কবাজার থানায় বুধবার রাতে এ দুটি মামলা করে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা, নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের গাড়ি পোড়ানো ও তাকে ‘হত্যা চেষ্টার’ অভিযোগ আনা হয়েছে। শাহবাগ থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ হাবিল হোসেন বলেন, শাহবাগ থানায় করা এ মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় নাম উল্লেখ করা ২৩ আসামির মধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তারের জানান তিনি। সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস ‘হত্যা চেষ্টা’ মামলার আসামির তালিকায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ী নেতা আবদুল আওয়াল মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারি হেলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামির তালিকায় সোহেল ও হেলালসহ ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের নাম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগের ওসি সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, মিন্টুর বিরুদ্ধে ওই ঘটনায় প্ররোচণার অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে, বকশিবাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় চকবাজার থানায় দায়ের করা মামলায় ৭০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০/৪০ জনকে আসামি করেছেন উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন। চকবাজার থানার ওসি আজিজুল হক জানান, এ মামলায় পুলিশের ওপর মালার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। আসামির তালিকায় বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা রয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবারই চকবাজরের পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান ওসি। বুধবার দুপুরে বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে সরকার সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর রাতে রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকা থেকে ৩০ জন, শাহবাগে ১৮ জন ও চকবাজার থেকে ছয়জনকে আটক করার কথা জানিয়েছিল পুলিশ। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দুর্নীতির মামলায় গতকাল বুধবার রাজধানীর বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত-৩ এ বিএনপির চেয়ারপারসনের হাজিরার দিন নির্ধারিত ছিল। তিনি আদালতে আসার আগ মুহূর্তে সেখানো জড়ো হওয়া বিএনপি, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগের নেতৃত্বে এ সময় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের বেশ কয়েকজনকে একা পেয়ে সড়কে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এ সময় কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশকে নিরব দেখা গেছে। এক পর্যায়ে তারাও ছাত্রলীগের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় ত্রিমুখী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ফটকে মার খান নেত্রকোনা-১ আসনের এমপি ছবি বিশ্বাস। এ সময় তার গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কাছেই পুলিশ দাঁড়িয়েছিল, সাহায্য চাইলেও তারা এগিয়ে আসেনি। মন্তব্য
Thursday, December 25, 2014
এমপিকে ‘হত্যা চেষ্টা’ মামলায় বিএনপির ৮৩ জন আসামি:RTNN
এমপিকে ‘হত্যা চেষ্টা’ মামলায় বিএনপির ৮৩ জন আসামি নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে ঢাকার বকশিবাজার এলাকায় সংঘর্ষ ও এক এমপির গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, ছাত্রদলের সভাপতি ও সম্পাদকসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। রাজধানীর শাহবাগ ও চ
কবাজার থানায় বুধবার রাতে এ দুটি মামলা করে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা, নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের গাড়ি পোড়ানো ও তাকে ‘হত্যা চেষ্টার’ অভিযোগ আনা হয়েছে। শাহবাগ থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ হাবিল হোসেন বলেন, শাহবাগ থানায় করা এ মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় নাম উল্লেখ করা ২৩ আসামির মধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তারের জানান তিনি। সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস ‘হত্যা চেষ্টা’ মামলার আসামির তালিকায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ী নেতা আবদুল আওয়াল মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারি হেলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামির তালিকায় সোহেল ও হেলালসহ ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের নাম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগের ওসি সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, মিন্টুর বিরুদ্ধে ওই ঘটনায় প্ররোচণার অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে, বকশিবাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় চকবাজার থানায় দায়ের করা মামলায় ৭০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০/৪০ জনকে আসামি করেছেন উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন। চকবাজার থানার ওসি আজিজুল হক জানান, এ মামলায় পুলিশের ওপর মালার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। আসামির তালিকায় বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা রয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবারই চকবাজরের পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান ওসি। বুধবার দুপুরে বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে সরকার সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর রাতে রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকা থেকে ৩০ জন, শাহবাগে ১৮ জন ও চকবাজার থেকে ছয়জনকে আটক করার কথা জানিয়েছিল পুলিশ। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দুর্নীতির মামলায় গতকাল বুধবার রাজধানীর বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত-৩ এ বিএনপির চেয়ারপারসনের হাজিরার দিন নির্ধারিত ছিল। তিনি আদালতে আসার আগ মুহূর্তে সেখানো জড়ো হওয়া বিএনপি, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগের নেতৃত্বে এ সময় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের বেশ কয়েকজনকে একা পেয়ে সড়কে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এ সময় কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশকে নিরব দেখা গেছে। এক পর্যায়ে তারাও ছাত্রলীগের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় ত্রিমুখী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ফটকে মার খান নেত্রকোনা-১ আসনের এমপি ছবি বিশ্বাস। এ সময় তার গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কাছেই পুলিশ দাঁড়িয়েছিল, সাহায্য চাইলেও তারা এগিয়ে আসেনি। মন্তব্য
কবাজার থানায় বুধবার রাতে এ দুটি মামলা করে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা, নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের গাড়ি পোড়ানো ও তাকে ‘হত্যা চেষ্টার’ অভিযোগ আনা হয়েছে। শাহবাগ থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ হাবিল হোসেন বলেন, শাহবাগ থানায় করা এ মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় নাম উল্লেখ করা ২৩ আসামির মধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তারের জানান তিনি। সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস ‘হত্যা চেষ্টা’ মামলার আসামির তালিকায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ী নেতা আবদুল আওয়াল মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারি হেলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামির তালিকায় সোহেল ও হেলালসহ ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের নাম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগের ওসি সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, মিন্টুর বিরুদ্ধে ওই ঘটনায় প্ররোচণার অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে, বকশিবাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় চকবাজার থানায় দায়ের করা মামলায় ৭০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩০/৪০ জনকে আসামি করেছেন উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন। চকবাজার থানার ওসি আজিজুল হক জানান, এ মামলায় পুলিশের ওপর মালার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। আসামির তালিকায় বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা রয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবারই চকবাজরের পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান ওসি। বুধবার দুপুরে বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে সরকার সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর রাতে রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকা থেকে ৩০ জন, শাহবাগে ১৮ জন ও চকবাজার থেকে ছয়জনকে আটক করার কথা জানিয়েছিল পুলিশ। উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দুর্নীতির মামলায় গতকাল বুধবার রাজধানীর বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত-৩ এ বিএনপির চেয়ারপারসনের হাজিরার দিন নির্ধারিত ছিল। তিনি আদালতে আসার আগ মুহূর্তে সেখানো জড়ো হওয়া বিএনপি, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগের নেতৃত্বে এ সময় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের বেশ কয়েকজনকে একা পেয়ে সড়কে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এ সময় কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশকে নিরব দেখা গেছে। এক পর্যায়ে তারাও ছাত্রলীগের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় ত্রিমুখী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ফটকে মার খান নেত্রকোনা-১ আসনের এমপি ছবি বিশ্বাস। এ সময় তার গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কাছেই পুলিশ দাঁড়িয়েছিল, সাহায্য চাইলেও তারা এগিয়ে আসেনি। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment