ে আগেই। তবু কাঠমান্ডুতে গোটা বিশ্বের নজর ছিল এই দুই দেশের দিকেই। কিন্তু চুক্তি-আলোচনা এ সব পেরিয়ে ভারত-পাক সীমান্তের চাপা উত্তেজনাই যেন উঠে এল সার্ক বৈঠকের মঞ্চে। মালদ্বীপ আর নেপালের প্রধানমন্ত্রী বসে ছিলেন দু’জনের মাঝে। তাদের পাশ থেকেই উঠে শরীফ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পিছন দিয়ে তাকে পেরিয়ে মঞ্চে উঠলেন, বক্তৃতা করলেন। মোদিকে যেন দেখলেনই না। এ সময় মোদিও কূটনৈতিক শিষ্টাচারের চরম লংঘন করে সার্কের বুকলেট পড়ছিলেন। পাল্টা এল মোদীর তরফেও। করমর্দন দূরে থাক, মঞ্চে ওঠার পরে যিনি নিজের প্রথম সার্ক শীর্ষ বৈঠকে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার মাহিন্দা রাজাপক্ষে, এমনকি আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘনিকে শুভেচ্ছা জানালেন। ভুলেও নাম করলেন না নওয়াজ শরীফের। কূটনীতিকরা জানাচ্ছেন, কার্গিল যুদ্ধ পরবর্তী সার্ক সম্মেলনে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে এক রকম নাটকীয়ভাবেই হাত মেলান সে সময়ের পাক প্রধানমন্ত্রী পারভেজ মুশারফ। দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের শৈত্য সত্ত্বেও মুশারফের সেই আচরণে চমকে যান সবাই। এ বার সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটে কি না, তা দেখতে উদগ্রীব ছিলেন অনেকেই। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, শরীফের পক্ষে নিজে উদ্যোগী হয়ে এ কাজ করা সম্ভব ছিল না। ভারত নিয়ে কড়া অবস্থান বজায় না রাখলে তিনি নিজের দেশেই সমালোচিত হতেন। আর মোদি এগিয়ে এসে সৌজন্য দেখালে আখেরে লাভ হত শরীফেরই। কিন্তু কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে পাক রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতের পর দু’দেশের বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠক বাতিল করে ভারত। আর আজ, ২৬/১১-র ছ’বছর পূর্তিতে মোদি যে এ ব্যাপারে সক্রিয়তা দেখাবেন না, সেটাই প্রত্যাশিত। উল্টে পাকিস্তানের সঙ্গে দূরত্ব আরও স্পষ্ট করে দিয়ে অন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীদের সৌজন্য দেখাতে কসুর করেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সার্কভুক্ত দেশগুলির উন্নয়নে ভারত কিভাবে কাজ করতে চায়, এর পরেই মোদদি চলে যান সেই প্রসঙ্গে। পড়শি দেশের মধ্যে রেল-রাস্তা-বিদ্যুৎ-ট্রানজিট যোগাযোগের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ যোগাযোগ দৃঢ় হয়েছে, শক্তি ক্ষেত্রে ভারত-নেপাল সহযোগিতার নয়া যুগ তৈরি করতে চলেছে, জোরদার হচ্ছে ভারত-ভুটান সম্পর্ক, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে সহজ হয়েছে ভারত-শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়িক লেনদেন, দূরত্ব এবং প্রতিবন্ধকতা বাধা হয়নি আফগানিস্তান-ভারতের সম্পর্ক তৈরিতে, ভারত-পাকিস্তানের রেল-বাস যোগাযোগ সাহায্য করছে দু’দেশের মানুষকে এ সব উদাহরণ দিয়ে মোদি বোঝাতে চেয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নেতৃত্বের রাশ তিনি নিজের হাতেই রাখতে চান। কূটনীতিকদের মতে, সার্ক সম্মেলনে তেমন ইতিবাচক কোনো বার্তা দিতে পারল না ভারত বা পাকিস্তান। তাছাড়া, মোদী আজ সার্ক-গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সুবিধায় উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, মুক্ত বাণিজ্য, সহজে বাণিজ্যিক ভিসা এমন নানা প্রতিশ্রুতির আশ্বাস দিলেও পাকিস্তানের বিপরীত অবস্থানে ফিকে হয়েছে সবই। যোগাযোগ ব্যবস্থা সংক্রান্ত চুক্তির মধ্যে ‘মোটর ভেহিকলস্ প্যাক্ট’-সহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে সায় দেয়নি পাকিস্তান। তবে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তান জেনেবুঝেই এই পদক্ষেপ করেছে। কারণ সার্কে সদস্যপদ পেতে চীন তৎপর হওয়ায় এমনিতেই উদ্বেগে রয়েছে ভারত। সার্কভুক্ত দেশগুলির মধ্যে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নিতে পারে চীন, সেই আশঙ্কায় ভারত চাইছে চীনকে ঠেকিয়ে রাখতে। কূটনৈতিক সূত্রে দাবি, সেই জন্যই চীনের সদস্যপদের জন্য সওয়াল করছে পাকিস্তান। কিন্তু চীনের সঙ্গে মিলে ভারতকে কোণঠাসা করার পাকিস্তানের চেষ্টা রুখতে চায় ভারত। তাই ভারতের প্রস্তাবিত চুক্তিতে সায় না দিয়ে পাল্টা বার্তা দিল পাকিস্তান। সূত্র:এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা মন্তব্য pay per click মো: কামরুজ্জামান কাঠমান্ডু থেকেদক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আফগানিস্তানের . . . বিস্তারিত আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনইসলামাবাদ: পাকিস্তান তার বিমান বহরে বেশ কিছু গোপন গোয়েন্দা জঙ্গীবিমান (স্টেলথ ফাইটার) এবং সদ্য . . . বিস্তারিত
Thursday, November 27, 2014
নওয়াজ-মোদির দৃষ্টিকটূ আচরণ:RTNN
ে আগেই। তবু কাঠমান্ডুতে গোটা বিশ্বের নজর ছিল এই দুই দেশের দিকেই। কিন্তু চুক্তি-আলোচনা এ সব পেরিয়ে ভারত-পাক সীমান্তের চাপা উত্তেজনাই যেন উঠে এল সার্ক বৈঠকের মঞ্চে। মালদ্বীপ আর নেপালের প্রধানমন্ত্রী বসে ছিলেন দু’জনের মাঝে। তাদের পাশ থেকেই উঠে শরীফ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পিছন দিয়ে তাকে পেরিয়ে মঞ্চে উঠলেন, বক্তৃতা করলেন। মোদিকে যেন দেখলেনই না। এ সময় মোদিও কূটনৈতিক শিষ্টাচারের চরম লংঘন করে সার্কের বুকলেট পড়ছিলেন। পাল্টা এল মোদীর তরফেও। করমর্দন দূরে থাক, মঞ্চে ওঠার পরে যিনি নিজের প্রথম সার্ক শীর্ষ বৈঠকে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার মাহিন্দা রাজাপক্ষে, এমনকি আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘনিকে শুভেচ্ছা জানালেন। ভুলেও নাম করলেন না নওয়াজ শরীফের। কূটনীতিকরা জানাচ্ছেন, কার্গিল যুদ্ধ পরবর্তী সার্ক সম্মেলনে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে এক রকম নাটকীয়ভাবেই হাত মেলান সে সময়ের পাক প্রধানমন্ত্রী পারভেজ মুশারফ। দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের শৈত্য সত্ত্বেও মুশারফের সেই আচরণে চমকে যান সবাই। এ বার সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটে কি না, তা দেখতে উদগ্রীব ছিলেন অনেকেই। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, শরীফের পক্ষে নিজে উদ্যোগী হয়ে এ কাজ করা সম্ভব ছিল না। ভারত নিয়ে কড়া অবস্থান বজায় না রাখলে তিনি নিজের দেশেই সমালোচিত হতেন। আর মোদি এগিয়ে এসে সৌজন্য দেখালে আখেরে লাভ হত শরীফেরই। কিন্তু কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে পাক রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতের পর দু’দেশের বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠক বাতিল করে ভারত। আর আজ, ২৬/১১-র ছ’বছর পূর্তিতে মোদি যে এ ব্যাপারে সক্রিয়তা দেখাবেন না, সেটাই প্রত্যাশিত। উল্টে পাকিস্তানের সঙ্গে দূরত্ব আরও স্পষ্ট করে দিয়ে অন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীদের সৌজন্য দেখাতে কসুর করেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সার্কভুক্ত দেশগুলির উন্নয়নে ভারত কিভাবে কাজ করতে চায়, এর পরেই মোদদি চলে যান সেই প্রসঙ্গে। পড়শি দেশের মধ্যে রেল-রাস্তা-বিদ্যুৎ-ট্রানজিট যোগাযোগের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ যোগাযোগ দৃঢ় হয়েছে, শক্তি ক্ষেত্রে ভারত-নেপাল সহযোগিতার নয়া যুগ তৈরি করতে চলেছে, জোরদার হচ্ছে ভারত-ভুটান সম্পর্ক, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে সহজ হয়েছে ভারত-শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়িক লেনদেন, দূরত্ব এবং প্রতিবন্ধকতা বাধা হয়নি আফগানিস্তান-ভারতের সম্পর্ক তৈরিতে, ভারত-পাকিস্তানের রেল-বাস যোগাযোগ সাহায্য করছে দু’দেশের মানুষকে এ সব উদাহরণ দিয়ে মোদি বোঝাতে চেয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নেতৃত্বের রাশ তিনি নিজের হাতেই রাখতে চান। কূটনীতিকদের মতে, সার্ক সম্মেলনে তেমন ইতিবাচক কোনো বার্তা দিতে পারল না ভারত বা পাকিস্তান। তাছাড়া, মোদী আজ সার্ক-গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সুবিধায় উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, মুক্ত বাণিজ্য, সহজে বাণিজ্যিক ভিসা এমন নানা প্রতিশ্রুতির আশ্বাস দিলেও পাকিস্তানের বিপরীত অবস্থানে ফিকে হয়েছে সবই। যোগাযোগ ব্যবস্থা সংক্রান্ত চুক্তির মধ্যে ‘মোটর ভেহিকলস্ প্যাক্ট’-সহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে সায় দেয়নি পাকিস্তান। তবে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তান জেনেবুঝেই এই পদক্ষেপ করেছে। কারণ সার্কে সদস্যপদ পেতে চীন তৎপর হওয়ায় এমনিতেই উদ্বেগে রয়েছে ভারত। সার্কভুক্ত দেশগুলির মধ্যে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নিতে পারে চীন, সেই আশঙ্কায় ভারত চাইছে চীনকে ঠেকিয়ে রাখতে। কূটনৈতিক সূত্রে দাবি, সেই জন্যই চীনের সদস্যপদের জন্য সওয়াল করছে পাকিস্তান। কিন্তু চীনের সঙ্গে মিলে ভারতকে কোণঠাসা করার পাকিস্তানের চেষ্টা রুখতে চায় ভারত। তাই ভারতের প্রস্তাবিত চুক্তিতে সায় না দিয়ে পাল্টা বার্তা দিল পাকিস্তান। সূত্র:এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা মন্তব্য pay per click মো: কামরুজ্জামান কাঠমান্ডু থেকেদক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আফগানিস্তানের . . . বিস্তারিত আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনইসলামাবাদ: পাকিস্তান তার বিমান বহরে বেশ কিছু গোপন গোয়েন্দা জঙ্গীবিমান (স্টেলথ ফাইটার) এবং সদ্য . . . বিস্তারিত
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment