Sunday, June 21, 2015

পদ্মাপাড়ের সম্মান বাঁচানোর যুদ্ধে মাঠে নামবে ভারত: আনন্দবাজার:আরটিএনএন

পদ্মাপাড়ের সম্মান বাঁচানোর যুদ্ধে মাঠে নামবে ভারত: আনন্দবাজার নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জয় নিয়ে এখন ফুরফুরে মেজাজে বাংলাদেশ। জিতলেই সিরিজ জয়ও বটে, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অনীহাটার দাঁতভাঙা জবাবও। অন্যদিকে, প্রথম ম্যাচে হেরে আজ সিরিজ হারের শঙ্কায় ভারত। তার ওপর আবার মুস্তাফিজকে ধাক্কা মেরে রাতারাতি খলনায়ক বনে যাওয়া ধোনির সম্মান তো আছেই। এজন্য আজ বিকাল তিনটায় মিরপুর শেরে
বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার যুদ্ধ মূলত সম্মান বাঁচানোর যুদ্ধ। খবর: আনন্দবাজার। পত্রিকাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে জায়গায় আজ বাংলাদেশের থাকার কথা ছিল, সেখানে দাঁড়িয়ে ভারত। যে জায়গায় আজ ভারতের দাঁড়িয়ে থাকার কথা ছিল, সেখানে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। গিলতে কষ্ট হলেও সত্যি যে, আজ রবিবার মিরপুর যুদ্ধে ভারতের হেরে যাওয়া মানে, সিরিজকে পদ্মায় ভাসিয়ে দেশে ফিরে আসা। বৃষ্টি টেস্ট জয় আটকে দিয়েছে। ওয়ানডে সিরিজে গণ্ডগোল কিছু হয়ে গেলে সমালোচনার দাঁতনখ প্রখরভাবে কিন্তু বেরোতে শুরু করবে। এমনিতেই সময় বিশেষ ভাল যাচ্ছে না। কিন্তু মীরপুর উইকেটের বর্ণিত চরিত্র সত্যি হলে, তার থেকে কতটা ফায়দা তোলা যাবে, সন্দেহ আছে। ভারত নাকি এক পেসারেও যেতে পারে! এমনিতেই ধোনি বনাম মুস্তাফিজুর পর্ব ম্যাচ রেফারির ঘরে মিটে গেলেও আমজনতার দরবারে মেটেনি। সেখানে ভারত অধিনায়ক এখনও দোষী। এ-পারের সাংবাদিকরাও ভারতের কাউকে দেখলে জিজ্ঞেস করে বসছেন, ইন্ডিয়া ধোনির এমন আচরণ নিয়ে কী বলছে? ঘনিষ্ঠমহলে ভারত অধিনায়ক শোনা গেল, জরিমানার চব্বিশ ঘণ্টা পরেও উষ্মা দেখিয়েছেন অনিচ্ছাকৃত কাণ্ডেও এ ভাবে তাঁকে টেনে নামানো নিয়ে। অর্থাৎ, অহেতুক চাপের বাতাবরণ একটা আছে। সঙ্গে আবার আবহের চাপ। রমজান, ইফতার, জয় সব মিলেমিশে পদ্মাপারের মননের নির্যাস এখন খুব সহজ। যে ক’টা ম্যাচই আর থাকুক, সিরিজ আমরাই জিতছি! শোনা গেল, টিম ডিরেক্টর রবি শাস্ত্রী এ দিন ব্রেকফাস্ট টেবলে নাকি বলে ফেলেছেন যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যা-ই করে থাকুক, বাড়তি সমীহ আর করা যাবে না। প্রথম ম্যাচে যা করতে গিয়ে ডুবতে হয়েছে। ভারতের নিজস্ব ক্রিকেট-ব্র্যান্ডকে বার করার এ বার সময় হয়েছে। যেখানে প্রথম বল থেকে প্রতিপক্ষের মাথায় চড়ে বসার লক্ষ্য থাকবে। ভাল। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের কয়েকটা ব্যাপার নিয়ে তো প্রশ্ন থাকছে। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ব্যাটিং অর্ডারে কেন আরও উপরে আসছেন না, উত্তর নেই। শাস্ত্রী নিজেও তাকে কিছু এ নিয়ে বলছেন না। আর পিচ চরিত্র নিয়ে বাংলাদেশ সাংবাদিককুলের বক্তব্য যদি সত্যি হয়, তা হলে স্ট্র্যাটেজিটাও অদ্ভুত। মিরপুরের এই পাঁচ নম্বর পিচ নাকি পাকিস্তানকে কাঁদিয়ে ছেড়েছিল। বলা হচ্ছে এর গতি গত বৃহস্পতিবারেরটার চেয়েও বেশি। বাংলাদেশ চার পেসারে যাচ্ছেই যাচ্ছে। ভারত সেখানে এক বা দেড়। দু’টো কম্বিনেশন শোনা গেল। উমেশ যাদব আর মোহিত শর্মার নামার সম্ভাবনা নাকি কম। তাদের বদলিতে দু’টো বিকল্প। অম্বাতি রায়ুডু প্লাস অক্ষর পটেল। অথবা স্টুয়ার্ট বিনি প্লাস অক্ষর পটেল। ভারত মনে করছে, বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা নাকি টেকনিকের তোয়াক্কা না করে উত্তেজক ক্রিকেটে চলে যাচ্ছে। ফাস্ট বোলার পেলেই এমন তেড়ে চালাচ্ছে যে লাগলেই বাউন্ডারি! স্পিনার বেশি থাকলে সেটা হবে না। প্রমাণ গত ম্যাচে রায়নার দশ ওভার। তা ছাড়া উমেশ-মোহিত প্রথম ম্যাচে মনে রাখার মতো কিছু করেছেন, এমনও নয়। স্ট্র্যাটেজি খেটে গেলে কিছু বলার নেই। কিন্তু ফেল করলে? পদ্মাপারের সূক্ষ্ম বিদ্রূপ তখন কিন্তু কর্ণগহ্বরের বারোটা বাজিয়ে দেবে! সূত্র: আনন্দবাজার মন্তব্য      

No comments:

Post a Comment