দিকে সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলন কর্মসূচি দমনের সরাসরি ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধরপাকড়ের মহড়া শুরু হয়ে গেছে। কোনো কোনো এলাকায় বিএনপি, জামায়াত ও তাদের শরিক দলের নেতাকর্মীরা ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য। বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল হাসান মাহমুদ খন্দকার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে অপরাধ সংঘটিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে গাজীপুরে খালেদা জিয়ার সমাবেশ ঘিরে ছাত্রলীগের প্রতিরোধের ঘোষণা এবং প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারির পর পুলিশ ইতোমধ্যে বিএনপি ও ২০ দলের বেশ কিছু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ডা. মাজহারুল আলম, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মীর হালিমুজ্জামান ননী, জাসাস নেতা সৈয়দ হাসান সোহেলসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীর বাসায় অভিযান চালায় চালিয়েছে। নেতা-কর্মীদের বাসায় না পেয়ে জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি প্রভাষক বশির উদ্দিন, পুবাইল ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি হারুন অর রশিদ, বদরে আলম কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য আলমগীর হোসেন ও শিশির চৌধুরীসহ সাতজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আটক নেতা-কর্মীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার অতঙ্কে অনেকে বের হতে পারছে না। রাজধানীতে কয়েক দিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আগের তুলনায় সক্রিয়। ঢাকার প্রবেশপথ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে এখন দিনের বেলাতেও পুলিশ চেকপোস্ট বসছে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের আনাগোনা রয়েছে সেসব এলাকায় পুলিশ ও গোয়েন্দা উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। এসব চেকপোস্টে সাধারণ পথচারীরাও তল্লাশি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানীর মালিবাগের বাসিন্দা মামুন জানান, কাকরাইল স্কাউট ভবনের সামনে প্রতিদিন তল্লাশির শিকার হতে হয়। অনেক সময় পুলিশ মোবাইল নম্বর জানতে চায়। মোবাইল নম্বর না দিলে আটকের হুমকি দেয়। মামুন বলেন, ‘তল্লাশি করবে ভালো কথা; কিন্তু পুলিশকে মোবাইল নম্বর দিতে হবে কেন?’ গতকাল বিকেলেও ওই স্পটে দেখা যায় পুলিশ পথচারীদের থামিয়ে তল্লাশি করছে। এভাবে রাজধানীর অনেক এলাকাতেই পুলিশ তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় পুলিশ নিরপরাধ পথচারীদের আটক করে অর্থবাণিজ্যেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর বস্তি, আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মেস, আবাসিক হোটেল এবং বিভিন্ন টার্মিনালে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। মগবাজার বস্তির এক বাসিন্দা জানান, প্রায় প্রতি রাতেই পুলিশ বস্তিতে আসছে। পুলিশ বস্তির বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি করছে। ফকিরেরপুলের এক আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত হোটেলে কোনো বোর্ডার না রাখার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। রাজধানীর বাইরে সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, বগুড়া, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নওগাঁ, মুন্সীগঞ্জ, পাবনা, যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, লক্ষ্মীপুর, নীলফামারী, নেত্রকোনা, রংপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁদপুর, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা ও নোয়াখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে তল্লাশি ও গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়ে গেছে। গত ১৯ ডিসেম্বর বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষও রয়েছে। ফটিকছড়িতে ১৫ জন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। যারা কোনো রাজনৈতিক দলের সাথেই সম্পৃক্ত নন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। ওই দিনই রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ থেকে ২৪ মুসল্লিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ৫ জানুয়ারিকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দিকনির্দেশনা ঠিক করছেন। ওই দিনকে ঘিরে কী হতে পারে তা জানতে ইতোমধ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু হয়েছে। পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেছেন, কোনো কর্মসূচিকে ঘিরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকতে পারে। তবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা আমাদের দায়িত্ব। কোনো কর্মসূচিকে ঘিরে জনজীবন বিঘ্নিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি যেভাবে হওয়ার, সেভাবেই হওয়া উচিত। কিন্তু কর্মসূচি ঘিরে অপরাধ সংঘটিত হলে তা রোধ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মন্তব্য
Saturday, December 27, 2014
সারাদেশে ধরপাকড়-গ্রেপ্তার, জনমনে উৎকণ্ঠা:RTNN
সারাদেশে ধরপাকড়-গ্রেপ্তার, জনমনে উৎকণ্ঠা নিউজ ডেস্ক আরটিএনএন ঢাকা: ৫ জানুয়ারিকে সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে শুরু হয়েছে ব্যাপক ধরপাকড়। দিনটিকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যেও চলছে নানা জল্পনাকল্পনা। ওই দিন থেকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী হবে তা জানতে উদগ্রীব মানুষ। এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও বাড়ছে দেশের মানুষের মধ্যে। সরকারবিরোধী জোটের পক্ষ থেকে ওই দিন থেকে আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অপর
দিকে সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলন কর্মসূচি দমনের সরাসরি ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধরপাকড়ের মহড়া শুরু হয়ে গেছে। কোনো কোনো এলাকায় বিএনপি, জামায়াত ও তাদের শরিক দলের নেতাকর্মীরা ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য। বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল হাসান মাহমুদ খন্দকার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে অপরাধ সংঘটিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে গাজীপুরে খালেদা জিয়ার সমাবেশ ঘিরে ছাত্রলীগের প্রতিরোধের ঘোষণা এবং প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারির পর পুলিশ ইতোমধ্যে বিএনপি ও ২০ দলের বেশ কিছু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ডা. মাজহারুল আলম, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মীর হালিমুজ্জামান ননী, জাসাস নেতা সৈয়দ হাসান সোহেলসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীর বাসায় অভিযান চালায় চালিয়েছে। নেতা-কর্মীদের বাসায় না পেয়ে জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি প্রভাষক বশির উদ্দিন, পুবাইল ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি হারুন অর রশিদ, বদরে আলম কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য আলমগীর হোসেন ও শিশির চৌধুরীসহ সাতজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আটক নেতা-কর্মীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার অতঙ্কে অনেকে বের হতে পারছে না। রাজধানীতে কয়েক দিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আগের তুলনায় সক্রিয়। ঢাকার প্রবেশপথ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে এখন দিনের বেলাতেও পুলিশ চেকপোস্ট বসছে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের আনাগোনা রয়েছে সেসব এলাকায় পুলিশ ও গোয়েন্দা উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। এসব চেকপোস্টে সাধারণ পথচারীরাও তল্লাশি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানীর মালিবাগের বাসিন্দা মামুন জানান, কাকরাইল স্কাউট ভবনের সামনে প্রতিদিন তল্লাশির শিকার হতে হয়। অনেক সময় পুলিশ মোবাইল নম্বর জানতে চায়। মোবাইল নম্বর না দিলে আটকের হুমকি দেয়। মামুন বলেন, ‘তল্লাশি করবে ভালো কথা; কিন্তু পুলিশকে মোবাইল নম্বর দিতে হবে কেন?’ গতকাল বিকেলেও ওই স্পটে দেখা যায় পুলিশ পথচারীদের থামিয়ে তল্লাশি করছে। এভাবে রাজধানীর অনেক এলাকাতেই পুলিশ তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় পুলিশ নিরপরাধ পথচারীদের আটক করে অর্থবাণিজ্যেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর বস্তি, আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মেস, আবাসিক হোটেল এবং বিভিন্ন টার্মিনালে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। মগবাজার বস্তির এক বাসিন্দা জানান, প্রায় প্রতি রাতেই পুলিশ বস্তিতে আসছে। পুলিশ বস্তির বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি করছে। ফকিরেরপুলের এক আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত হোটেলে কোনো বোর্ডার না রাখার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। রাজধানীর বাইরে সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, বগুড়া, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নওগাঁ, মুন্সীগঞ্জ, পাবনা, যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, লক্ষ্মীপুর, নীলফামারী, নেত্রকোনা, রংপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁদপুর, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা ও নোয়াখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে তল্লাশি ও গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়ে গেছে। গত ১৯ ডিসেম্বর বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষও রয়েছে। ফটিকছড়িতে ১৫ জন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। যারা কোনো রাজনৈতিক দলের সাথেই সম্পৃক্ত নন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। ওই দিনই রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ থেকে ২৪ মুসল্লিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ৫ জানুয়ারিকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দিকনির্দেশনা ঠিক করছেন। ওই দিনকে ঘিরে কী হতে পারে তা জানতে ইতোমধ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু হয়েছে। পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেছেন, কোনো কর্মসূচিকে ঘিরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকতে পারে। তবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা আমাদের দায়িত্ব। কোনো কর্মসূচিকে ঘিরে জনজীবন বিঘ্নিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি যেভাবে হওয়ার, সেভাবেই হওয়া উচিত। কিন্তু কর্মসূচি ঘিরে অপরাধ সংঘটিত হলে তা রোধ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মন্তব্য
