) এই আলোসভার আয়োজক। এতে অংশ নিয়ে বি. চৌধুরী বলেন, নব্বইয়ে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নিজের জীবন দিয়ে শহীদ ডা. মিলন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার মৃত্যু যুবসমাজকে প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছিল। তিনি বলেন, ডা. মিলনের গণতন্ত্র আজ আবার জবরদখল হয়ে গেছে। আমরা যদি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা না জানাই তবে জাতি হিসেবে অকৃতজ্ঞ হয়ে যাব। এই সময়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতার প্রকাশ হতে পারে- বর্তমান স্বৈরাচার সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা। বর্তমান সরকারকে অদ্ভুত ও জগাখিঁচুরি আখ্যা দিয়ে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমানে দেশে এক অদ্ভুত ও জগাখিঁচুরি মার্কা সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে তারা ক্ষমতা দখল করেছে, যেভাবে মন্ত্রিসভা গঠন করেছে, পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই। তিনি বলেন, সরকারের অনেক দায়িত্ব। দেশের জনগণের দায়িত্ব, মানুষের অধিকার রক্ষা, গণতন্ত্র রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু এই সরকার এসব দায়িত্ব পালন না করে শুধু ক্ষমতা আঁকড়ে বসে আছে। বিকল্পধারা সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভেবেছে আর কোনো দিন বাংলাদেশে সঠিক ইতিহাস লেখা হবে না। কিন্তু অচিরেই বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস লেখা হবে। সেখানে ধিকৃত ও জঘণ্য স্বৈরাচার হিসেবে এরশাদ এবং শেখ হাসিনার নাম লেখা থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘ইতিহাসই তাদের বিচার করবেই, করবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়।’ এরশাদকে ইতিহাসের নিকৃষ্ট স্বৈরাচার ও দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে বি. চৌধুরী বলেন, ‘এরশাদ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ঘৃণিত ও জঘণ্যতম অধ্যায় রচনা করেছিলেন। তিনি নিকৃষ্ট স্বৈরাচার, বড় দুর্নীতিবাজ। অথচ ইতিহাস ভুলে বর্তমান সরকার তার সঙ্গে জোট করেছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত করা হয়েছে।’ মেনন ও ইনুর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ইনু-মেননরা আজ তাদের ভাইয়ের রক্তের কথা ভুলে গিয়ে এরশাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সখ্যতা গড়ে তুলেছে। এখন এরশাদকে নিয়ে তারা ডা. মিলনের কবর জিয়ারত করলে রাজনৈতিক নাটকের ষোল কলা পূর্ণ হবে।’ বর্তমান সরকার স্বৈরাচারের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছে বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ড্যাব সভাপতি ডা. একেএম আজিজুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, আমানউল্লাহ আমান, অধ্যাপক ডা. এমএ মাজেদ, ড্যাব সচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ। মন্তব্য pay per click
Wednesday, November 26, 2014
এরশাদ-হাসিনা ইতিহাসের ধিকৃত স্বৈরাচার: বি. চৌধুরী:RTNN
) এই আলোসভার আয়োজক। এতে অংশ নিয়ে বি. চৌধুরী বলেন, নব্বইয়ে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নিজের জীবন দিয়ে শহীদ ডা. মিলন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার মৃত্যু যুবসমাজকে প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছিল। তিনি বলেন, ডা. মিলনের গণতন্ত্র আজ আবার জবরদখল হয়ে গেছে। আমরা যদি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা না জানাই তবে জাতি হিসেবে অকৃতজ্ঞ হয়ে যাব। এই সময়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতার প্রকাশ হতে পারে- বর্তমান স্বৈরাচার সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা। বর্তমান সরকারকে অদ্ভুত ও জগাখিঁচুরি আখ্যা দিয়ে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমানে দেশে এক অদ্ভুত ও জগাখিঁচুরি মার্কা সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে তারা ক্ষমতা দখল করেছে, যেভাবে মন্ত্রিসভা গঠন করেছে, পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই। তিনি বলেন, সরকারের অনেক দায়িত্ব। দেশের জনগণের দায়িত্ব, মানুষের অধিকার রক্ষা, গণতন্ত্র রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু এই সরকার এসব দায়িত্ব পালন না করে শুধু ক্ষমতা আঁকড়ে বসে আছে। বিকল্পধারা সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভেবেছে আর কোনো দিন বাংলাদেশে সঠিক ইতিহাস লেখা হবে না। কিন্তু অচিরেই বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস লেখা হবে। সেখানে ধিকৃত ও জঘণ্য স্বৈরাচার হিসেবে এরশাদ এবং শেখ হাসিনার নাম লেখা থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘ইতিহাসই তাদের বিচার করবেই, করবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়।’ এরশাদকে ইতিহাসের নিকৃষ্ট স্বৈরাচার ও দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে বি. চৌধুরী বলেন, ‘এরশাদ বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ঘৃণিত ও জঘণ্যতম অধ্যায় রচনা করেছিলেন। তিনি নিকৃষ্ট স্বৈরাচার, বড় দুর্নীতিবাজ। অথচ ইতিহাস ভুলে বর্তমান সরকার তার সঙ্গে জোট করেছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত করা হয়েছে।’ মেনন ও ইনুর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ইনু-মেননরা আজ তাদের ভাইয়ের রক্তের কথা ভুলে গিয়ে এরশাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সখ্যতা গড়ে তুলেছে। এখন এরশাদকে নিয়ে তারা ডা. মিলনের কবর জিয়ারত করলে রাজনৈতিক নাটকের ষোল কলা পূর্ণ হবে।’ বর্তমান সরকার স্বৈরাচারের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছে বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ড্যাব সভাপতি ডা. একেএম আজিজুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, আমানউল্লাহ আমান, অধ্যাপক ডা. এমএ মাজেদ, ড্যাব সচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ। মন্তব্য pay per click
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment