রংপুরে বন্ধ পাঁচটি ট্রেন চালু হয়নি চার বছরেও রংপুর করেসপন্ডেন্ট টাইম নিউজ বিডি, ১৬ জুন, ২০১৫ ১৭:১৯:০২ রংপুরের ওপর দিয়ে চলাচল করত এমন পাঁচটি ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার চার বছর হলোও এখনও চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ । ট্রেনগুলো চালুর দাবিতে আবারও আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক, উন্নয়ন ও নাগরিক সংগঠন। ইতিমধ্যে তারা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। রেলওয়ে স্টেশন সূত্র মতে
, ট্রেনের চালক ও প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় ২০১১ সালের মে মাস থেকে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের ওপর দিয়ে পাঁচটি ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ হয়ে যাওয়া ট্রেনগুলো হলো লালমনিরহাট থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরগামী একটি ট্রেন, গাইবান্ধার বোনারপাড়া থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত রামসাগর এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত বুড়িমারী এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট থেকে পার্বতীপুরগামী ফাস্ট পেসেঞ্জার ও লালমনিরহাট থেকে পার্বতীপুরগামী লোকাল একটি ট্রেন। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে আন্তনগর ‘তিস্তা’ ও ‘একতা’ এক্সপ্রেস ট্রেন দুটিও বন্ধ করা হয়। এদিকে চালু থাকা ট্রেন চারটি হলো লালমনিরহাট থেকে দিনাজপুরের বিরল পর্যন্ত একটি কমিউটার ট্রেন, পার্বতীপুর থেকে বুড়িমারী পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন একটি, পার্বতীপুর থেকে কুড়িগ্রামের রমনা বাজার পর্যন্ত রমনা ট্রেন একটি ও দিনাজপুর থেকে সান্তাহার পর্যন্ত দোলনচাঁপা ট্রেন একটি। যা প্রয়োজনের তুলনায় একবারেই অপ্রতুল। এদিকে দীর্ঘ আড়াই বছর হলো রংপুর বিভাগীয় শহর হয়েছে। হয়েছে সিটি করপোরেশন। লোকসংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। এখানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশপাশের জেলা ও উপজেলা শহর থেকে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে আসছে। অন্যদিকে বন্ধ ট্রেনগুলো চালু না হওয়ায় রংপুরের সঙ্গে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও দিনাজপুর জেলার অনেক এলাকায় লোকজনের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষজন এসব ট্রেন ব্যবহার করত। এর ফলে ওই সব মানুষদের অনেক পথ ঘুরে বাসে যেতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচও বেশি পড়ছে বলে ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান। ৭ জুন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় কুড়িগ্রামের উলিপুর থেকে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন এমদাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হামারগুলার জন্য ট্রেন ভালো। কম টাকাত যাওয়া- আসা করা যায়। কিন্তু ট্রেন না থাকায় বাসোত খুব কষ্ট করি যাওয়া-আসা লাগে।’ একই এলাকার আরও এক রোগী আলেয়া বেগম বলেন, ‘বাসোত চইরবার পারো না। চড়লে মাথা ঘোরে, বমি হয়। তাই ট্রেনেই ভালো। কিন্তু এলা ট্রেন না থাকায় খুব কষ্ট হইছে। এসএইচ
No comments:
Post a Comment