দিকে সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলন কর্মসূচি দমনের সরাসরি ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধরপাকড়ের মহড়া শুরু হয়ে গেছে। কোনো কোনো এলাকায় বিএনপি, জামায়াত ও তাদের শরিক দলের নেতাকর্মীরা ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য। বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল হাসান মাহমুদ খন্দকার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে অপরাধ সংঘটিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে গাজীপুরে খালেদা জিয়ার সমাবেশ ঘিরে ছাত্রলীগের প্রতিরোধের ঘোষণা এবং প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারির পর পুলিশ ইতোমধ্যে বিএনপি ও ২০ দলের বেশ কিছু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ডা. মাজহারুল আলম, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মীর হালিমুজ্জামান ননী, জাসাস নেতা সৈয়দ হাসান সোহেলসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীর বাসায় অভিযান চালায় চালিয়েছে। নেতা-কর্মীদের বাসায় না পেয়ে জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি প্রভাষক বশির উদ্দিন, পুবাইল ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি হারুন অর রশিদ, বদরে আলম কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য আলমগীর হোসেন ও শিশির চৌধুরীসহ সাতজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আটক নেতা-কর্মীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার অতঙ্কে অনেকে বের হতে পারছে না। রাজধানীতে কয়েক দিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আগের তুলনায় সক্রিয়। ঢাকার প্রবেশপথ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে এখন দিনের বেলাতেও পুলিশ চেকপোস্ট বসছে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের আনাগোনা রয়েছে সেসব এলাকায় পুলিশ ও গোয়েন্দা উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। এসব চেকপোস্টে সাধারণ পথচারীরাও তল্লাশি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানীর মালিবাগের বাসিন্দা মামুন জানান, কাকরাইল স্কাউট ভবনের সামনে প্রতিদিন তল্লাশির শিকার হতে হয়। অনেক সময় পুলিশ মোবাইল নম্বর জানতে চায়। মোবাইল নম্বর না দিলে আটকের হুমকি দেয়। মামুন বলেন, ‘তল্লাশি করবে ভালো কথা; কিন্তু পুলিশকে মোবাইল নম্বর দিতে হবে কেন?’ গতকাল বিকেলেও ওই স্পটে দেখা যায় পুলিশ পথচারীদের থামিয়ে তল্লাশি করছে। এভাবে রাজধানীর অনেক এলাকাতেই পুলিশ তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় পুলিশ নিরপরাধ পথচারীদের আটক করে অর্থবাণিজ্যেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর বস্তি, আবাসিক এলাকা, বিভিন্ন মেস, আবাসিক হোটেল এবং বিভিন্ন টার্মিনালে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। মগবাজার বস্তির এক বাসিন্দা জানান, প্রায় প্রতি রাতেই পুলিশ বস্তিতে আসছে। পুলিশ বস্তির বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি করছে। ফকিরেরপুলের এক আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত হোটেলে কোনো বোর্ডার না রাখার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। রাজধানীর বাইরে সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, বগুড়া, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নওগাঁ, মুন্সীগঞ্জ, পাবনা, যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, লক্ষ্মীপুর, নীলফামারী, নেত্রকোনা, রংপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁদপুর, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা ও নোয়াখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে তল্লাশি ও গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়ে গেছে। গত ১৯ ডিসেম্বর বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষও রয়েছে। ফটিকছড়িতে ১৫ জন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। যারা কোনো রাজনৈতিক দলের সাথেই সম্পৃক্ত নন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। ওই দিনই রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ থেকে ২৪ মুসল্লিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ৫ জানুয়ারিকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দিকনির্দেশনা ঠিক করছেন। ওই দিনকে ঘিরে কী হতে পারে তা জানতে ইতোমধ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু হয়েছে। পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেছেন, কোনো কর্মসূচিকে ঘিরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকতে পারে। তবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা আমাদের দায়িত্ব। কোনো কর্মসূচিকে ঘিরে জনজীবন বিঘ্নিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি যেভাবে হওয়ার, সেভাবেই হওয়া উচিত। কিন্তু কর্মসূচি ঘিরে অপরাধ সংঘটিত হলে তা রোধ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment