Sunday, December 28, 2014

‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি:Time News

‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০১:০১:৩৫ গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত পাইপের মধ্যে মানব অস্তিত্বের বিষয়টি ‘গুজব’ বলে ঘোষণা দেওয়ায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পদত্যাগ দাবি করেছেন শাহজাহানপুরবাসী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার বিকেল ৪টার দিকে শিশু জিহাদের লাশ আনার পর তারা এ দাবি জানান। উল্লেখ্য, শুক্র
বার রাত ৩টার দিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঘটনাটি ‘গুজব’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি ওই সময় জানান, ওয়াসার অত্যাধুনিক ক্যামেরা ব্যবহার করে দেখা গেছে, ওই পাইপের মধ্যে মানব শরীরের কোনো অস্তিত্ব নেই। এরপরও মানবিক বিষয়টি বিবেচনা করে তিনি অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে উপস্থিত শাহজাহানপুরবাসীসহ বিক্ষুব্ধ জনতা শিশু জিহাদকে যথা সময়ে উদ্ধারে ব্যর্থ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট উদ্ধারকর্মীদেরও বিচার দাবি করেন। তারা ঘটনাটি ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলে দাবি করেন। শাহজাহানপুরের বাসিন্দা হাফিজুল ইসলাম প্রশ্ন রাখেন, কেন জিহাদকে আগে উদ্ধার করা হল না। কেন বলা হল ওই পাইপের মধ্যে কোনো মানবের অস্তিত্ব নেই, কেন উদ্ধার অভিযান বন্ধ করা হল। তিনি আরও জানান, আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই, যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের অবহেলায় শিশু জিহাদ মারা গেছে। আমরা তার হত্যার বিচার দাবি করছি। উত্তেজিত জনতা এ সময় জিহাদের বাবাকে কেন আটক করা হল— প্রশাসনের কাছেও এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবি করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উপস্থিত উত্তেজিত জনতা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট উদ্ধারকর্মীদের বিচার দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় হাসপাতালের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি র্যা ব সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়। এদিকে, জিহাদের উদ্ধারের পর পরই স্থানীয়রা লাঠি নিয়ে ওয়াসার ভবন ভাঙচুর এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বিরুদ্ধে জুতা মিছিল শুরু করেন। তারা ওই সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে পরিত্যক্ত ওই পাইপের মধ্যে পড়ে যায় সাড়ে তিন বছর বয়েসী শিশু জিহাদ। এর ২৩ ঘণ্টা পর পরিত্যক্ত পাইপ থেকেই উদ্ধার করা হল জিহাদের লাশ। ঠিক সে সময় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে অভিযান সমাপ্তের ঘোষণা দেওয়া হয়। উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেওয়া রামপুরার বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মুন দ্য রিপোর্টকে জানান, উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার পর তিনিসহ বেশ কয়েকজন মিলে নিজেদের তৈরি করা বর্শার মতো এ্যাঙ্গেল দিয়ে জিহাদকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান। প্রায় আড়াই শ’ ফুটের মতো রশি ফেলার পর বর্শায় কিছু আটকানোর বিষয়টি অনুভব করেন তারা। এরপর তারা তা টেনে উপরে ওঠালে দেখা যায়, শিশু জিহাদের গায়ের জামায় বর্শাটি আটকিয়ে আছে। এর আগে শুক্রবার বিকেলে ঘটনার পর পাইপের ভেতর আটকেপড়া শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ওয়াসা, পুলিশ, র্যা বসহ স্থানীয় উদ্ধারকর্মীরা অংশ নেয়। শুক্রবার বিকেল থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত চলে প্রথম দফার উদ্ধার অভিযান। রাত ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঘটনাটিকে ‘গুজব’ বলে মন্তব্য করেন। শনিবার সকাল ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি মো. হালিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভেতরে কোনো ভিকটিম নেই।’ অভিযান শেষ পর্যায়ে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের আর কোনো কাজ নেই। দেশীয় পদ্ধতিতে স্থানীয় মানুষ যে চেষ্টা করছে, আমরা তাতে সহায়তা করছি।’ এরপর বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমদ খান উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন। কিন্তু তার সংবাদ সম্মেলন চলাকালেই উদ্ধার হয় শিশু জিহাদের লাশ। সূত্র: দ্য রিপোর্ট জেএ


No comments:

Post a Comment