Sunday, June 21, 2015

মাদক সম্রাটের তালিকায় পুলিশ!:টাইমনিউজ

মাদক সম্রাটের তালিকায় পুলিশ! স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ২১ জুন, ২০১৫ ১১:৪৯:৫২ মাদক সম্রাটের তালিকায় এবার খোদ পুলিশের নাম উঠে এসেছে। বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটক হয়েছেন পুলিশের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার আড়ালে মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন। নিরাপদেই চলছিল তার মাদক বাণিজ্য। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। অবশেষে ধরা খেলেন খোদ র‌্যাবের হাতে। আটক ওই মাদক ব্যবসায়ী পুলিশ কর্মক
র্তার নাম মাহফুজ। তিনি পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার ভোররাতে ফেনীর লালপুর এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব-৭) এর সদস্যরা। একটি গাড়িতে করে ইয়াবা পাচারের সময় আটক করা হয় পুলিশের বিশেষ শাখার এএসআই মাহফুজকে। র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক সোহেল মাহমুদ বলেন, এসময় তার গাড়ি থেকে জব্দ করা হয় ৬ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা। এ ঘটনায় তার গাড়ি চালককেও আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে তাদেরকে পতেঙ্গায় র‌্যাব-৭ সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সংবাদ সম্মেলনে ওই ইয়াবা সম্রাট পুলিশ কর্মকর্তার মাদক রাজ্যের অজানা সব তথ্য তুলে ধরা হয়। আইনশৃঙ্খলার রক্ষক হয়ে তিনি কিভাবে ভক্ষকে পরিণত হলেন সে কাহিনীও প্রকাশ করা হয়। বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হওয়া রাজধানীর উত্তরা এলাকার শীর্ষ মাদক সম্রাজ্ঞী সালমা টাইমনিউজবিডি'কে জানান, প্রায় সব থানাতেই ৪/৫ জন পুলিশ সদস্য মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছে। এরা স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করে তাদের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করে। পরে নিজস্ব সোর্স দিয়ে আবার এসব মাদক বিক্রি করে। সালমা অভিযোগের সুরে বলেন, পুলিশ সদস্যরা নিজেরা মাদক ব্যবসা করলেও তাদের গ্রেফতার করা হয় না। অথচ আমাদেরকে বারবার গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। পুলিশকে নিয়মিত মাসোহারা না দিলে তারা আমাদেরকে বেশি ধরপাকড় করে। পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই যদি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে আমাদেরকে গ্রেফতার করে কি দেশে মাদক ব্যবসা কমানো যাবে। যারা এখন মাদক সেবন করে তারা আমাদের কাছ থেকে মাদক না কিনে পুলিশের সোর্সের কাছ থেকে মাদক ক্রয় করে সেবন করাকে বেশি নিরাপদ বলে মনে করেন, জানান মাদক সম্রাজ্ঞী সালমা। এদিকে মাদক ব্যবসার সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম। তিনি টাইমনিউজবিডি'কে বলেন, আমাদের কোন সদস্যই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নয়। মাদকসহ কোন পুলিশ সদস্যকে আটক তো দূরের কথা এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোন অভিযোগও আমাদের কাছে আসেনি। তবে পুলিশের কোন সদস্য যদি এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে এবং তার যথাযথ প্রমাণ মেলে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মুনতাসিরুল ইসলাম। এর আগে ২০১৪ সালের ২৬মে রাজধানীতে আটক হয়েছিলেন মাশাকুল দৌলা আল মাসুদ নামে একজন পুলিশ কনস্টেবল। ১৯০ পিস ইয়াবাসহ তাকে আটক মাসুদের কনস্টেবল নং ১০৫৩৮। তিনি রাজারবাগ পুলিশ লাইনের প্রো-রক্ষা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তখন রামপুরা থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আলমগীর ভুঁইয়া জনান, ওইদিন ভোর রাতে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের একটি দল তাকে রামপুরা ব্রিজের উপর থেকে আটক করে। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এআর/ এমআর/ ইআর  

No comments:

Post a Comment