তাহতরা স্থানীয় উপজাতীয় সম্প্রদায়ের সদস্য। ঐতিহ্যগতভাবে চা বাগানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে তারা। এ ঘটনার পরপরই এক টুইট বার্তায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এটিকে ‘কাপুরুষোচিত আচরণ’ বলে অভিহিত করেছেন। ওইদিনই তিনি আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরণ গগৈ’র সঙ্গে কথা বলেন। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন। আসাম পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল খগেন শর্মা জানান, অরুণাচল প্রদেশের কাছে সিমাঙ্গপাড়ায় সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বাকি হামলার ঘটনাগুলো সনিতপুরের বাতাসিপুর এবং কোকড়াঝড়ের সার্ফেঙ্গুরি ও আলতাপানি এলাকায় ঘটে। রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্থানীয়রা জানান, অস্ত্রধারী হামলাকারীরা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মতো পোশাক পরে পায়ে হেঁটে আসে। তারা জোর করে দরজা খুলে গুলি চালায়। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হামলাকারীদের হাত থেকে নারী-শিশুরাও রেহাই পায়নি। সনিতপুর জেলায় ২১ জন নিহত হয়। এর মধ্যে অন্তত ১০ নারী রয়েছে। পুলিশের ধারণা, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অব বোড়োল্যান্ড (সংবিজিত) বা এনডিএফবি (এস) এ হামলা চালিয়েছে। দলটি বোড়ো গোত্রের লোকদের জন্য স্বাধীন অঞ্চলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। ধারণা করা হচ্ছে, সশস্ত্র দলটির সদস্যদের ওপর নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চালানো অভিযানের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। গত রোববারও নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে দুই বিদ্রোহী নিহত হয়। এ ছাড়া বোড়োল্যান্ডের স্বায়ত্তশাসিত পর্বত কাউন্সিলের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ হামলা ঘটানো হয়েছে বলেও ধারণা করছেন কেউ কেউ। সূত্র: এনডিটিভি। কেএইচ
Wednesday, December 24, 2014
আসামে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২:Time News
আসামে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক টাইম নিউজ বিডি, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০৯:৫১:৫৬ ভারতের আসামে সন্দেহভাজন বোড়োল্যান্ডের বিদ্রোহীদের সিরিজ হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২-এ দাঁড়িয়েছে। কোকড়াঝড় ও সনিতপুর জেলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংঘটিত ওই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে রেড এ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচটি স্থানে একে-৪৭ রাইফেল দিয়ে নারী, শিশু ও পুরুষদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় হামলাকারীরা। হ
তাহতরা স্থানীয় উপজাতীয় সম্প্রদায়ের সদস্য। ঐতিহ্যগতভাবে চা বাগানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে তারা। এ ঘটনার পরপরই এক টুইট বার্তায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এটিকে ‘কাপুরুষোচিত আচরণ’ বলে অভিহিত করেছেন। ওইদিনই তিনি আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরণ গগৈ’র সঙ্গে কথা বলেন। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন। আসাম পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল খগেন শর্মা জানান, অরুণাচল প্রদেশের কাছে সিমাঙ্গপাড়ায় সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বাকি হামলার ঘটনাগুলো সনিতপুরের বাতাসিপুর এবং কোকড়াঝড়ের সার্ফেঙ্গুরি ও আলতাপানি এলাকায় ঘটে। রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্থানীয়রা জানান, অস্ত্রধারী হামলাকারীরা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মতো পোশাক পরে পায়ে হেঁটে আসে। তারা জোর করে দরজা খুলে গুলি চালায়। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হামলাকারীদের হাত থেকে নারী-শিশুরাও রেহাই পায়নি। সনিতপুর জেলায় ২১ জন নিহত হয়। এর মধ্যে অন্তত ১০ নারী রয়েছে। পুলিশের ধারণা, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অব বোড়োল্যান্ড (সংবিজিত) বা এনডিএফবি (এস) এ হামলা চালিয়েছে। দলটি বোড়ো গোত্রের লোকদের জন্য স্বাধীন অঞ্চলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। ধারণা করা হচ্ছে, সশস্ত্র দলটির সদস্যদের ওপর নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চালানো অভিযানের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। গত রোববারও নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে দুই বিদ্রোহী নিহত হয়। এ ছাড়া বোড়োল্যান্ডের স্বায়ত্তশাসিত পর্বত কাউন্সিলের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ হামলা ঘটানো হয়েছে বলেও ধারণা করছেন কেউ কেউ। সূত্র: এনডিটিভি। কেএইচ
তাহতরা স্থানীয় উপজাতীয় সম্প্রদায়ের সদস্য। ঐতিহ্যগতভাবে চা বাগানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে তারা। এ ঘটনার পরপরই এক টুইট বার্তায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এটিকে ‘কাপুরুষোচিত আচরণ’ বলে অভিহিত করেছেন। ওইদিনই তিনি আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরণ গগৈ’র সঙ্গে কথা বলেন। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন। আসাম পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল খগেন শর্মা জানান, অরুণাচল প্রদেশের কাছে সিমাঙ্গপাড়ায় সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বাকি হামলার ঘটনাগুলো সনিতপুরের বাতাসিপুর এবং কোকড়াঝড়ের সার্ফেঙ্গুরি ও আলতাপানি এলাকায় ঘটে। রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্থানীয়রা জানান, অস্ত্রধারী হামলাকারীরা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মতো পোশাক পরে পায়ে হেঁটে আসে। তারা জোর করে দরজা খুলে গুলি চালায়। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হামলাকারীদের হাত থেকে নারী-শিশুরাও রেহাই পায়নি। সনিতপুর জেলায় ২১ জন নিহত হয়। এর মধ্যে অন্তত ১০ নারী রয়েছে। পুলিশের ধারণা, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অব বোড়োল্যান্ড (সংবিজিত) বা এনডিএফবি (এস) এ হামলা চালিয়েছে। দলটি বোড়ো গোত্রের লোকদের জন্য স্বাধীন অঞ্চলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। ধারণা করা হচ্ছে, সশস্ত্র দলটির সদস্যদের ওপর নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চালানো অভিযানের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। গত রোববারও নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে দুই বিদ্রোহী নিহত হয়। এ ছাড়া বোড়োল্যান্ডের স্বায়ত্তশাসিত পর্বত কাউন্সিলের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ হামলা ঘটানো হয়েছে বলেও ধারণা করছেন কেউ কেউ। সূত্র: এনডিটিভি। কেএইচ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment