কাজ করছে। উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি আব্দুল হালিম শনিবার বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাইপের মধ্যে শিশুটিকে পাওয়া যায়নি।সকালেও ভাল রেজুলেশনের ক্যামেরা দিয়েও পরিষ্কার দেখা গেছে, ভেতরে কারও অস্তিত্ব নেই।স্ক্রাচার দিয়েও চেষ্টা চালানো হয়েছে। কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এখন চলছে স্বেচ্ছাসেবী মানুষের দেশীয় প্রযুক্তির বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহার। আমরা তাতে সহায়তা করছি মাত্র। তিনি আরও বলেস, আমরা ২৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত গিয়ে শিশু জিহাদের অস্তিত্ব পাইনি। এর পরে রয়েছে লেয়ার।২৫ কেজি ওজনের যন্ত্র দিয়ে আমরা ওই লেয়ার ভাঙতে পারিনি। অনেকে বলছেন, হয়তো শিশুটি লেয়ারের নিচে চলে যেতে পারে। কিন্তু, যেখানে আমরা এতো ওজনের যন্ত্র দিয়ে ভাঙতে পারিনি, তাহলে ৪ বছরের শিশুটি তার নিচে কিভাবে যাবে। যেহেতু পাওয়া যাচ্ছে না সেক্ষেত্রে জিহাদ উদ্ধারের বিষয়টি অমীমাংসিত রেখেই ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে অভিযান কম সময়ের মধ্যে সমাপ্ত ঘোষণা করা হলো বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগে রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, তাদের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা ২৫৩ ফুট গভীরে গিয়ে শিশুটির অস্তিত্ব পায়নি। মূলত তখনই অনানুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে যায় সরকারি উদ্ধার তৎপরতা। এরপর বেসরকারিভাবে বেশ কয়েকজন লোহার খাঁচা তৈরি করে উদ্ধার কাজ চালালেও তাতে কোনো ফল পাওয়া যায়নি। তবে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মদ খান জানান, তারা শেষ চেষ্টা করে যাবেন। ক্ষীণ আশাটুকু থাকা পর্যন্ত তারা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাবেন। এদিকে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে উদ্ধারে বারবার অভিযানে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। ছিল নানা সমন্বয়হীনতা। অভিযানের শুরুতে সন্ধ্যায় উদ্ধারকর্মীরা শোনান আশার বাণী। তারা বলছিলেন, শিশুটি শব্দ করছে, জীবিত আছে সে। পাইপে কান পেতে শিশুটির চিৎকার শুনতে পান, ডাকেও সাড়া দেয় শিশুটি এমনটি বলেন। রশি নামানো হয় পাইপের ভেতর। শিশুটি কয়েকবার রশিটি ধরে বলেও তারা বলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এখন শিশুটিরই অস্তিত্বই নেই বলায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে তাদের কথাবার্তার। রাত ২টা ৪ মিনিটের দিকে 'বোর হোল' ক্যামেরার মনিটরে পাইপের ভেতরে থাকা স্যান্ডেল, রশি, টিকটিকি, তেলাপোকা ইত্যাদি দেখা গেলেও জিহাদের সন্ধান মেলেনি। সন্ধ্যা থেকে বিরামহীন উদ্ধার অভিযানের এ পর্যায়ে শিশুটির অবস্থান নিয়ে সংশয়ে পড়েন ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা। তবে জিহাদের মা রাত ৩টায় দাবি করেন, তার বাচ্চা ওই গর্তেই পড়েছে। আর যদি না পড়ে থাকে তাহলে তার ছেলে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এর কিছু পরই জিহাদের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়। রেলওয়ের মাঠ সংলগ্ন পানির পাম্পের গভীর পাইপ থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। একাধিক টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে চলে আসেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মদ খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আব্বাস প্রমুখ। রাত পৌনে ১২টার দিকে বশীর আহমেদ নামে একজন স্বেচ্ছাসেবক পাইপের ভেতরে নেমে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য প্রস্তুতি নেন। প্রথম পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারসংশ্লিষ্টরা এতে রাজি থাকলেও শেষ মুহূর্তে তাকে নামতে বাধা দেওয়া হয়। সর্বশেষ শনিবার সকালে শিশুটিকে উদ্ধারে 'ক্যাচার' প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু তাতেও শিশুটির সন্ধান মেলেনি। এর আগে ঘটনার ৯ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে ওয়াসার শক্তিশালী ওয়াটারপ্রুফ 'বোর হোল' ক্যামেরা নিয়ে আসা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে সেটি চালু করতে পারেন নি সংশ্লিষ্টরা। রাত দেড়টার দিকে সেটি চালু হয়। পরে এর মাধ্যমে পাইপের ভেতরের ছবি পাওয়া যায়। এএইচ
Saturday, December 27, 2014
জিহাদ নেই, উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত!:Time News
জিহাদ নেই, উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত! স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৪ ১৩:১৬:৫১ রাজধানীর শাহজাহানপুরে পরিত্যক্ত ওয়াসার পানির পাম্পের গর্তে আটকে পড়া শিশুর সন্ধান ১৮ ঘণ্টায়ও মেলেনি। কয়েকদফায় ব্যর্থ হয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা অনেকটা থমকে আছে। উদ্ধার অভিযান থেকে নিজেদেরকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। এখন শুধু দেশীয় প্রযুক্তির কিছু পদ্ধতি নিয়ে স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান নিয়ে
কাজ করছে। উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি আব্দুল হালিম শনিবার বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাইপের মধ্যে শিশুটিকে পাওয়া যায়নি।সকালেও ভাল রেজুলেশনের ক্যামেরা দিয়েও পরিষ্কার দেখা গেছে, ভেতরে কারও অস্তিত্ব নেই।স্ক্রাচার দিয়েও চেষ্টা চালানো হয়েছে। কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এখন চলছে স্বেচ্ছাসেবী মানুষের দেশীয় প্রযুক্তির বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহার। আমরা তাতে সহায়তা করছি মাত্র। তিনি আরও বলেস, আমরা ২৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত গিয়ে শিশু জিহাদের অস্তিত্ব পাইনি। এর পরে রয়েছে লেয়ার।২৫ কেজি ওজনের যন্ত্র দিয়ে আমরা ওই লেয়ার ভাঙতে পারিনি। অনেকে বলছেন, হয়তো শিশুটি লেয়ারের নিচে চলে যেতে পারে। কিন্তু, যেখানে আমরা এতো ওজনের যন্ত্র দিয়ে ভাঙতে পারিনি, তাহলে ৪ বছরের শিশুটি তার নিচে কিভাবে যাবে। যেহেতু পাওয়া যাচ্ছে না সেক্ষেত্রে জিহাদ উদ্ধারের বিষয়টি অমীমাংসিত রেখেই ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে অভিযান কম সময়ের মধ্যে সমাপ্ত ঘোষণা করা হলো বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগে রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, তাদের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা ২৫৩ ফুট গভীরে গিয়ে শিশুটির অস্তিত্ব পায়নি। মূলত তখনই অনানুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে যায় সরকারি উদ্ধার তৎপরতা। এরপর বেসরকারিভাবে বেশ কয়েকজন লোহার খাঁচা তৈরি করে উদ্ধার কাজ চালালেও তাতে কোনো ফল পাওয়া যায়নি। তবে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মদ খান জানান, তারা শেষ চেষ্টা করে যাবেন। ক্ষীণ আশাটুকু থাকা পর্যন্ত তারা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাবেন। এদিকে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে উদ্ধারে বারবার অভিযানে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। ছিল নানা সমন্বয়হীনতা। অভিযানের শুরুতে সন্ধ্যায় উদ্ধারকর্মীরা শোনান আশার বাণী। তারা বলছিলেন, শিশুটি শব্দ করছে, জীবিত আছে সে। পাইপে কান পেতে শিশুটির চিৎকার শুনতে পান, ডাকেও সাড়া দেয় শিশুটি এমনটি বলেন। রশি নামানো হয় পাইপের ভেতর। শিশুটি কয়েকবার রশিটি ধরে বলেও তারা বলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এখন শিশুটিরই অস্তিত্বই নেই বলায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে তাদের কথাবার্তার। রাত ২টা ৪ মিনিটের দিকে 'বোর হোল' ক্যামেরার মনিটরে পাইপের ভেতরে থাকা স্যান্ডেল, রশি, টিকটিকি, তেলাপোকা ইত্যাদি দেখা গেলেও জিহাদের সন্ধান মেলেনি। সন্ধ্যা থেকে বিরামহীন উদ্ধার অভিযানের এ পর্যায়ে শিশুটির অবস্থান নিয়ে সংশয়ে পড়েন ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা। তবে জিহাদের মা রাত ৩টায় দাবি করেন, তার বাচ্চা ওই গর্তেই পড়েছে। আর যদি না পড়ে থাকে তাহলে তার ছেলে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এর কিছু পরই জিহাদের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়। রেলওয়ের মাঠ সংলগ্ন পানির পাম্পের গভীর পাইপ থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। একাধিক টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে চলে আসেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মদ খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আব্বাস প্রমুখ। রাত পৌনে ১২টার দিকে বশীর আহমেদ নামে একজন স্বেচ্ছাসেবক পাইপের ভেতরে নেমে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য প্রস্তুতি নেন। প্রথম পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারসংশ্লিষ্টরা এতে রাজি থাকলেও শেষ মুহূর্তে তাকে নামতে বাধা দেওয়া হয়। সর্বশেষ শনিবার সকালে শিশুটিকে উদ্ধারে 'ক্যাচার' প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু তাতেও শিশুটির সন্ধান মেলেনি। এর আগে ঘটনার ৯ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে ওয়াসার শক্তিশালী ওয়াটারপ্রুফ 'বোর হোল' ক্যামেরা নিয়ে আসা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে সেটি চালু করতে পারেন নি সংশ্লিষ্টরা। রাত দেড়টার দিকে সেটি চালু হয়। পরে এর মাধ্যমে পাইপের ভেতরের ছবি পাওয়া যায়। এএইচ
কাজ করছে। উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি আব্দুল হালিম শনিবার বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাইপের মধ্যে শিশুটিকে পাওয়া যায়নি।সকালেও ভাল রেজুলেশনের ক্যামেরা দিয়েও পরিষ্কার দেখা গেছে, ভেতরে কারও অস্তিত্ব নেই।স্ক্রাচার দিয়েও চেষ্টা চালানো হয়েছে। কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এখন চলছে স্বেচ্ছাসেবী মানুষের দেশীয় প্রযুক্তির বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহার। আমরা তাতে সহায়তা করছি মাত্র। তিনি আরও বলেস, আমরা ২৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত গিয়ে শিশু জিহাদের অস্তিত্ব পাইনি। এর পরে রয়েছে লেয়ার।২৫ কেজি ওজনের যন্ত্র দিয়ে আমরা ওই লেয়ার ভাঙতে পারিনি। অনেকে বলছেন, হয়তো শিশুটি লেয়ারের নিচে চলে যেতে পারে। কিন্তু, যেখানে আমরা এতো ওজনের যন্ত্র দিয়ে ভাঙতে পারিনি, তাহলে ৪ বছরের শিশুটি তার নিচে কিভাবে যাবে। যেহেতু পাওয়া যাচ্ছে না সেক্ষেত্রে জিহাদ উদ্ধারের বিষয়টি অমীমাংসিত রেখেই ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে অভিযান কম সময়ের মধ্যে সমাপ্ত ঘোষণা করা হলো বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগে রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, তাদের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা ২৫৩ ফুট গভীরে গিয়ে শিশুটির অস্তিত্ব পায়নি। মূলত তখনই অনানুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে যায় সরকারি উদ্ধার তৎপরতা। এরপর বেসরকারিভাবে বেশ কয়েকজন লোহার খাঁচা তৈরি করে উদ্ধার কাজ চালালেও তাতে কোনো ফল পাওয়া যায়নি। তবে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মদ খান জানান, তারা শেষ চেষ্টা করে যাবেন। ক্ষীণ আশাটুকু থাকা পর্যন্ত তারা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাবেন। এদিকে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে উদ্ধারে বারবার অভিযানে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। ছিল নানা সমন্বয়হীনতা। অভিযানের শুরুতে সন্ধ্যায় উদ্ধারকর্মীরা শোনান আশার বাণী। তারা বলছিলেন, শিশুটি শব্দ করছে, জীবিত আছে সে। পাইপে কান পেতে শিশুটির চিৎকার শুনতে পান, ডাকেও সাড়া দেয় শিশুটি এমনটি বলেন। রশি নামানো হয় পাইপের ভেতর। শিশুটি কয়েকবার রশিটি ধরে বলেও তারা বলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এখন শিশুটিরই অস্তিত্বই নেই বলায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে তাদের কথাবার্তার। রাত ২টা ৪ মিনিটের দিকে 'বোর হোল' ক্যামেরার মনিটরে পাইপের ভেতরে থাকা স্যান্ডেল, রশি, টিকটিকি, তেলাপোকা ইত্যাদি দেখা গেলেও জিহাদের সন্ধান মেলেনি। সন্ধ্যা থেকে বিরামহীন উদ্ধার অভিযানের এ পর্যায়ে শিশুটির অবস্থান নিয়ে সংশয়ে পড়েন ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা। তবে জিহাদের মা রাত ৩টায় দাবি করেন, তার বাচ্চা ওই গর্তেই পড়েছে। আর যদি না পড়ে থাকে তাহলে তার ছেলে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এর কিছু পরই জিহাদের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়। রেলওয়ের মাঠ সংলগ্ন পানির পাম্পের গভীর পাইপ থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। একাধিক টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে চলে আসেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মদ খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আব্বাস প্রমুখ। রাত পৌনে ১২টার দিকে বশীর আহমেদ নামে একজন স্বেচ্ছাসেবক পাইপের ভেতরে নেমে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য প্রস্তুতি নেন। প্রথম পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারসংশ্লিষ্টরা এতে রাজি থাকলেও শেষ মুহূর্তে তাকে নামতে বাধা দেওয়া হয়। সর্বশেষ শনিবার সকালে শিশুটিকে উদ্ধারে 'ক্যাচার' প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু তাতেও শিশুটির সন্ধান মেলেনি। এর আগে ঘটনার ৯ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে ওয়াসার শক্তিশালী ওয়াটারপ্রুফ 'বোর হোল' ক্যামেরা নিয়ে আসা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে সেটি চালু করতে পারেন নি সংশ্লিষ্টরা। রাত দেড়টার দিকে সেটি চালু হয়। পরে এর মাধ্যমে পাইপের ভেতরের ছবি পাওয়া যায়। এএইচ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment