি শীতল বার্তা দিচ্ছে যে যাদের হাতে অস্ত্র আছে তারা মর্জিমাফিক হত্যা করতে পারে। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত সর্বনাশ ঘটেছে। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। কাজেই আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে নির্দেশদাতার দায় (কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি) তার। সরকার গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে ব্যর্থ হলে এসব অপরাধের জন্য অদূর ভবিষ্যতে তাদের দায় নিতে হবে। মন্তব্য
No comments:
Post a Comment