কক্সবাজার জেলার টেকনাফ সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মধ্যে গোলাগুলিতে বিজিবির একজন সদস্য আহত হয়েছে। ধরে নিয়ে গেছে আরও একজন বিজিবি সদস্যকে। টেকনাফ উপকূল দিয়ে মানবপাচারের ঘটনা সারাবিশ্বের আলোড়ন ফেলেছে, সেইসাথে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির ঘটনাও ঘটেছে (ফাইল ছবি) এর আগে এই টেকনাফ উপকূল দিয়ে মালয়েশিয়া- ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত
বিস্তীর্ণ উপকূল পর্যন্ত মানবপাচারের ঘটনা নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে সারা বিশ্বে। এছাড়া এ উপকূল ঘিরে সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে ভারত, চীন এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেরও। এর মধ্যেই বুধবার বিজিবির উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটলো যদিও বাংলাদেশ সরকার এটি ভুল বুঝাবুঝি হিসেবেই আখ্যায়িত করেছে। সব মিলিয়ে টেকনাফ উপকূলটি কি পুরো অঞ্চলের মধ্যেই একটি স্পর্শকাতর এলাকায় পরিণত হয়েছে ? নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলছিলেন, এখানে বৈদেশিক ও আভ্যন্তরীণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু আছে। হোসেন বলছিলেন, “বৈদেশিক বিষয়ে টানপোড়েন আছে মিয়ানমার, চীন, যুক্তরাষ্ট্রের । আর আভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্ত হয়েছে মিয়ানমার রোহিঙ্গা ইস্যু”। “বিশেষ করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করছে। বিভিন্ন বিদ্রোহী সংগঠনও এই টেকনাফ উপকূল করছে। বহু বছর ধরে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে এক ধরনের অবিশ্বাস কাজ করছে, তেমনভাবে সুসম্পর্ক গড়ে উঠছেনা। অনেক বছরের চিত্র যদি দেখেন সব মিলিয়ে এই উপকূলকে ঘিরে এই অঞ্চলে এক ধরনের উত্তেজনা চলছে বলে আমি মনে করি”- বলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন। মি. হোসেন আরও বলেছেন, “সম্প্রতি যে বিজিবি মিয়ানমারের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটলো এটা তেমন বড় না হলেও এতে বাংলাদেশের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। এবং এটা একটা হুমকিও বটে।তার সাথে মানবপাচারের যে বিরাট চেইন আছে মিয়ানমারও জড়িত। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সাথে আমাদের সম্পর্ক পরিষ্কার নয়"। "রাখাইন রাজ্যে যে অস্থিরতা চলছে সেটাও একটা বিষয় মিয়ানমারের জন্য। এই দেশটির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক যা আছে তা উন্নত করার কোন প্রয়াস কিন্তু গত এক দশকেও আমি দেখিনি”- বলেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।- বিবিসি নতুন বার্তা/এসএ
No comments:
Post a Comment