
না সভার আয়োজন করা হয়। ফখরুল বলেন, “আমরা এখন নিদারুণ কষ্টে আছি। আমার মনে হয় না, কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে ইতিপূর্বে এত কষ্ট করতে হয়েছে।” বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আক্ষেপ করে বলেন, “নিখোঁজদের সন্ধান করতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছি। দেশে বলেছি, আন্তর্জাতিক ফোরামে বলেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এ কোন রাষ্ট্র? কোন গণতন্ত্র? যে রাষ্ট্র আমার ছেলেদের খোঁজ দিতে পারে না।” ফখরুল অভিযোগ করেন, “নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার পর প্রমাণিত হয়েছে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য, নির্বাচন পার করার জন্য সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করেছে।” আওয়ামী লীগ নেতাদের নানা বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “প্রতিদিন তাদের দম্ভোক্তি শুনে মনে হয়, তারা হলেন রাজা, বাকি সবাই প্রজা। তারা জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছেন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে রুদ্ধ করে দিয়েছেন।” তিনি নিখোঁজ হওয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের স্বজনদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, “এই জঘন্য সরকারকে বিদায় করে তাদের খুঁজে বের করবো। তা না পারলে এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিচার করবো। এজন্য এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, পরাজিত করতে হবে।” সিঙ্গাপুর বিএনপির সভাপতি আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, নির্বাহী কমিটির সদস্য শরিফুল আলম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ কয়েকজন নিখোঁজদের পরিবারের স্বজনেরা। পরে সিঙ্গাপুর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে নিখোঁজ বিএনপির ২০ পরিবারের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন মির্জা ফখরুল। নতুন বার্তা/বিজে/জবা
No comments:
Post a Comment