বিজিবিকে ধরে নিয়ে যাওয়া নিরাপত্তা হুমকি: সাখাওয়াত নিউজ ডেস্ক আরটিএনএন ঢাকা: কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ থেকে এক বিজিবি সদস্যকে গুলি ও অপরজনকে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ‘নিরাপত্তা হুমকি’ হিসেবে দেখছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন। সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক একথা বলেছেন বলে খবর দিয়েছে বিবিসি বাংলা। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি
যে বিজিবি মিয়ানমারের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল এটা তেমন বড় না হলেও এতে বাংলাদেশের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। এবং এটা একটা হুমকিও বটে। তার সঙ্গে মানবপাচারের যে বিরাট চেইন আছে, মিয়ানমারও জড়িত। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পরিষ্কার নয়।’ খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মধ্যে গোলাগুলিতে বিজিবির একজন সদস্য আহত হয়েছে। ধরে নিয়ে গেছে আরো একজন বিজিবি সদস্যকে। এর আগে এই টেকনাফ উপকূল দিয়ে মালয়েশিয়া- ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত বিস্তীর্ণ উপকূল পর্যন্ত মানবপাচারের ঘটনা নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে সারা বিশ্বে। এছাড়া এ উপকূল ঘিরে সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে ভারত, চীন এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেরও। এর মধ্যেই বুধবার বিজিবির ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটল। যদিও বাংলাদেশ সরকার এটি ভুল বোঝাবুঝি হিসেবেই আখ্যায়িত করেছে। সব মিলিয়ে টেকনাফ উপকূলটি কি পুরো অঞ্চলের মধ্যেই একটি স্পর্শকাতর এলাকায় পরিণত হয়েছে? নিরাপত্তা বিশ্লেষক এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এখানে বৈদেশিক ও আভ্যন্তরীণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু আছে। বৈদেশিক বিষয়ে টানপোড়েন আছে মিয়ানমার, চীন, যুক্তরাষ্ট্রের। আর আভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্ত হয়েছে মিয়ানমার রোহিঙ্গা ইস্যু।’ তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করছে। বিভিন্ন বিদ্রোহী সংগঠনও এই টেকনাফ উপকূল করছে। বহু বছর ধরে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে এক ধরনের অবিশ্বাস কাজ করছে, তেমনভাবে সুসম্পর্ক গড়ে উঠছে না।’ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘অনেক বছরের চিত্র যদি দেখেন- সব মিলিয়ে এই উপকূলকে ঘিরে এই অঞ্চলে এক ধরনের উত্তেজনা চলছে বলে আমি মনে করি।’ তিনি আরো বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে যে অস্থিরতা চলছে সেটাও একটা বিষয় মিয়ানমারের জন্য। এই দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক যা আছে, তা উন্নত করার কোনো প্রয়াস কিন্তু গত এক দশকেও আমি দেখিনি।’ মন্তব্য
No comments:
Post a Comment