Thursday, November 27, 2014

৫ হাজার টাকায় শিশু বিক্রি করেন নার্স মর্জিনা:Time News

৫ হাজার টাকায় শিশু বিক্রি করেন নার্স মর্জিনা স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪ ১০:০৭:৩০ মাত্র পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশু বিক্রির ঘটনা ঘটেছে সাভারের শিমুলতলা এলাকায়। স্থানীয় নয়ন মিয়ার স্ত্রী সাহেদা আক্তার ছবিকে (২০) ফুসলিয়ে তার শিশু বাচ্চাকে পাঁচ হাজার টাকায় বিনিময়ে বিক্রি করেন ওই এলাকার রাবেয়া ক্লিনিকের নার্স মর্জিনা বেগম (৩৫)। মর্জিনা তার স্বামী শরীফুলের সঙ্গে সাভারের শিমুলতলা এ
লাকার জলির বাড়িতে ভাড়া থাকেন ও স্থানীয় রাবেয়া ক্লিনিকে সাত বছর ধের নার্সের চাকরি করেন। বিক্রি হয়ে যাওয়া শিশুটির বাবা নয়ন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘ছয় মাস আগে তার স্ত্রী ছবির (২০) একটি মেয়ে বাচ্চা হয়। তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে সাভারের শিমুলতলা এলাকার আতিয়ার রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। চলতি বছরের গত ১২ নভেম্বর নয়ন তার গ্রামের বাড়িতে যান। এ সুযোগে রাবেয়া ক্লিনিকের নার্স মর্জিনা আক্তার তার স্ত্রী সাহেদা আক্তার ছবিকে ফুসলিয়ে শিশু বাচ্চাটিকে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। এমনকি বাচ্চা বিক্রির সময় একটি স্টাম্পে সই করিয়ে নেন ওই নার্স। এদিকে, নয়ন গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরে এসে ঘটনাটি জানতে পেরে মর্জিনা আক্তারের কাছে তার শিশু মেয়েকে ফেরত চায়। এরপর থেকেই মর্জিনা স্থানীয় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে তাদের পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি থানায় অভিযোগ দিতে চাইলে ওই নার্স তাদের হত্যার হুমকিও দেন। শিশুটির বাবা নয়ন শেখ অভিযোগ করে আরো বলেন, ‘তার স্ত্রীর মানসিক সমস্যা আছে। এছাড়াও তিনি গ্রামের বাড়িতে যাওয়ায় মর্জিনা আক্তার তার স্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে ও ফুসলিয়ে শিশু বাচ্চাটি বিক্রি করে দেন।’ এ ঘটনার পর সরেজমিনে স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা বলেন, মর্জিনা আক্তার প্রায় সাত বছর ধরে রাবেয়া ক্লিনিকে নার্সের চাকরি করেন। এর আগেও তিনি কয়েকটি বাচ্চা বিক্রি করেছেন বলে তারা জানান। এছাড়াও তিনি তার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে এমআর পরিচালনা করে আসছেন। এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাবেয়া ক্লিনিকের এক নার্স বলেন, ‘মর্জিনা দীর্ঘদিন নার্সের চাকরি করায় বিভিন্ন ধরনের রোগীদের সঙ্গে তার পরিচয় আছে। এরই সুবাধে তিনি গোপনে বাচ্চা বিক্রির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। দেড় মাস আগেও ৪৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এক নবজাতক বাচ্চা বিক্রি করেছেন।’ এ ব্যাপারে রাবেয়া ক্লিনিকের নার্স মর্জিনা আক্তার বাচ্চা বিক্রির কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি বাচ্চা বিক্রি করিনি। ওই নারী তার শিশুটিকে বিক্রি করার জন্য বেশ কয়েকদিন ধরে আমাকে বিরক্ত করে আসছিল। আর এ জন্যই সুফিয়া নামে এক নারীকে আমি পরিচয় করিয়ে দিলে তিনি তার বাচ্চাটি কিনে নেন।’ এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। ইআর

No comments:

Post a Comment