Thursday, November 27, 2014

বাংলাদেশের সিরিজ জয় :Natun Barta

ঢাকা: জিম্বাবুয়েরে ১২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই পাঁচ ম্যাচ সিরিজ ৩-০ তে জিতে নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। বাংলাদেশের করা ২৯৭ রানের জবাবে সফরকারীরা ১৭৩ রানে গুটিয়ে যায়। ফলে ১২৪ রানের বড় জয় পায় টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের হয়ে চিগম্বুরা ৫৩ ও টেলর করেন ২৮ রান। বাংলাদেশের হয়ে আরাফাত সানি সর্বোচ্চ চারটি উইকেট লাভ করেন। মাশরাফি ও রুবেল দুটি করে উইকেট লাভ করে। এছাড়া সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ নেন
একটি করে উইকেট। জয়ের জন্য ২৯৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে মাশরাফি ও রুবেলের আঘাতে ৩৯ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ভুসি সিবান্দাকে আউট করে মিরপুর স্টেডিয়ামে ‘গর্জন’ তুলেন টাইগার দলনায়ক মাশরাফি। দলীয় তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে মাশরাফিকে তুলে মারতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন সিবান্দা। আরাফাত সানি কট ধরে সিবান্দাকে সাজঘরের পথ দেখান। পরের ওভারে সফরকারী শিবিরে আবার আঘাত আনেন মাশরাফি। লেগ স্ট্যাম্পের ওপর দিয়ে লাফিয়ে ওঠা বল মাসাকাদজার ব্যাটে লেগে মুশফিকের হাতে জমা পড়লে সাজঘরে ফিরতে হয় জিম্বাবুয়ের এই ওপেনারকে। তবে সাজঘরে ফেরার সময় আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তে প্রতি নিজের নাখোশ ও রাগ উপড়ে দেন এই জিম্বাবুইয়ান। এরপর ব্রেন্ডন টেলর ও মারুমা সফরকারী দলকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। তবে রুবেলের আঘাতে ফের হোঁচট খায় সফরকারীরা। রুবেলের করা অষ্টম ওভারের শেষ বলে বল আকাশে তুলে দেন মারুমা (৮)। বল গিয়ে জমা পড়ে মাশরাফির হাতে। ৩৯ রানে তিন উইকেট হারানো পর চতুর্থ উইকেট জুটিতে সলোমন মিরে’কে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন ব্রেন্ডন টেলর। তবে আরাফাত সানি ও সাকিবের জোড়া আঘাতে ফের ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সফরকারী জিম্বাবুয়ে। ৮২ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারী দলটি। চাকাবাকে বোল্ড করেন মাহমুদুল্লাহ। আর টেলরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। ৮২ রানে পাঁচ উইকেট হারানো পর চেজিস চাকাবাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন চিগম্বুরা। তবে মাহমুদুল্লাহ চাকাবাকে বোল্ড করে প্রতিরোধ ভেঙে দেন। তিন ওভার পর অভিষিক্ত পিটার মুরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ফের মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ‘গর্জন’ তোলেন রুবেল। এরপর মাদজিবাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন চিগম্বুরা। অষ্টম উইকেট জুটিতে এই দুজন ২৭ রানের জুটি গড়েন। তবে আরাফাত সানির জোড়া আঘাতে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় সফরকারীরা। ১৫৩ রানে নবম উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে শেষ উইকেট জুটিতে ২১ রান তোলে শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পারে। কামুনগজিকে বোল্ড করে আরাফাত সানি তার চতুর্থ উইকেট তুলে নিলে সফরকারীদের ইনিংসে যবনিকা ঘটে। এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে টাইগাররা ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর সংগ্রহ করে। বাংলাদেশের হয়ে এনামুল হক বিজয় সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেন। তার ১২০ বলের ইনিংসটি ৯টি চারে সাজানো ছিলো। এছাড়া তামিম ৪০, সাকিব ৪০, মুশফিক ৩৩, মাহমুদুল্লাহ ৩৩ এবং সাব্বির করেন ২২ রান। জিম্বাবুয়ের হয়ে টিনাশে পানিয়াঙ্গারা সর্বোচ্চ ২টি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া মাদজিবা, মাসাকাদজা ও কামুনগজি একটি করে উইকেট লাভ করেন। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয় বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচণা এনে দেন।  এই দুজন তুলেন ১২১ রান। দলীয় ১২১ রানে ব্যক্তিগত ৪০ রান করে রান আউটের শিকার হন তামিম। তামিম ফিরে গেলেও মুমিনুলকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন এনামুল। তবে ১৬০ থেকে ১৬৭- এই ৭ রানের মধ্যে মুমিনুল ও এনামুল ফিরে গেলে কিছুটা ধাক্কা খায় টাইগাররা। সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থাকতেই সাজঘরে ফেরেন এনামুল। এরপর সেখান থেকে স্বাগতিকদের উদ্ধার করেন সাকিব ও মুশফিক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এই দুজন ৭২ রান তুলতে বড় সংগ্রহের দিকে যায় মাশরাফির দল। দলীয় ২৩৯ থেকে ২৪৪- এই ৫ রানের মধ্যে সাকিব ও মুশফিক ফিরে গেলেও মাহমুদুল্লাহ ও সাব্বিরের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ২৯৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোক করতে সক্ষম হয় টাইগাররা। সাকিব-মুশফিকের পর মাহমুদুল্লাহ ও সাব্বিরের দারুণ ব্যাটিংয়ের কল্যাণে শেষ ৫৬ বলে ৯৭ রান করতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। সাকিবের ৪০ রান আসে মাত্র ৩৩ বলে। মুশফিক ৩৩ রান করেন ২২ বলে আর মাহমুদুল্লাহর ৩৩ রান আসে ২৬ বলে। সাব্বির রহমান ২২ রান করনে খেলেন ১৩ বল। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে আপাতত ৩-০ তে এগিয়ে রয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে আগামী ২৮ নভেম্বর মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে একই মাঠে দল দুটি আগামী ১ ডিসেম্বর মুখোমুখি হবে। নতুন বার্তা/এআই

No comments:

Post a Comment