Sunday, November 23, 2014

সার্কের সফলতা নিয়ে সংশয়; ৩ কেন্দ্রই বাতিল, ৪টি মিলে ১:Time News

সার্কের সফলতা নিয়ে সংশয়; ৩ কেন্দ্রই বাতিল, ৪টি মিলে ১ মো: কামরুজ্জামান, কাঠমন্ডু থেকে টাইম নিউজ বিডি, ২২ নভেম্বর, ২০১৪ ১৭:৩৭:৪৫ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনের শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছে আট সদস্য দেশের সময়োপযোগী ও কার্যকর পরিকল্পনার সক্ষমতা নিয়ে। আসলেই সার্কভূক্ত আট সদস্য রাষ্ট্র এই সংস্থাকে কেন্দ্র করে অত্র অঞ্চলের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী কোন পরিকল্পনা নিয়ে একযোগে কাজ কর
তে কতটা আগ্রহী তা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। তবে, ‘Deeper Integration for Peace and Prosperity’ অর্থাৎ শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য গভীর যৌথ-প্রয়াস-এমন প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নেপালের রাজধানী কাঠমন্ডুতে শুরু হওয়া ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সময়োপযোগী ও কার্যকর পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে চায় সদস্য রাষ্ট্রগুলো। শনিবার সার্কের ১৮ তম আসরের আনুষ্ঠানিক যাত্রার শুরুতেই এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেল। সকাল সাড়ে ন’টায় কাঠমন্ডুর সাল্টিতে হোটেল ক্রাউন প্লাজায় সার্কের প্রোগামিং কমিটির ৪৯তম সভায় এ বিষয়ের ওপর জোর দিলেন এতে অংশ নেয়া ৮ সদস্য দেশের যুগ্ম সচিবরা।     আগামী ২৬-২৭ নভেম্বর সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের মূল পর্বের অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে প্রোগ্রামিং কমিটি তাই সব অকার্যকর কেন্দ্র বন্ধ করে সময়োপযোগী নতুন কেন্দ্র চালুর পরামর্শ দিয়েছে। প্রোগ্রামিং কমিটির সভায় তিনটি সার্ক কেন্দ্র বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সার্ক তথ্য কেন্দ্র, সার্ক মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র এবং সার্ক নথি সংগ্রহ কেন্দ্র। অপরদিকে, কমিটি চার কেন্দ্র মিলে একটি কেন্দ্র চালুর ওপর জোর দিয়েছে এবং সুপারিশমালায় অন্তর্ভূক্ত করেছে প্রোগ্রামিং কমিটি। এর মধ্যে রয়েছে-সার্ক বনায়ন কেন্দ্র, সার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র, সার্ক উপকূলীয় ব্যবস্থাপনা অঞ্চল কেন্দ্র এবং সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্র। তবে সার্কের মহাসচিব অর্জুন বাহাদুর থাপা বলেছেন, এসব সুপারিশ কার্যকর করার বিষয়ে ২০১৬ ডিসেম্বরে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে। এদিকে, প্রোগ্রাম কমিটির বৈঠকের বিষয়ে শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে নেপালের যুগ্ম-সচিব ইয়াগো বাহাদুর হামেল বলেন, সার্কের মোট ১১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩টি কেন্দ্রের পারফরমেন্স সন্তোষজনক হওয়ায় তা বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে। আর চারটি কেন্দ্রকে একীভূত করে একটি কেন্দ্র করার সুপারিশ করা হয়েছে। অর্থাৎ এই সুপারিশ কার্যকর হলে সার্কের ১১টির পরিবর্তে ৫টি কেন্দ্র কাজ করবে। এটা সার্কের একটি বড় ব্যর্থতা কীনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হামেল বলেন, ভবিষ্যতে যাতে সব কেন্দ্রই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে সেজন্যই এই উদ্যোগ।  যে চারটি কেন্দ্র একীভূত করে একটি কেন্দ্র করা হবে সেই কেন্দ্রটি নিজ দেশে স্থাপনের জন্য বাংলাদেশসহ সার্কভূক্ত চারটি দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। অপর দেশের মধ্যে রয়েছে, ভারত, ভূটান ও মালদ্বীপ। এদিকে, যে চারটি কেন্দ্রের পারফরমেন্স ভালো হওয়ায় তা বহাল রাখার সুপারিশ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশে স্থাপিত কৃষি বিষয়ক কেন্দ্র, শ্রীলংকায় সংস্কৃতি বিষয়ক কেন্দ্র, পাকিস্তানে জ্বালানী বিষয়ক কেন্দ্র এবং নেপালে অবস্থিত যক্ষ্মা বিষয়ক কেন্দ্র। প্রোগ্রামিং কমিটির সভায় সার্কে কাঠামোগত পরিবর্তন আনার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় এবং জবাবদিহিতা প্রশ্নে আরও কার্যকর হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এদিকে, তিনটি কেন্দ্র বন্ধ করার সুপারিশের মধ্য দিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে এসব কেন্দ্র কেন চালু করা হয়েছিল? এর দীর্ঘমেয়াদী কার্যকারিতা নিয়ে কি তখন পর্যাপ্ত চিন্তা-ভাবনা করা হয়নি? সুপারিশকৃত চারটি কেন্দ্রকে একীভূত করার বিষয়েও পর্যাপ্ত গবেষণা করা হয়েছে কীনা এমন প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। সদস্যভূক্ত দেশগুলো শুধুমাত্র বছরে একবার শীর্ষ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে একটি পিকনিক উপভোগ করবেন, নাকি আসলেই অত্র অঞ্চলের উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ নিবেন, সে বিষয়টিও পরিস্কার করার ব্যাপারে প্রোগ্রামিং কমিটির সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়। এদিকে, চীনসহ অত্র অঞ্চলে আঞ্চলিক সংযোগ regional connectivity চালুর বিষয়টি প্রোগ্রামিং কমিটিতে আলোচিত না হলেও এ বিষয়ে পরবর্তীতে আরও উচ্চতরো কমিটিতে আলোচনা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।  উল্লেখ্য, আগামীকাল (রোববার) ওপরদিন (সোমবার) সার্কের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে  প্রোগ্রামিং কমিটির শনিবারের বৈঠকের সুপারিশসমূহ পেশ করা হবে। কাঠমন্ডুর সার্ক মিডিয়া সেন্টার থেকে  

No comments:

Post a Comment