Monday, February 16, 2015

নবজাতকের মুখ দেখে যেতে পারলেন না বাবা:Time News

নবজাতকের মুখ দেখে যেতে পারলেন না বাবা স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ১১:০৮:২৪ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শনিবার রাতে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে যুবদলের নেতা আরিফ হোসেনের। তাঁর স্ত্রী রাশেদা বেগম গতকাল সকালে একটি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। এটি তাঁদের প্রথম সন্তান। লালানগর গ্রামে গতকাল দুপুরে আরিফের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর মা হাছিনা বেগমকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন স্বজন
ও প্রতিবেশীরা। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো রাজনীতি করে না। বউয়ের বাচ্চা প্রসবের জন্য ফুফুকে ডেকে আনতে গিয়েছিল। সন্তানের মুখ দেখার আগে পুলিশ আমার ছেলেকে মেরে ফেলল।’ আরিফের বোনের স্বামী মো. মাসুদ জানান, আরিফ বাড়ি থেকে রাত আটটার দিকে সীতাকুণ্ড সদরে যান তাঁর ফুফুকে আনার জন্য। সেখান থেকে বটতল হয়ে বাড়ি ফেরার কথা তাঁর। কিন্তু বটতল পেরিয়ে নুনাছড়ায় কে তাঁকে নিয়ে গেল, সেটিই তাঁর প্রশ্ন। সন্তান জন্মের দিনে স্বামীর দাফন হচ্ছে—আরিফের স্ত্রী রাশেদা বেগমকে কী বলে সান্ত্বনা দেবেন স্বজনেরা। তাঁর পাশে বসে সবাই অঝোরে কাঁদছেন। স্বজনেরা জানান, পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে আরিফ ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁর বড় এক ভাই ১০ বছর আগে মারা গেছেন। এ ঘটনাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে উপজেলা যুবদল। ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দীন বলেন, ‘আন্দোলন-সংগ্রাম যদি দেশের আইনে অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে প্রচলিত আইনে আরিফের বিচার হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এভাবে গুলি করে হত্যা করার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।’ আরিফের বাড়ির পাশে ককটেল বিস্ফোরণ যুবদলের নেতা আরিফের বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে গতকাল সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। বিকট শব্দ হওয়ায় আশপাশের বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে সীতাকুণ্ড থানার ওসি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য গত শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের নুনাছড়া এলাকায় পুলিশের ‘পাল্টা গুলি’তে চারজন গুলিবিদ্ধ ও মো. আরিফ নিহত হন। পুলিশের দাবি, ওই দিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে পাঁচ যুবক ককটেল ফাটিয়ে নাশকতার চেষ্টা চালান। এগিয়ে গেলে পুলিশের ওপর জাহাজের সিগন্যাল লাইট ছোড়েন তাঁরা। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ পাঁচজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মো. আরিফকে মৃত ঘোষণা করা হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ চারজন হলেন মো. রুবেল, মো. সোহেল, নুরুল হাদিস ও মো. পারভেজ। প্রথম দুজন দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। এএইচ


No comments:

Post a Comment